শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
১৩ ফেব্রুয়ারি লোকসভায় পাশ হয়েছে ‘ব্যানিং অব আনরেগুলেটেড ডিপাজিট স্কিমস অর্ডিন্যান্স, ২০১৯’। সেইসূত্রে ২১ ফেব্রুয়ারি জারি হয়েছে ওই নয়া অর্ডিন্যান্স। সেখানে অন্তত তিনটি মুখ্য বিষয় রয়েছে। প্রথমত, চিটফান্ড কেলেঙ্কারির মুখোশ খুলতে সচিব পর্যায়ের কোনও অফিসারকে মাথায় রেখে সর্বপ্রথম গড়া হবে ‘কমপিটেন্ট অথিরিটি’। সুপ্রিম কোর্ট ৪৪টি চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কোম্পানির তদন্তভার তুলে দিয়েছিল সিবিআইয়ের হাতে। কিন্তু, পরবর্তীকালে সিবিআইকে রাজ্যে তদন্তের অনুমতি না দেওয়ার কথা বলেছিল রাজ্য সরকার। সেই বিতর্কের মাঝেই এল এই অর্ডিন্যান্স। সেখানে কোনও বিতর্কের সুযোগ না রাখতে বলা হয়েছে। কমপিটেন্ট অথিরিটি মনে করলে সিবিআইকেই বিষয়টির তদন্ত করতে বলবে। লক্ষ্যণীয়, জারি হওয়া অর্ডিন্যান্সে সিবিআইয়ের নাম উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেখানে এও বলা হয়েছে যে, ওই অথরিটি সিবিআইকে দায়িত্ব দিলে ধরে নেওয়া হবে, সেখানে রাজ্যের অনুমতি আছে। আইনজীবী অরিন্দম দাসের মতে, এই অর্ডিন্যান্সের ফলে চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্ত সংক্রান্ত বিতর্কের সম্ভাবনা কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, চিটফান্ড সংস্থাগুলিতে বিনিয়োগ করে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আয়কর ও বিক্রয়কর দপ্তর ছাড়াও পুরসভাগুলি তাদের পাওনা আদায়ের চেষ্টা করে চলেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের দাবি অগ্রাধিকার পাচ্ছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত। কিন্তু, ওই অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, প্রাপ্য ফেরতের প্রশ্নে বিনিয়োগকারীরাই অগ্রাধিকার পাবেন। এছাড়াও উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হল, নিয়ম অনুযায়ী কোনও একটি বিষয়ে যদি কেন্দ্র ও রাজ্যের আলাদা আইন থাকে এবং সেই দুই আইনে কোনও বিরোধ দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের আইনই প্রাধান্য পায়। তাই আইনজীবীরা বলছেন, বেশ কিছু রাজ্য চিটফান্ড প্রসঙ্গে যেসব নিজস্ব আইন এনেছিল, সেগুলি এরপর গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে।
আরও একটি প্রশ্ন এই প্রসঙ্গে দেখা দিয়েছে। এই অর্ডিন্যান্সের ভিত্তিতে কি পুরনো মামলায় সিবিআই হস্তক্ষেপ করতে পারবে? আইনজীবীদের একাংশ বলছে, সিবিআই বিষয়টির তদন্ত করা সত্ত্বেও রাজ্যগুলি ‘কন্টিনিউয়েন্স অব কজ অব অ্যাকশন’ বা থানায় দায়ের হওয়া পুরনো মামলা সূত্রে বহু ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করেছে। এবার সেই একই যুক্তিতে সিবিআইও পুরনো মামলায় হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন।