শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
পুরসভার কাউন্সিলার সিপিএমের প্রমোদ মণ্ডল বলেন, চেয়ারম্যান তাঁর খেয়ালখুশি মতো বোর্ড মিটিং ডাকেন। গত এক বছরে মাত্র দু’টি বোর্ড মিটিং হয়েছে। এজন্য আমরা নাগরিক সমস্যাগুলি তুলে ধরতে পারছি না। শহরের প্রতিদিনের জমা জঞ্জালটুকু অপসারণ করা হলেও বর্ষার আগে নালাগুলি সাফাই করার কাজ শুরু হয়নি। ফলে সামনের বর্ষায় নালা উপচে শহরবাসীর ঘরবাড়িতে জল ঢুকে যেতে পারে। এছাড়া শহরে মশার দাপট মাসখানেক ধরে বেড়ে গেলেও কোথাও স্প্রে হচ্ছে না। এতে নাগরিক দুর্ভোগ বেড়ে গিয়েছে। শহরের রাস্তা, হাসপাতাল চত্বরে অবাধে শুয়োর ঘুরে বেড়াচ্ছে। দেখভালের কেউ নেই। শহরের অধিকাংশ বেহাল রাস্তা বারবার সংস্কার করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হলেও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। বাসিন্দারা তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা এসে স্থানীয় কাউন্সিলারের কাছে বললেও নাগরিকদের সেই দাবিদাওয়া ও পুর পরিষেবার বিষয়গুলি পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে তুলে ধরাও সম্ভব হচ্ছে না। কংগ্রেসের কাউন্সিলার অম্লান মুন্সি বলেন, বোর্ড মিটিং নিয়মিত না হওয়ায় শহরের সার্বিক উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়েছে। ক্ষমতাসীন পুরবোর্ডের জনপ্রতিনিধিরা তাদের পছন্দমতো কিছুকিছু এলাকার উন্নয়নের কাজ করছেন। বিরোধীদের সব বিষয়ে অন্ধকারে রাখা হচ্ছে। বিরোধীদের ওয়ার্ডগুলিতে কোনও উন্নয়নের কাজ হচ্ছে না। পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, নিয়ম মেনেই বোর্ড মিটিং করা হয়। এনিয়ে বিরোধীদের কাছ থেকে শিখতে হবে না। শহরে উন্নয়নের কাজ কোথাও থেমে নেই। পুরসভার বোর্ড মিটিং মার্চের প্রথম সপ্তাহে করা হবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ডিসেম্বরে পুরসভার শেষ বোর্ড মিটিং হয়েছিল। তার আগেও কয়েক মাস বোর্ড মিটিং হয়নি। বিরোধীদের বক্তব্য, প্রত্যেক মাসে বোর্ড মিটিং হলেই শহরের সব এলাকার বিভিন্ন সমস্যার বিষয়গুলি বোর্ড মিটিংয়ে তুলে ধরা সম্ভব। পাশাপাশি শহরের উন্নয়নের কাজের গতি প্রকৃতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। পুর এলাকার কোনও কাজ থমকে গেলে সেনিয়ে আলোচনার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান সূত্রও বের হতে পারে। অভিযোগ, পুরসভার ক্ষমতাসীন বোর্ডের সদিচ্ছার অভাবে নিয়মিত বোর্ড মিটিং হয় না। শহরের উন্নয়নের কাজের বিষয়েও পুরোপুরি অন্ধকারে রাখা হচ্ছে বিরোধীদের।