বিএনএ, রায়গঞ্জ: সোমবার কাটিহার-রাধিকাপুর প্যাসেঞ্জার ট্রেনের একটি বগি থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় ৪৫ হাজার টাকা মঙ্গলবার বিকালে রেল যাত্রীকে ফিরিয়ে দিল আরপিএফ। ব্যাগে ৪৫ হাজার ৬০০ টাকা ছিল। ইটাহারের গুলন্দর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধাপুর এলাকার বাসিন্দা ফিরদৌস আলি নামে এক ব্যক্তি পাঞ্জাব থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে দু’টি ব্যাগ ট্রেনে ফেলে চলে যান। ব্যাগটি রাধিকাপুর স্টেশনে পৌঁছালে ট্রেন চেকিং করার সময়ে আরপিএফের হেড কনস্টেবল দীপঙ্কর ঘোষ পান। তিনি ব্যাগটি দপ্তরে জমা দেন। এরপর আরপিএফের উচ্চ পদস্থ কর্তারা ব্যাগটিকে রায়গঞ্জে নিয়ে আসেন। সেই ব্যাগের মধ্যে একটি মোবাইলের খাপের উপরে একটি নম্বর লেখা ছিল। সেই নম্বর থেকে ব্যাগের মালিককে ফোন করা হয়। এরপর ব্যাগের মালিক আরপিএফের থেকে টাকা ও ব্যাগ ফেরত নিয়ে যান। হারিয়ে যাওয়া টাকা ফেরত পাওয়া ওই ব্যক্তি এবং আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফিরদৌস আলি পাঞ্জাবে চায়ের দোকান চালান। তিনি ও কয়েক জন সঙ্গী বাড়ি ফিরছিলেন। সোমবার তাঁরা কাটিহার স্টেশনে এসে নামেন। সেখান থেকে তারা কাটিহার-রাধিকাপুর প্যাসেঞ্জার ট্রেনে ওঠেন। রায়গঞ্জ স্টেশনে তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা নেমে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। রূপাহারে গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন তার ব্যাগ খোয়া গিয়েছে। সেখান থেকে তিনি আবার রায়গঞ্জ স্টেশনে ফিরে আসেন। কাটিহার-রাধিকাপুর ট্রেন ফিরে আসার সময়ে তিনি নির্দিষ্ট বগিতে ব্যাগের খোঁজ করে পাননি।
আরপিএফের ইন্সপেক্টর ইনচার্জ (রায়গঞ্জ) মীর পিন্টু আলি বলেন, আমাদের একজন হেড কনস্টেবল দীপঙ্কর ঘোষ কাটিহার-রাধিকাপুর ট্রেনের বগিতে দু’টি ব্যাগ পেয়েছিলেন। তিনি ব্যাগ দু’টি জমা দিলে তার ভেতর থেকে ৪৫ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার হয়। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ওই ব্যক্তির হাতে টাকা ও ব্যাগ তুলে দেওয়া হয়েছে।
ফিরদৌস আলি বলেন, সঙ্গীরা ব্যাগ নামিয়েছে ভেবে আমিও ট্রেন থেকে নেমে যাই। পরে বুঝতে পারি ব্যাগ খোয়া গিয়েছে। আরপিএফ থেকে ফোন করে আমাকে ডাকা হয়। টাকা ফেরত পেয়ে আমি খুবই খুশি।