শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা নদী বাঁচাও কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ বসাক বলেন, নদীর বুকে বেআইনিভাবে বাঁধ দিয়ে কিছু কৃষক চাষবাস করেন। তারা ওই চাষেরা জমিতে যথেচ্ছভাবে কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করেন। এতে মাছ সহ জলজপ্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেলার নদীগুলিকে বাঁচাতে আমরা ইতিমধ্যেই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। ‘নদী বাঁচাও জীবন বাঁচাও’ এই স্লোগান নিয়ে আমরা জেলার নদীগুলিকে বাঁচাতে প্রচারে নেমেছি। বর্তমানে জেলার টাঙন, পুনর্ভবা, আত্রেয়ী নদীতে বোরো ধান চাষের প্রস্তুতি কৃষকরা শুরু করেছেন। এটা বন্ধ করতে আমরা এরমধ্যেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হব।
গঙ্গারামপুর মহকুমা সেচদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার দেবব্রত পাল বলেন, বস্তায় বালি ভরে কৃত্রিম বাঁধ দিয়ে নদীর গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়া ভয়ঙ্কর অন্যায় কাজ। তবে আমাদের নজরে ওই বিষয়টি নেই। এমনটা হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নদীবক্ষে কেউ চাষবাস করলে আমরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করব। গঙ্গারামপুর মহকুমা প্রশাসন জানিয়েছে, বিষয়টি তাদের নজরে রয়েছে। প্রতিবারই নদীবক্ষে চাষবাস না করার জন্য প্রচার চালানো হয়। নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ জমা পড়লে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর মহকুমায় কুশমণ্ডি, বংশীহারি এবং গঙ্গারামপুর তিনটি ব্লক রয়েছে। ওই তিন ব্লকের ওপর দিয়ে টাঙন ও পুনর্ভবা নদী বয়ে গিয়েছে। শীত পড়তেই নদীর জল কমতে শুরু করে। অক্টোবর মাসের শেষের দিকে নদীর একাংশে জল কমে যায়। কৃষকরা সেই সুযোগে নদীর চর কর্ষণ করে চাষের জমি প্রস্তুত করতে শুরু করে। এপ্রিল, মে মাস নাগাদ নদীর জল একেবারের কমে যায়। বর্ষার পর জল কমতেই কোথাও কোথাও পলি পড়ে যায়। সেখানে শীতকালীন সব্জি চাষ করা হয়। এদিকে ফেব্রুয়ারি মাস পড়তেই কিছু কৃষক নদীবক্ষে বোরো ধান চাষের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এরজন্য কিছু কৃষক সিমেন্টের বস্তায় বালি ভরে তা দিয়ে নদীর চর বরারব কৃত্রিমভাবে বাঁধ তৈরি করেছেন। সেখানেই তাঁরা কৃষিকাজের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। কৃষকদের দাবি, নদীতে চাষ করলে জল পেতে অসুবিধা হয় না। তাই তাঁরা সেখানে চাষবাস করেন। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, রাসায়নিক সার কিংবা কীটনাশক ওই জমিতে ব্যবহার করেন না।