শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
বাম শিবিরের এহেন সিদ্ধান্তের কথা কানে গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বেরও। তারা অবশ্য বামেদের এই অবস্থানকে অযৌক্তিক বলে মনে করছে না। কারণ, দু’পক্ষের জেতা ছ’টি আসনে কেউ কারও বিরুদ্ধে লড়বে না—জোট তৈরির প্রথম শর্ত হিসেবে উভয়পক্ষই তা মানবে বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রায়গঞ্জে সিপিএমের মহম্মদ সেলিম বর্তমান এমপি হলেও কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সি এবার তাঁকে আসন ছাড়তে নারাজ। ফলে এনিয়েই মূল জটিলতা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি সিপিএমের আরেক সাংসদ মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের বদরুদ্দোজার বিরুদ্ধে অধীর চৌধুরী তাঁর অনুগামী আবু হেনাকে দাঁড় করাতে আগ্রহী হওয়ায় সমস্যা আরও জটিল হয়েছে। কিন্তু জোটের স্বার্থে অধীরকে আলোচনায় ডেকে নরম করা সম্ভব হলেও দীপার ক্ষেত্রে কার্যত হাল ছেড়ে দিয়েছে প্রদেশ নেতৃত্ব। তাদের ধারণা, এই অবস্থানের পিছনে দলের দু’-একজন শীর্ষ নেতার প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় রয়েছে। গোটা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্র এআইসিসি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গৌরব গগৈকে এদিন রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। গগৈয়ের কাছে তাঁর আর্জি, জোট গঠনের প্রাথমিক শর্ত মানার ব্যাপারে দীপাদের নিরস্ত করতে হাইকমান্ডের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হোক। আজ মঙ্গলবার আমেদাবাদে দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে গগৈ যাতে বিষয়টি তুলে দলের নেতাদের কাছ থেকে এই ধরনের বিবৃতি আদায় করতে পারেন, সে বিষয়ে সোমেন শিবির চাপ দিচ্ছে। তা না হলে গোটা জোট প্রক্রিয়াই ভেস্তে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সেলিম-বদরুদ্দোজার আসন নিয়ে এহেন জট থাকার কারণে এদিন শরিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তেমন কড়া অবস্থান দেখায়নি সিপিএম নেতৃত্ব। ফরওয়ার্ড ব্লক তাদের কোটার তিনটি আসনে প্রার্থী হিসেবে পুরুলিয়ায় বীর সিং মাহাত, বারাসতে হরিপদ বিশ্বাস এবং কোচবিহারে গোবিন্দ রায়ের নাম লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছে ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুকে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার ব্যাপারে তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা তিনটি আসনের দাবি থেকে সরবে না। বামফ্রন্টের বাকি প্রার্থীদের হয়ে তারা প্রচার করবে। কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও আলোচনা বা যৌথ প্রচারে তারা শামিল হবে না। সিপিআইও তাদের তিনটি আসনে লড়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে। ঘাটাল ও কাঁথি কেন্দ্র পাল্টাপাল্টি করার ব্যাপারে সিপিএমের দেওয়া প্রস্তাব তারা মানবে না বলে জানিয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের স্বার্থে একমাত্র আরএসপি তাদের ভাগের বহরমপুর আসনটি অধীর চৌধুরীর জন্য ছাড়তে পারে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে। তবে চার দলই ঠিক করেছে, কংগ্রেসের সঙ্গে বামফ্রন্টগতভাবে আলোচনা করবে সিপিএম। তবে শেষমেশ আসন ভাগাভাগি হলেও কোনও যৌথ প্রচার বা ইস্তাহার তৈরির পথে হাঁটবে না বাম শিবির। কংগ্রেসের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান খোলসা করবে না তারা।