শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, শনিবার রাতেও হাসপাতালে এক রোগীর শরীরে স্যালাইনের চ্যানেল করছিলেন একজন সুইপার। পলাশীপাড়া থানার নতিপোতা গ্রামের বছর আশির বাসিন্দা প্রমীলা মণ্ডল ওইদিন রাত ৯টা নাগাদ বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রমীলাদেবীর ছেলে তেঁতুল মণ্ডলের অভিযোগ, রাত ন’টার সময় মাকে ভর্তি করার পর চিকিৎসক দেখে একটি স্যালাইন ও একটি ওষুধ লিখে দেন। সেইমতো আমি বাইরে থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে নিয়ে আসি। এসে দেখি একজন সুইপার মাকে স্যালাইন দেওয়ার জন্য হাতে সুচ ঢোকাচ্ছেন। ঘটনার প্রতিবাদ করলে কর্তব্যরত নার্স আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। ওই সুইপার এইসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে বলেও জানান। তিনি আরও বলেন, আমরা ওকে দিয়েই সব কিছু করাই। এরপরে মাকে সারারাত কোনও চিকিৎসক দেখেননি। বেশ কয়েকবার চিকিৎসককে অনুরোধ করা হলেও তিনি আসেননি। উল্টে তিনি বলেন, আমি এখন দেখব না। রোগীকে এখানে রাখার মনে হলে রাখুন, না হলে ছুটি করে নিয়ে চলে যান। অবস্থা খারাপ বুঝে এরপর বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে মাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি করিয়ে কল্যাণী নিয়ে যাই।
তিনি বলেন, এই সরকার আসার পরে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের যা পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে তা অনেক বড় নার্সিংহোমেও নেই। অথচ হাসপাতাল থেকে সঠিক পরিষেবা পাচ্ছেন না এলাকার গরিব মানুষ।
প্রসঙ্গত, হাসপাতালে এর আগেও আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার কাজে সুইপার বা গ্রুপ ডি কর্মচারীদের হাত লাগাতে দেখা গিয়েছে। গত রবিবার একটি বাস দুর্ঘটনায় আহতদের ক্ষতস্থান সেলাই করছিলেন হাসপাতালের সুইপার ও গ্রুপ ডি কর্মচারীরা। অন্যদিকে, হাসপাতালে ভর্তি থাকা অন্য এক রোগীর আত্মীয় মিল্টন শেখ বলেন, তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের উপর পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ মানুষ নির্ভরশীল। এই অঞ্চলে বেশিরভাগ মানুষ দিনমজুর। সরকারের উদ্যোগে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতাল অনেক উন্নত হয়েছে। অথচ ব্যাহত হচ্ছে হাসপাতালের পরিষেবা। রোগীর আত্মীয়দের আরও অভিযোগ, চিকিৎসকদের একটি অংশ বেশিরভাগ সময় হাসপাতালের বদলে প্রাইভেটে নিজেদের চেম্বার সামলাতে ব্যস্ত থাকেন। অধিকাংশ দিন হাসপাতালের আউটডোরে নির্ধারিত সময়ে চিকিৎসকরা আসেন না। আবার দুপুরে নির্ধারিত সময়ের আগেই চিকিৎসকরা বাইরে নিজেদের চেম্বারে চলে যান। হাসপাতালের পরিষেবা উন্নত করার দাবি তুলেছেন রোগীর আত্মীয়রা।