Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বধ্যভূমি কাশ্মীর: আমরা কি
কেবল মার খেতেই থাকব!

শুভা দত্ত

গত বৃহস্পতিবার আবার জঙ্গি তাণ্ডবে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ, দেশপ্রেমিক জওয়ানদের রক্তে ভিজে গেল কাশ্মীর উপত্যকার মাটি। পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় জয়েশ জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলায় সিআরপিএফের ৪৪ জন জওয়ান শহিদ হলেন। আহত হলেন আরও ৪০/৪৫ জন! জম্মু থেকে শ্রীনগরগামী সিআরপিএফ কনভয়ে গাড়িবোমা রকেট লঞ্চার সমেত নানা মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গি সন্ত্রাসীরা—আর তার ভয়াবহতায় হিমালয় থেকে কন্যাকুমারিকা ফের একবার শিহরিত হল। অতজন বীর জওয়ানের মর্মান্তিক মৃত্যু ফের একবার বাকরুদ্ধ করে দিল আমাদের, শোক আর ক্ষোভের আগুন ছড়াল দেশজুড়ে—সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পথঘাট, অফিস-কাছারি, এমনকী সাধারণ ঘরের অন্দরমহলেও ঢেউ তুলল শোকাহত ক্রুদ্ধ মানুষের নানা প্রশ্ন, নানা জিজ্ঞাসা! ঠিকই, কাশ্মীরের মাটিতে এমন ঘটনা নতুন নয়। দেশভাগের পর থেকেই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারতের এই ভূখণ্ড নিয়ে গোলমাল চলেছে। তা নিয়ে যুদ্ধবিগ্রহও হয়ে গেছে। কিন্তু, আশির দশকে সন্ত্রাসবাদের উত্থানের পর থেকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি যেন দিন-কে-দিন ঘোরালো থেকে আরও ঘোরালো হয়ে চলেছে। জয়েশ-ই-মহম্মদের মতো কট্টর মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো সুযোগ পেলেই অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে, নির্বিচারে খুনজখম করেছে, উপত্যকার সাধারণ জনজীবনের স্বাভাবিক ছন্দ তছনছ করে রক্তগঙ্গা বইয়েছে। তাদের আক্রমণে সেনা থেকে সাধারণ মানুষ, ট্যুরিস্ট—কেউ রেহাই পাননি। ভারত সরকার বিভিন্ন সময়ে এই সন্ত্রাস দমনে ব্যবস্থা নিলেও পরিস্থিতি যে বিশেষ বদলায়নি বৃহস্পতিবারের ভয়াবহ ঘটনা তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেল। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে উরি সেনাছাউনির ভয়ঙ্কর ঘটনাও এই অবন্তীপোরার সামনে ম্লান দেখাচ্ছে। উরি সেনাছাউনিতে আচমকা জঙ্গি হামলায় সেদিন প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮ জন জওয়ান। সেও ছিল এক জঘন্য সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা। সেই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় সেনা পাক অধিকৃত এলাকায় ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ চালিয়ে বেশ কিছু জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল, সেই সঙ্গে তাতে আশ্রয় নেওয়া জঙ্গিদের খতম করেছিল। সেই ঘটনা নিয়ে পরবর্তীতে ব্যাপক প্রচারও চলেছিল রাজনৈতিক মহলে, তৈরি হয়েছিল সিনেমা। সেই সিনেমা রীতিমতো জনপ্রিয়ও হয়েছে। সার্জিকাল স্ট্রাইকের সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর সংশ্লিষ্ট দপ্তর কিছু জনপ্রীতিও পেয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরও কাশ্মীরে যে জঙ্গি তৎপরতা কিছুমাত্র কমেনি সেই সত্যটাই যেন ফের একবার মনে করিয়ে দিয়ে গেল ১৪ ফেব্রুয়ারির ওই কালো বৃহস্পতিবারটা।
সেদিন বিকেলে ঘটনার খবর ছবি, তা নিয়ে রাজনৈতিক প্রশাসনিক প্রতিক্রিয়া টিভিতে প্রচার শুরু হতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল দেশ জুড়ে। শোক এবং ক্ষোভে কতটা উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশের মানুষের মন তার প্রমাণ মিলেছিল ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ ট্যুইটার ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পথপ্রান্ত সর্বত্র। বিশেষ করে যখন জানা গেল জয়েশ-ই-মহম্মদ এই জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছে তখন মানুষের ক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল প্রতিবেশী পাকিস্তানের ওপর—কারণ, সাধারণের ধারণা জয়েশ জঙ্গিরা পাক মদত পায়। কথাটা একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার নয় ঠিকই কিন্তু ওই জঙ্গিরা কি সবসময় পাকিস্তানের কথা শুনে চলে, পাক নিয়ন্ত্রণ মানে? বৃহস্পতিবারের ঘটনার দায় জয়েশ নিয়েছে এ কথা সকলেই জানেন। কিন্তু তার পিছনে পাক মদতের কোনও প্রমাণ কি মিলেছে? আর যতক্ষণ না তেমন প্রমাণ মেলে ততক্ষণ কি আমাদের অন্যতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র সম্পর্কে এমন অভিযোগ আনা যায়?— এমন একটা কথা বলছেন অনেকেই। তাঁরা এই ঘৃণ্য কাজের জন্য জয়েশ সমেত যাবতীয় জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক সেনা অভিযানের দাবি জানাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু প্রমাণ পাওয়ার আগে সরাসরি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের দিকে আঙুল তোলাটাকে নীতিগত দিক থেকে সমর্থনে উৎসাহী হচ্ছেন না। তাঁদের বক্তব্য, দেশপ্রেমের আবেগের চেয়ে দেশ রক্ষায় কার্যকরী ও কঠিন পদক্ষেপ আজ অনেক বেশি জরুরি। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সার্জিকাল স্ট্রাইকের চেয়েও শক্তিশালী কোনও ঘাতক ব্যবস্থা থাকলে তা প্রয়োগ করুক সরকার। অন্যদিকে, জঙ্গিদের মদত দেওয়া থেকে পাকিস্তানের মতো রাষ্ট্রগুলিকে বিরত করতে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি অনেক বেশি প্রয়োজন। নরেন্দ্র মোদি সরকার যদি সেটাই করেন তবে দেশ ও দশের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা আরও জোরালো হতে পারবে। জঙ্গিরাও শিক্ষা পাবে।
কিন্তু, এসব কথায় দেশের মন শান্ত হবার নয়। ৪২/৪৪টা তাজা প্রাণ দেশের ঐশ্বর্য কতকগুলো শয়তানের নারকীয় হিংসায় শহিদ হয়ে গেল—এমনটা মেনে নেওয়া তো চাট্টিখানি ব্যাপার না! আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গেও তো দুই মায়ের কোল খালি করে দিয়ে গেল জঙ্গি জয়েশ। এর আগেই এমন ঘটনার সাক্ষী থেকেছে আমাদের এই বাংলা। কনাদ ভট্টাচার্যের মতো যাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে শহিদ হন তাঁদের ক্ষেত্রে শোক ব্যথা সত্ত্বেও একটা সান্ত্বনা থাকে—তিনি দেশ রক্ষায় লড়াইয়ের ময়দানে শত্রু নিধন করতে করতে বীরের মৃত্যু বরণ করে শহিদ হয়েছেন। আমাদের গায়ে কাঁটা দেয় তাঁদের শৌর্যবীর্যের কথা কাহিনী। একজন সেনানীর পক্ষে এ তো পরম গৌরবের ব্যাপার। কিন্তু, জঙ্গিদের তো সামনে থেকে লড়ার ক্ষমতা নেই। চোরাগোপ্তা আক্রমণে কিছু লোক খুন করা, বাড়ি-ঘর ধ্বংস করা বা পিছন থেকে ছুরি মারার মতো কাপুরুষতাই তাদের চরিত্র, দেশে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করাটাই তাদের হাতিয়ার।
বৃহস্পতিবারও তার অন্যথা হয়নি। গাড়ি ভর্তি বিস্ফোরক নিয়ে কনভয়ের সিআরপিএফ ভর্তি বাসে সটান ধাক্কা মেরেছে এক আত্মঘাতী জঙ্গি। মুহূর্তেই বিস্ফোরণে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে বাস, ছিন্নভিন্ন হয়ে শ্রীনগর জাতীয় সড়কে ছড়িয়ে পড়েছে সেনানীদের দেহ, দেহাংশ। আর এরপর আর এক দল জঙ্গি এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছে সেনা কনভয়ে, রকেট লঞ্চার ছোঁড়ার প্রমাণও মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের!
এত বড় একটা ঘটনার নিন্দায় অনিবার্যভাবেই সরব হয়েছে সব মহল। শাসক-বিরোধী রাজনীতিও ছায়া ফেলতে শুরু করেছে ঘটনার ওপর। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বোধহয় একমাত্র ব্যতিক্রম, যিনি ঘটনার পর থেকেই বলে আসছেন, এমন মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করবেন না। অকারণ দোষারোপ ছেড়ে আমাদের একজোট হয়ে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। সাধারণ কাশ্মীরবাসীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ করতে হবে। আর তার জন্য তিনি নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিশেষ উদ্যোগও দাবি করেছেন। রাজ্যের দুই শহিদ পরিবারের ভবিষ্যতে যাতে কোনও দিক থেকে কোনও অসুবিধে না হয় তা দেখার আশ্বাসই কেবল দেননি, পরন্তু, ওই দুই পরিবারের সঙ্গেই ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে সান্ত্বনা সহমর্মিতা জানিয়েছেন। আর দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি কী করেছেন? ঘটনার জবাব দেওয়ার দায়িত্ব সেনার হাতে তুলে দিয়েছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, এই ঘটনার জবাব কীভাবে কবে দেওয়া হবে তা দেশের সেনাই ঠিক করবে। তাঁর এই ভূমিকার মধ্যে রাজনৈতিক তথ্যভিজ্ঞদের অনেকেই ‘ধীরে চলো নীতি’র ছাপ দেখতে পাচ্ছেন এবং কংগ্রেস সমেত বিরোধীদের অনেকেই তাঁর ৫৬ ইঞ্চি ছাতির শক্তি ক্ষমতা নিয়ে টিপ্পনীও করছেন!
আসলে ঘটনা ঘটেছে এমন একটা সময়ে, যখন দেশে সাধারণ নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে আর তা নিয়ে আগাম সমীক্ষার ফল অনেক ক্ষেত্রেই বর্তমান শাসকের চিন্তা বাড়িয়েছে। সেজন্য— ঘটনা যত বড়ই হোক —চটজলদি কোনও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধায় শাসক গেরুয়াশিবির। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশে।
সত্যিই তো, ভোট কি কম বড় বালাই! বিশেষ করে যখন সমীক্ষার রিপোর্ট কুডাক ডাকছে, শেষ পাঁচ বিধানসভার ফলে রীতিমতো ধাক্কা লেগেছে, বিরোধী দলের প্রধান মুখ হয়ে উঠে আসছেন দুর্দান্ত জননেত্রী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়—তখন শাসকচিন্তা যে ঊর্ধ্বমুখী হবে তাতে আশ্চর্য কী? সার্জিকাল স্ট্রাইক দিয়ে ২০১৬ সালের শেষদিকে মোদিজি ও তাঁর দল তাঁদের সরকারের প্রতি মানুষের আগ্রহ খানিকটা হলেও ফেরাতে পেরেছিলেন, ভাটার টান লাগা জনপ্রিয়তার খাতে কিছুটা হলেও জোয়ারের ঢেউ তুলতে পেরেছিলেন। নোটবন্দি ইত্যাদির ক্ষত তাতে খানিকটা ঢাকাও পড়েছিল। কিন্তু, সেই একই হাতিয়ারে আবার সাফল্য মিলবে কি না, নাকি হিতে বিপরীত হবে ভোটবাজারে—তা যে কেউ হলফ করে বলতে পারছেন না! বরং, গতবার কেন কটা জঙ্গিঘাঁটি ভেঙে আর জঙ্গি মেরেই কাজ সেরেছিল ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’, কেন আরও ঢুকে সন্ত্রাসবাদীদের সর্বস্বান্ত করে দিয়ে আসেনি সেনা— আজ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে! সেইসঙ্গে অবন্তীপোরার এই ঘটনা থেকে বাহিনীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত যেসব মারাত্মক গাফিলতির কথা উঠে আসছে—তা নিয়েও তো প্রশ্ন বিস্তর।
এদিকে সামনে ভোট। মহারণ। দিল্লির মসনদ বাঁচানোর লড়াই। গোলটা তো বেধেছে সেইখানেই। আর তাই ‘ব্যবস্থা’ নিতে এত দ্বিধা, এত কৌশল! অন্তত রাজনৈতিক তথ্যভিজ্ঞদের অভিমত তেমনই। কিন্তু কথা হল, এভাবেই কি রাজনৈতিক নানা কারণে, নানা স্বার্থের তাড়না ভূস্বর্গ কাশ্মীরকে চিরকাল এমন বধ্যভূমি করে রাখবে? জঙ্গিরা যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াবে? আর দিনের পর দিন এইভাবে আমরা কি কেবল মার খেতেই থাকব!? দিল্লি, একটু ভাবুন।
17th  February, 2019
তাহলে পুলওয়ামা কাণ্ডই কি এবার ভোটের প্রধান ইস্যু?
মোশারফ হোসেন

দেখতে দেখতে লোকসভার ভোট তো এসেই গেল বলা যায়। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে আগামী দু’-তিন সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেবে। আর, তারপরই গোটা দেশ মেতে উঠবে ভোট উৎসবে। 
বিশদ

শুধু শোক আর ক্রোধ, চেতনা নেই
পি চিদম্বরম

মাসুদ আজহারকে বাগে পেয়েও ২০০০ সালের জানুয়ারিতে তাকে মুক্তি দিতে বাধ‌্য হওয়ার আফটার শক বা ঝটকা আমরা এখনও নিয়মিত অনুভব করি। প্রতিটা ঝটকা ভারতবাসীকে মনে করিয়ে দেয় যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার মাসুদ আজহারকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পণবন্দি আইসি-১৮৪ বিমানের যাত্রী ও কর্মীদের মুক্তির বিনিময়ে।
বিশদ

25th  February, 2019
পুলওয়ামার পর
শুভা দত্ত

 পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার পর কেটে গেল বেশ কয়েকটা দিন। ওই ঘটনার জেরে দেশ জুড়ে ক্ষোভ শোকের যে আগুনে আলোড়ন উঠেছিল তাও আজ অনেকটাই কমে গেছে। মোমবাতি মিছিল, ধিক্কার সভার রেশও এখন অনেকটাই মিলিয়ে এসেছে। অবশ্য, তুষের আগুনের মতো তার তাপ এখনও সাধারণ ভারতবাসীর নিত্যদিনের জীবনের আড়ালে যে ধিক ধিক করে জ্বলছে তা একটু ভালো করে নজর করলেই টের পাওয়া যায়।
বিশদ

24th  February, 2019
অন্তর্বর্তী বাজেটে শিশুরা কী পেল?
শুভময় মৈত্র

জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মতই বাজেটে বানানোর সময় শিশুদের মত নেওয়া হয় না মোটেই। শিশুদের অবস্থা অনেকটা হতদরিদ্র মানুষের মত। গরিবদের ভালো খারাপ ঠিক করে সমাজের সম্পদশালী মানুষেরা। তেমনই ছোটদের ভালোমন্দ প্রাপ্তবয়স্কদের হাতে।
বিশদ

23rd  February, 2019
জঙ্গি হানার পর
সমৃদ্ধ দত্ত

 সেনাপ্রধান স্যাম মানেকশকে ডেকে ইন্দিরা গান্ধী বললেন, জেনারেল, আমার মনে হয় ইস্ট পাকিস্তানি (পরবর্তী বাংলাদেশ) বেঙ্গলিদের রক্ষা করতে আমাদের মিলিটারি অ্যাকশনে যেতে হবে। ইস্ট পাকিস্তান থেকে স্বৈরাচারী আর্মি রুলকে সরাতে হবে। সেটা ইন্ডিয়ার সুরক্ষার জন্যও খুব দরকার।
বিশদ

22nd  February, 2019
শিশুদের বাজেট
শুভময় মৈত্র

 একশো ত্রিশ কোটির দেশে আশি কোটি প্রাপ্তবয়স্ক ভোটার, বাকি পঞ্চাশ কোটি বয়সে ছোট। যার ভোট নেই তার জন্যে লোকসভা নির্বাচনের মাস তিনেক আগে ভাবার সময় থাকে না শাসকদলের। সেই জন্যেই বাজেট বক্তৃতায় শিশুদের কথা খুঁজতে গেলে দূরবিন প্রয়োজন। তবে চশমা ছাড়াই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে এবারের বাজেটের বিশালাকার অক্ষরের ভীষণ চমক ‘ভিশন ২০৩০’। আজ থেকে এগারো বছর পর দেশ ঠিক কোথায় পৌঁছবে তার চালচিত্র। কোথাও কিন্তু আজকের শিশুদের কথা নেই।
বিশদ

22nd  February, 2019
আর একটি ৮ ফাগুনের প্রতীক্ষায়...
অতনু বিশ্বাস

ওদিকে বাংলাভাষার তৃতীয় ভুবনে অসমের বারাক উপত্যকায় বাংলাভাষার অধিকার রক্ষার সত্যাগ্রহীদের উপরে পুলিসের নির্বিচার গুলিতে ১৯৬১-র ১৯ মে, রবীন্দ্র শতবর্ষের কবিপক্ষের মাঝেই, জন্ম হল একাদশ শহিদের।
বিশদ

21st  February, 2019
যুগজাগরণে যুগাচার্য স্বামী প্রণবানন্দজি মহারাজ
স্বামী নীলেশ্বরানন্দ

যুগজাগরণ এক যুগাচার্যের সাধনসিদ্ধির প্রাক্কালীন শ্রীমুখ নিঃসৃত যুগমহাবাণী। এ জাগরণ মানব জীবনের উন্নয়ন উদ্বোধনের আকাশবার্তা। ১৯১৬ সনের পুণ্যময়ী মাঘী পূর্ণিমার শুভ লগ্নে এক সাধক সাধন সমাহিত অবস্থা থেকে উত্থিত হয়েই জগৎবাসীর কল্যাণে উৎসর্গ করলেন এক মহাআশ্বাস বাণী—এ যুগ মহাজাগরণের তথা মহাসমন্বয়ের।
বিশদ

19th  February, 2019
ইসলামাবাদের ইসলামি ঐক্যের ফাঁদে কাশ্মীর
হারাধন চৌধুরী

ঘটনাটিকে বাসি বলার সময় এখনও হয়নি। বলিউডের নামজাদা অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহের এক সংকীর্ণ মন্তব‌্যে উৎসাহিত হয়ে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করে বসলেন, ‘‘সংখ‌্যালঘুদের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হয় তা মোদি সরকারকে দেখিয়ে দেবে পাকিস্তান।’’
বিশদ

19th  February, 2019
মার্কিন মুলুকে (-) ৬০,
সন্ধিক্ষণ কিন্তু পরিবর্তনেরই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পোলার ভর্টেক্সের প্রভাব কি ভারতেও পড়েছে? এবার উত্তর ভারতের দীর্ঘস্থায়ী ঠান্ডার জন্য আবহাওয়াবিদরা কিছুটা হলেও পোলার ভর্টেক্সকে দায়ী করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পোলার ভর্টেক্স দুর্বল হয়ে ঠান্ডাটাকে আমেরিকা ও ইউরোপের উত্তরভাগে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে। আর তার ধাক্কায় দক্ষিণের দিকে চলে এসেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এমনিতে বছরে চার থেকে ছ’টি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ভারতীয় উপমহাদেশে এসে ধাক্কা খায়। চলতি বছর সেই সংখ্যাটা সাত। যার জন্য শীতের প্রকোপ বেড়েছে ভারতে। মূলত হিমালয় এবং তার সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে।
বিশদ

16th  February, 2019
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এগিয়ে?
সমৃদ্ধ দত্ত

গত পাঁচ বছরে সিপিএম একবারও কি রেলমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করে রাস্তায় নেমেছে? পশ্চিমবঙ্গ কেন বঞ্চিত হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে কখনও সিপিএমকে প্রেস কনফারেন্স করতে দেখেছে কেউ? কেন কিছু করেনি সিপিএম? কারণ এখন আর রেলমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। বিশদ

15th  February, 2019
রাফাল না সিবিআই, মোদি-বিরোধিতায় সবচেয়ে শক্তিশালী ইস্যু কোনটি?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 রাফাল ইস্যুকে সামনে রেখে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তির ওপর প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ধারাবাহিকভাবে রাফাল ইস্যু প্রচারের কেন্দ্রে রাখতে পেরেছিলেন রাহুল। হিন্দি বলয়ে তিন রাজ্য—মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়-এ বিজেপি’র পরাজয়ের পিছনে অন্য সমস্ত কারণের মধ্যে রাহুল গান্ধীর তোলা রাফাল যুদ্ধ বিমান দুর্নীতির প্রচার বিজেপি’র বিরুদ্ধে গিয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন।
বিশদ

14th  February, 2019
একনজরে
বিএনএ, কোচবিহার: লোকসভা নির্বাচনের মুখে প্রার্থী নির্বাচনকে ঘিরে কোচবিহারে বিজেপি’তে জোর কোন্দল শুরু হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির জেলা সভাপতি মালতী রাভা সহ জেলা কমিটির একাধিক নেতা প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করেছেন।  ...

সুকান্ত বসু, কলকাতা: জেলে অসাধু উপায়ে মোবাইল এবং সিম কার্ডের অনুপ্রবেশ রুখতে এবার কারারক্ষীদেরই একটি বিশেষ টিমকে সংশোধনাগারের বাইরে তিনটি শিফটে নজরদারি চালানোর কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে। কারা দপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রতিটি সংশোধনাগারে একই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। প্রয়োজনে স্থানীয় ...

 কানেস, ২৫ ফেব্রুয়ারি: গ্র্যান্ডমাস্টার অভিজিৎ গুপ্তা কানে ইন্টারন্যাশনাল ওপেন দাবায় চ্যাম্পিয়ন হলেন। সোমবার প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডে ইতালির পিয়ের লুইগি বাসোর সঙ্গে ড্র করেন অভিজিৎ। ...

বিএনএ, সিউড়ি: গ্রামের মধ্যে মদের দোকান খোলার আবেদনের বিরোধিতা করে ফের রাস্তায় নামলেন এলাকার বাসিন্দারা। রবিবার মুরারই থানার কনকপুর সারদুয়ারি গ্রামের বাসিন্দারা হাতে প্লাকার্ড নিয়ে এলাকায় মিছিল করেন।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০২: ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম
১৯০৮: লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম
১৯৩৬: চিত্র পরিচালক মনমোহন দেশাইয়ের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৯ টাকা ৭১.৮৯ টাকা
পাউন্ড ৯১.২৫ টাকা ৯৪.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৯.১৪ টাকা ৮২.১৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৮৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩২,১৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,৬৩৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ ফাল্গুন ১৪২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, অষ্টমী ৫৮/১০ শেষ রাত্রি ৫/২১। অনুরাধা নক্ষত্র ৪২/২৬ রাত্রি ১১/৩। সূ উ ৬/৪/৫০, অ ৫/৩৪/৪০, অমৃতযোগ দিবা ৮/২২ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে পুনঃ ৩/১৫ গতে ৪/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/৫৫ গতে ৩/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৭/৩২ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১/১৬ গতে ২/৪২ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৪২ মধ্যে।
১৩ ফাল্গুন ১৪২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ১০/১৪/২৯। অনুরাধানক্ষত্র রাত্রি ৩/৫৪/২৩, সূ উ ৬/৬/৫, অ ৫/৩৩/১, অমৃতযোগ দিবা ৮/২৩/৫৮ থেকে ১০/৪০/৫১ মধ্যে ও ১২/৫৪/১৫ থেকে ২/২৯/৫০ মধ্যে ও ৩/১৫/৩৮ থেকে ৪/৪৭/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৩/১৩ মধ্যে ও ৮/৫৩/৫০ থেকে ১১/২৪/২৭ মধ্যে ও ১/৪৫/৪ থেকে ৩/৩৫/২৮ মধ্যে, বারবেলা ৭/৩১/৫৭ থেকে ৮/৫৭/৪৯ মধ্যে, কালবেলা ১/১৫/২৫ থেকে ২/৪১/১৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৭/৯ থেকে ৮/৪১/১৭ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়স সানি
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বৃষ: মামলা-মোকদ্দমায় জয় লাভ। মিথুন: বয়স্ক ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিন  
১৮০২: ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম১৯০৮: লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম১৯৩৬: ...বিশদ

07:03:20 PM

ফের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের  
আজ বিকাল ৫.৩০টা নাগাদ জম্মু ও কাশ্মীরের নৌসেরা, কৃষ্ণঘাঁটি ও ...বিশদ

06:26:29 PM

উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দিনেই মোবাইল সহ ধরা পড়ল ৫ জন, বাতিল রেজিস্ট্রেশন 

05:04:13 PM

২৪০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

03:51:20 PM

যে কোনও পরিস্থিতির জন্য সেনা এবং দেশবাসীকে তৈরি থাকতে বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান  

03:45:06 PM