শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল চাষের চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ফল চাষ করে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধে এই ফলের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকায় এই ড্রাগন ফল খুবই জনপ্রিয়। আমাদের দেশেও পুষ্টিগুণের কারণে ফলটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে এই ফলের। বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ নিরাময়েও ড্রাগন ফল সেবন করলে সুফল পাওয়া যায়।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনে। সুগার রোধ করে, হার্টের রোগ প্রতিরোধ করে, কিডনি সুস্থ রাখতে সহায়তা করে, হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করে, স্নায়ুকোষ তৈরি ও সক্রিয় রাখতে সহায়তা করে, দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। ত্বক উজ্জ্বল করে ও বার্ধক্য কমায়, জ্বালা যন্ত্রণাও নিরাময় করে। ক্যানসার প্রতিরোধ ও ডেঙ্গু রোগ সারিয়ে তুলতে সহায়তা করে।
একবিঘে জমিতে ৮৮৮টি ড্রাগন গাছ লাগানো যায়। যা বিক্রি করে অধিক মুনাফা অর্জন করা যাবে। ধান, গম, পাট সহ অন্যান্য ফসলের তুলনায় অনেক বেশি ফলন ও মুনাফা অর্জন করতে পারবেন কৃষকরা। এই সমস্ত দিক বিবেচনা করেই ব্লক কৃষি বিভাগ চাষিদের ড্রাগন ফল চাষ করার জন্য উৎসাহিত করছে। চাষের পদ্ধতিও ব্লক কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের জানানো হয়েছে। চাষিরা বলেন, চাষ করার ফলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে তাই আমরা এই নতুন ফল চাষ শুরু করেছি। ধান, গম, পাট সহ অন্যান্য চাষে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয় কিন্তু সেই রকম মুনাফা অর্জন করা যায় না। তাই অধিক মুনাফা লাভের আশায় ড্রাগন ফল চাষ করার দিকে ঝুঁকেছি। ব্লক কৃষি বিভাগের টেকনিক্যাল ম্যানেজার ধর্মেন্দ্র পাল বলেন, ড্রাগন ফল চাষ করার জন্য কৃষকদের সবধরনের সহযোগিতা করা হবে। চাষের পদ্ধতি থেকে নিয়ে ফল বাজারজাত করা পর্যন্ত চাষিদের গাইডলাইন দেওয়া হবে। হরিশ্চন্দ্রপুর-২ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা কিঙ্কর দে তরফদার বলেন, ড্রাগন ফল চাষ করে চাষিরা স্বনির্ভর হতে পারবেন কারণ স্বল্প ব্যয়ে এই চাষে অধিক মুনাফা অর্জন করা যায়।