শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭সালে ১১অক্টোবরের পর থেকে গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন নিষ্পত্তির সৌভাগ্য প্রকল্প চালু হয়। মূলত ওই সময়সীমা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগের বকেয়া আবেদনপত্র এবং নতুন আবেদনপত্র খতিয়ে দেখে দ্রুত সংযোগ দেওয়ার জন্য ওই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। তাতে পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ২৪পরগনা এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় ভালো কাজ হয়েছে। দিল্লিতে অবস্থিত রুরাল ইলেক্ট্রিফিকেশন কর্পোরেশন লিমিটেড রাজ্যের কাছ থেকে অফিসারদের নামের তালিকা পাঠিয়েছিল। গত ২২ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার চেয়ারম্যান কাম ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজেশ পাণ্ডে ওই পাঁচ অফিসারের নামের তালিকা দিল্লিতে পাঠান। আজ, মঙ্গলবার ওই অফিসারদের পুরস্কৃত করা হবে।
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার বর্ধমানের রিজিওনাল অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭সালে ১১অক্টোবরের পর থেকে সৌভাগ্য প্রকল্পে বিদ্যুতের খুঁটি সমেত ১২৪৮জনের এবং খুঁটি ছাড়া আরও ২৯৫৬জনের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ১০০শতাংশ বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট এপিএল পরিবার ৬লক্ষ ৮৬হাজার ৬৬৩টি। বিপিএল পরিবার ১লক্ষ ৭৮হাজার ১১টি। বিদ্যুৎ দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিটি পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে গিয়েছে।
গ্রামীণ বিদ্যুদায়নের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর এখন লো-ভোল্টেজ সমস্যা কাটানোর জন্য রাজ্য সরকারের ১৫০কোটি টাকা ব্যয়ে দুই বর্ধমান জেলায় গ্রামীণ এলাকায় শুরু হয়েছে হাইভোল্টেজ ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম(এইচভিডিএস)-এর কাজ। ওই প্রকল্পে পূর্ব বর্ধমানে খরচ হবে ৮২কোটি টাকা। আর পশ্চিম বর্ধমানে খরচ হবে ৬৮কোটি টাকা। পূর্ব বর্ধমানে অতিরিক্ত ৬৫২টি ট্রান্সফর্মার এবং পশ্চিম বর্ধমানে অতিরিক্ত ৫৬৮টি ট্রান্সফর্মার বসানো হবে। এরফলে লোভোল্টেজ সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার টেকনিক্যাল লোকসান কমবে। ডব্লুবিএসইডিসিএলের বর্ধমানের রিজিওনাল ম্যানেজার বলেন, ২০১৭সালের ১১অক্টোবরের পর থেকে গ্রামীণ বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদনপত্র এবং তার আগেকার বকেয়া আবেদন অনুযায়ী সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে ভালো কাজের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।