শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা চম্পা কার্জি বলেন, ধীরেন রায় প্রায়শই লোক পাঠিয়ে আমাদের ভয় দেখান। মূলত রাতের দিকে জমি খালি করে দিতে হুমকি দেওয়া হয়। এনিয়ে আমরা পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। পুলিসের তরফেও সেভাবে সহযোগিতা মিলছে না। ধীরেনবাবু বলপূর্বক প্রায় ১০ কাঠার ওই জমিটাকে নিজের বলে দাবি করে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের প্রদীপ বর্মন বলেন, প্রথম থেকেই জমিটি ফাঁকা পড়ে আছে। সেখানে বেসরকারি স্কুল ও একটি ক্লাব আছে। জমিটি দাবিদারবিহীন বলেই আমরা জেনে এসেছি। তবে ২০১৬ সাল থেকে এলাকার উন্নয়ন শুরু হতেই জমির দাম হুহু করে বাড়তে শুরু করে। এরই জেরে ধীরেন রায় ওই জমিটিকে নিজের বলে দাবি করেন। তবে সত্যিই যদি জমিটির মালিকানা তাঁর হাতেই থাকত তবে তিনি বহু আগেই মালিকানা দাবি করতেন। এবিষয়ে ডিসিপি জোন-১ গৌরব লাল সামগ্রিক ঘটনায় তদন্ত চলছে। সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ডাবগ্রাম-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ছোটা ফাঁপড়িতে বহুদিন ধরেই একটি ১০ কাঠার মতো জমি ফাঁকা পড়েছিল। ২০১৬ সালে ফকদইবাড়ির বাসিন্দা ধীরেনবাবু জমিটি তাঁর নিজের বলে দাবি করেন। ওই জমিতে একপাশে একটি ক্লাব ও বেসরকারি স্কুলও তৈরি হয়েছে। ধীরেনবাবু বহুদিন থেকেই জমিটি নিজের বলে দাবি করছেন বলে অভিযোগ। এনিয়ে তিনি বেশ কয়েকবার পুলিসেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জমির দখল নিতে সফল হননি। ইতিমধ্যে জমির একধারে একটি দোকান নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এনিয়ে ফের তিনি আশিঘর ফাঁড়ির পুলিসের দ্বারস্থ হন। এদিন সকালে সেইমতো পুলিস ধীরেনবাবুকে নিয়েই ছোটা ফাঁপড়ির ওই জমিতে যায়। সেসময় স্থানীয় মহিলারা ধীরেনবাবুকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে। সেসময় কোনও মহিলা পুলিস কর্মী না থাকায় পুলিসেরও দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। উত্তেজিতরা পুলিসের গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পরে বিশাল পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিস অবশ্য ক্লাবটিতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।