শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
শীতের রেশ মেলায়নি ভালো করে। তারই মধ্যে আচমকা তীব্র গরম বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছিল সাধারণ মানুষকে। এই অবস্থায় শীতল বাতাস বয়ে আনল মাঝরাতের ঝড়বৃষ্টি। রবিবার রাত থেকেই জেলায় জেলায় বৃষ্টির খবর আসছিল। রাত বাড়তেই মেঘের গুড়ুগুড়ু গর্জন শুরু হল কলকাত ও শহরতলিতেও। সোমবার ভোররাতে পরপর দু’টি কালবৈশাখী এক নিমেষে ঠান্ডা করে দিল বাতাস। কিন্তু টানা বৃষ্টি যাঁদের একেবারে পছন্দ নয়, তাঁদের মুখ ভার করে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিল, বৃষ্টি চলবে এখনও।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার ভোররাতে যে কালবৈশাখী শহরের বুকে ঝাপটা দিয়েছিল, ৩টে ৫৫ মিনিট নাগাদ তার গতিবেগ পৌঁছয় ঘণ্টা পিছু ৪৪ কিলোমিটারে। সেই দাপট চলতে চলতেই ফের শক্তি বাড়ায় ঝড়। ৪টে ২ মিনিট নাগাদ ৫৮ কিলোমিটার বেগে ফের দাপট শুরু করে কালবৈশাখী। সেই দাপট বেশ কিছুক্ষণ ছিল। গোটা রাজ্যেই, বিশেষত দক্ষিণবঙ্গে সর্বত্র থাবা বসায় ঝড়। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বাংলা।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বলেন, পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে আগামী বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি চলবে। আজ, মঙ্গলবারও ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। উত্তরবঙ্গেও এবার বৃষ্টির মাত্রা বাড়বে। সেখানে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলে রেখেছেন অধিকর্তা।
উচ্চচাপ বলয়ের জেরে বঙ্গোপসাগর থেকে বেশি পরিমাণে জলীয় বাতাস এ রাজ্যে ঢোকা এবং উত্তর ভারত থেকে আসা অপেক্ষাকৃত উষ্ণ ও শুকনো হাওয়া আসায়, তাদের রসায়নে বাংলার আকাশে বজ্রগর্ভ মেঘ ও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়ে রেখেছিল আবহাওয়া দপ্তর। রবিবার তার জেরে এক ধাক্কায় নেমে যায় তাপমাত্রাও। এদিন শহরের সর্বানিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে দাঁড়ায় ১৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দিনের তাপমাত্রাও এক ধাক্কায় সাত ডিগ্রি কমে দাঁড়ায় ২৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আলিপুরে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল দু’সেন্টিমিটার। আপাতত তাপমাত্রা খুব একটা বাড়বে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।