শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জেলার জয়েন্ট কনভেনার প্রশান্ত দাস বলেন, আমরা সব করম প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করি সুষ্ঠুভাবেই পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।
জেলার ৮৩টি পরীক্ষাকেন্দ্রে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে। জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৮হাজার ২৯ জন। তার মধ্যে ছাত্রী রয়েছে ১৫ হাজার ৩১জন। শতাংশের হিসেবে যা ৫৩.৬। ছাত্রের সংখ্যা ১২হাজার ৯৯৮ অর্থাৎ ৪৬.৪শতাংশ। গতবারের তুলনায় এবার উচ্চ মাধ্যমিকে ছাত্রের সংখ্যা বেড়েছে ৬০৭জন। ছাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে ১৫৪০জন। যা কন্যাশ্রীর সাফল্য বলেই তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের দাবি। মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও কড়াকড়ি করা হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবারই প্রথম পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে পারবে না পরীক্ষার্থীরা। কোনও অভিভাবক না থাকলে পরীক্ষার্থীকে ব্যাগ নিজ দায়িত্বে বাইরে রেখে যেতে হবে। এছাড়াও জেলার ৩৪টি স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের মোবাইল অ্যান্ড ডিভাইস ডিটেকশন যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করে হলে ঢোকানো হবে। রামপুরহাট-১ ও নলহাটি-১ ব্লকে সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। সেখানে পাঁচটি করে সেন্টারে এই বিশেষ চেকিং হবে। এছাড়াও মুরারই-২ ব্লকে চারটি, মুরারই-১, নানুর ও নলহাটি-২ ব্লকে তিনটি করে, লাভপুর, মহম্মদবাজার, খয়রাশোল, দুবরাজপুর ব্লকের দু’টি করে এবং ময়ূরেশ্বর-১, ইলামবাজার, রামপুরহাট-২ ব্লকের একটি করে কেন্দ্রে এই বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে মেবাইল বা সন্দেহজনক কোনও ডিভাইস পাওয়া গেলে উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিল থেকে তার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে।
অন্যদিকে, মাধ্যমিকে মতোই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের নানা পরিষেবা দিয়ে লোকসভা ভোটের আগে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টায় নামবে তৃণমূল। জেলার পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে প্রায় তিন হাজার ডায়েরি ও পেন বিতরণ করা হবে। সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রলয় নায়ক বলেন, আমরা মুখ্যমন্ত্রী ও অনুব্রত মণ্ডলের ছবি সহ ডায়েরি ও পেন পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেব।