Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাফাল না সিবিআই, মোদি-বিরোধিতায় সবচেয়ে শক্তিশালী ইস্যু কোনটি?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাফাল ইস্যুকে সামনে রেখে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তির ওপর প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ধারাবাহিকভাবে রাফাল ইস্যু প্রচারের কেন্দ্রে রাখতে পেরেছিলেন রাহুল। হিন্দি বলয়ে তিন রাজ্য—মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়-এ বিজেপি’র পরাজয়ের পিছনে অন্য সমস্ত কারণের মধ্যে রাহুল গান্ধীর তোলা রাফাল যুদ্ধ বিমান দুর্নীতির প্রচার বিজেপি’র বিরুদ্ধে গিয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন। ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’—এই স্লোগান যখন মোদির বিরুদ্ধে ক্রমশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছিল, ঠিক সেই সময়ই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মমতার ধর্না জাতীয় রাজনীতির প্রচারের অভিমুখে পরিবর্তন আনে। সারা দেশজুড়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তদন্তের নামে সিবিআইকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করবার জন্য আওয়াজ ওঠে। সারদা মামলায় কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের সাক্ষ্য নিশ্চিত করবার জন্য সিবিআই তৎপর হয়ে উঠলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআইকে কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে এই অভিযোগ তুলে ধর্মতলায় দু’দিন ব্যাপী ধর্না দেন। সারা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মোদি-বিরোধী নেতৃত্ব মমতার তোলা আওয়াজের সঙ্গে নিজেদের শামিল করেন। ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি থেকে তেলুগু দেশম পার্টির নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে শুরু করে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব অনেকেই ধর্মতলায় মমতার ধর্নামঞ্চে এসে মোদির বিরুদ্ধে মমতার তোলা সিবিআই-এর অপব্যবহার নিয়ে সরব হন এবং মমতাকে মোদি-বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী হিসেবে মেনে নেন। ঠিক হয় এই ধরনের ধর্না দিল্লি এবং দেশের অন্য প্রান্তেও তাঁরা আয়োজন করবেন মোদির বিরুদ্ধে।
ধর্মতলায় মমতার মোদির বিরুদ্ধে এই আন্দোলনের প্রভাব জাতীয় রাজনীতিতে স্পষ্ট লক্ষ করা যাচ্ছে। সিবিআইকে কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে চাইছে— মমতার তোলা এই অভিযোগের সঙ্গে দেশের অধিকাংশ আঞ্চলিক দলের নেতৃত্ব এখন সহমত পোষণ করছেন। কেজরিওয়াল থেকে তেজস্বী যাদব, মায়াবতী থেকে রাহুল গান্ধী সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা সিবিআই ইস্যুকে সামনে রেখে মোদির বিরুদ্ধে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলি ধ্বংস করার অভিযোগ তুলছেন। গত কয়েকদিন সংসদের ভেতরে এবং বাইরের রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে উঠেছেন। ধর্না চলাকালীন স্বয়ং কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী মমতাকে ফোন করে তাঁর আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। সিবিআইকে কেন্দ্র করে মমতার ধর্না জাতীয় রাজনীতিতে তাঁকে কয়েক কদম এগিয়ে দিল বলা যায়।
বস্তুত, নোটবন্দির পর থেকে লাগাতার মোদি-বিরোধী আন্দোলন মমতাকে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিয়ে এসেছিল। গত ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে মোদি-বিরোধী দেশের সমস্ত নেত্রীবৃন্দকে এক মঞ্চে এনে তিনি প্রমাণ দিয়েছিলেন এই মুহূর্তে মোদি-বিরোধিতায় তিনি প্রধান মুখ। ওই সমাবেশে কংগ্রেসের তরফ থেকে লোকসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং দলের সংসদ সদস্য অভিষেক মনু সিংভি ব্রিগেডের জনসভায় উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও সোনিয়া গান্ধী একপ্রকার বাধ্য হয়েছিলেন ব্রিগেড সমাবেশকে সামনে রেখে মমতার উদ্দেশ্যে চিঠি লিখতে। প্রদেশ কংগ্রেসের অনুরোধ উপেক্ষা করেই সোনিয়া গান্ধী মমতার ব্রিগেড সমাবেশে মল্লিকার্জুন খাড়গের মতো নেতাকে পাঠাতে বাধ্য হয়েছিলেন। না হলে জাতীয় রাজনীতিতে মোদি-বিরোধিতায় কংগ্রেসের একঘরে হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকত।
ব্রিগেডের পর ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে একাধিক বিরোধী নেতার উপস্থিতি দিল্লির কংগ্রেস নেতৃত্বকে নতুনভাবে কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেসের সমীকরণ নিয়ে ভাবতে বাধ্য করছে। কংগ্রেসের জাতীয় নেত্রীবর্গ জানে প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃবর্গ যেমন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী জোট চায় না, তেমনি তৃণমূল নেত্রীও রাজ্যের ৪২টি আসন জয়ের আশায় প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী জোট নিয়ে ভাবেন না। রাহুল-সোনিয়া গান্ধীর কাছে সমস্যাটা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি নিয়ে নয়—তাঁদের কাছে আরও বড় প্রশ্ন হল, মমতা যেভাবে জাতীয় রাজনীতিতে মোদি-বিরোধী প্রধান মুখ হয়ে উঠেছেন, তাতে নির্বাচনের ফলাফলের পর বিজেপিকে সরিয়ে দেশের সরকার গঠনের সম্ভাবনা দেখা দিলে আদতেও সেই সরকার পরিচালনার নেতৃত্বের চাবিকাঠি রাহুলের হাতে থাকবে কি না সেই বিষয়ে। যেভাবে রাহুলের তোলা রাফাল ইস্যুকে ছাপিয়ে গিয়ে মমতার তোলা সিবিআইয়ের অপব্যবহার সংক্রান্ত ইস্যু জাতীয় রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পেল, তাতে কংগ্রেস নেতৃবর্গের হাতে মোদি-বিরোধী আন্দোলনের চাবিকাঠি থাকবে কি না সে বিষয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। রাফালকে জাতীয় ইস্যু করেই নেতা হিসেবে রাহুল গান্ধীর পুনরুজ্জীবন ঘটেছিল জাতীয় রাজনীতিতে। রাস্তার আন্দোলনে মমতা সব সময়ই অপ্রতিরোধ্য। বাম জমানায় বারবার রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে তৎকালীন বাম সরকারের থেকে দাবি আদায় করে নিয়েছেন কখনও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে, কখনও বা সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের জমি রক্ষার আন্দোলন—সর্বত্রই বিরোধী নেত্রী হিসেবে মমতা ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। মোদির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আরও একবার প্রমাণ করলেন রাস্তার আন্দোলনে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। এই আন্দোলনের যে সমস্ত ফসল তিনি ঘরে তুলতে পেরেছেন সেগুলি হল:
(ক) ধর্নার মধ্য দিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে মোদির বিরোধিতায় তিনি কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে উঠেছেন।
(খ) দেশের সমস্ত আঞ্চলিক নেতৃবর্গ সমেত কংগ্রেস সভাপতি তাঁর আন্দোলনকে সমর্থন করে মোদি-বিরোধিতায় তাঁর ভূমিকাকে স্বীকার করে নিয়েছেন।
(গ) কেবল বিরোধী পক্ষ নয়, ধর্নায় বসার পর থেকে কেন্দ্রের শাসকবর্গ, বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের মতো বিজেপি’র শীর্ষ নেতৃবর্গ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজিত জনসভাগুলিতে মমতাকে টার্গেট করে বক্তৃতা করছেন। যা প্রমাণ করে বিরোধী নেতৃবর্গের মধ্যে শাসকের দৃষ্টিতেও তৃণমূল নেত্রী কেন্দ্রে রয়েছেন।
(ঘ) লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেত্রীর ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে বসা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। ক্ষমতায় আট বছর থাকার পরেও নেত্রী রাস্তায় বসে এখনও আন্দোলন করতে পারেন—এই ভাবনা তৃণমূল নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও উচ্চাসনে প্রতিষ্ঠা করল।
(ঙ) সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে সারা রাজ্যের প্রতিটি বুথে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা মিটিং-মিছিল আয়োজন করে। এর ফলে লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ ভিত্তিক সাংগঠনিক শক্তি কেমন রয়েছে তা যাচাই করার সুযোগ পেয়ে গেল তৃণমূল নেতৃত্ব। ভোটের আগে সাংগঠনিক দিক থেকে যার গুরুত্ব অপরিসীম।
(চ) মমতার ধর্না এবং তীব্র মোদি-বিরোধিতা রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটারদের কাছে তৃণমূল কংগ্রেসকে একমাত্র মোদি-বিরোধী মঞ্চ হিসেবে প্রতিপন্ন করবে। এই নির্বাচনে একশো ভাগ সংখ্যালঘু মানুষের মধ্যে আশি ভাগ সংখ্যালঘু মানুষ যদি তৃণমূলের পক্ষে রায় দেয়, তবে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
এই সমস্ত কিছু ভাবনা জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের পক্ষে যেতে পারে। অন্যদিকে তেমনি সিবিআই ইস্যু জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রে চলে আসায় নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত দুর্নীতির ইস্যু অর্থাৎ রাফাল দুর্নীতির ইস্যু জাতীয় রাজনীতির প্রচারের কেন্দ্র থেকে বেশ খানিকটা আড়ালে চলে গেল। তাতে কি বিজেপি’র জন্য খানিকটা স্বস্তি এল? কারণ মোদির বিরুদ্ধে যতক্ষণ রাফাল-এর মতো দুর্নীতি ইস্যু প্রচারের কেন্দ্রে ছিল ততক্ষণ পর্যন্ত মোদি সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত এই ভাবনায় ভোটারদের প্রভাবিত করবার সুযোগ ছিল। অন্যদিকে সিবিআইকে নরেন্দ্র মোদি রাজনৈতিকভাবে অপব্যবহার করছেন—এই অভিযোগের প্রচার মোদি, অমিত শাহকে পাল্টা প্রচার করবার সুযোগ এনে দিয়েছে বিরোধীরা কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত সেই বিষয়ে জনসমক্ষে তুলে ধরবার। বিরোধীদের বিরুদ্ধে চলা সিবিআই তদন্তকে প্রচারের আলোতে নিয়ে এসে মোদি, অমিত শাহরা দেখাতে চাইছেন তাঁদের লক্ষ্য দুর্নীতি মুক্ত ভারত গঠন। অর্থাৎ মোদি, অমিত শাহের বিরুদ্ধে রাফাল ইস্যু সক্রিয় থাকলে তাঁদের ভাবমূর্তির ওপর দুর্নীতির কালো মেঘ ঢেকে থাকবে। অন্যদিকে সিবিআই তদন্তে বেশি সরব হলে মোদি, অমিত শাহ তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির তির সহজেই বিরোধী শিবিরের দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারবেন।
পাশাপাশি সমস্ত বিরোধী দল মিলে কেবল নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতা করলে মোদি সহজেই ২০১৯-এর নির্বাচনে নায়ক হয়ে উঠতে পারবেন। ইতিমধ্যে তাকে সরানোই বিরোধীদের একমাত্র কাজ—এই বক্তব্য তিনি একের পর এক জনসভায় প্রচার করে ভোটারদের মন জিততে চাইছেন। তিনি চাইছেন লড়াইটা ‘মোদি বনাম সমস্ত বিরোধী পক্ষ’ এই পর্যায়ে নিয়ে যেতে। লড়াই ‘মোদি বনাম সকল পক্ষ’ এই ভাবনায় আটকে গেলে মোদি কিন্তু কিছুটা বাড়তি সুবিধায় থাকবেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একইভাবে ‘মমতা বনাম সমস্ত বিরোধী পক্ষ’ এই পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। ওই ভাবনাকে সামনে রেখে মমতা ঘোষণা করেছিলেন তিনি ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। সেদিন রাজ্যের বিরোধীরা মমতার বিরুদ্ধে চূড়ান্তভাবে প্রচার চালিয়ে যে ভুল করেছিলেন, মোদির বিরুদ্ধে একই ভুল করা থেকে নিজেদের বিরত রাখতে পারবে তো বিজেপি’র বিরুদ্ধে থাকা দলগুলি?
লেখক রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক
14th  February, 2019
তাহলে পুলওয়ামা কাণ্ডই কি এবার ভোটের প্রধান ইস্যু?
মোশারফ হোসেন

দেখতে দেখতে লোকসভার ভোট তো এসেই গেল বলা যায়। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে আগামী দু’-তিন সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেবে। আর, তারপরই গোটা দেশ মেতে উঠবে ভোট উৎসবে। 
বিশদ

শুধু শোক আর ক্রোধ, চেতনা নেই
পি চিদম্বরম

মাসুদ আজহারকে বাগে পেয়েও ২০০০ সালের জানুয়ারিতে তাকে মুক্তি দিতে বাধ‌্য হওয়ার আফটার শক বা ঝটকা আমরা এখনও নিয়মিত অনুভব করি। প্রতিটা ঝটকা ভারতবাসীকে মনে করিয়ে দেয় যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার মাসুদ আজহারকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পণবন্দি আইসি-১৮৪ বিমানের যাত্রী ও কর্মীদের মুক্তির বিনিময়ে।
বিশদ

25th  February, 2019
পুলওয়ামার পর
শুভা দত্ত

 পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার পর কেটে গেল বেশ কয়েকটা দিন। ওই ঘটনার জেরে দেশ জুড়ে ক্ষোভ শোকের যে আগুনে আলোড়ন উঠেছিল তাও আজ অনেকটাই কমে গেছে। মোমবাতি মিছিল, ধিক্কার সভার রেশও এখন অনেকটাই মিলিয়ে এসেছে। অবশ্য, তুষের আগুনের মতো তার তাপ এখনও সাধারণ ভারতবাসীর নিত্যদিনের জীবনের আড়ালে যে ধিক ধিক করে জ্বলছে তা একটু ভালো করে নজর করলেই টের পাওয়া যায়।
বিশদ

24th  February, 2019
অন্তর্বর্তী বাজেটে শিশুরা কী পেল?
শুভময় মৈত্র

জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মতই বাজেটে বানানোর সময় শিশুদের মত নেওয়া হয় না মোটেই। শিশুদের অবস্থা অনেকটা হতদরিদ্র মানুষের মত। গরিবদের ভালো খারাপ ঠিক করে সমাজের সম্পদশালী মানুষেরা। তেমনই ছোটদের ভালোমন্দ প্রাপ্তবয়স্কদের হাতে।
বিশদ

23rd  February, 2019
জঙ্গি হানার পর
সমৃদ্ধ দত্ত

 সেনাপ্রধান স্যাম মানেকশকে ডেকে ইন্দিরা গান্ধী বললেন, জেনারেল, আমার মনে হয় ইস্ট পাকিস্তানি (পরবর্তী বাংলাদেশ) বেঙ্গলিদের রক্ষা করতে আমাদের মিলিটারি অ্যাকশনে যেতে হবে। ইস্ট পাকিস্তান থেকে স্বৈরাচারী আর্মি রুলকে সরাতে হবে। সেটা ইন্ডিয়ার সুরক্ষার জন্যও খুব দরকার।
বিশদ

22nd  February, 2019
শিশুদের বাজেট
শুভময় মৈত্র

 একশো ত্রিশ কোটির দেশে আশি কোটি প্রাপ্তবয়স্ক ভোটার, বাকি পঞ্চাশ কোটি বয়সে ছোট। যার ভোট নেই তার জন্যে লোকসভা নির্বাচনের মাস তিনেক আগে ভাবার সময় থাকে না শাসকদলের। সেই জন্যেই বাজেট বক্তৃতায় শিশুদের কথা খুঁজতে গেলে দূরবিন প্রয়োজন। তবে চশমা ছাড়াই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে এবারের বাজেটের বিশালাকার অক্ষরের ভীষণ চমক ‘ভিশন ২০৩০’। আজ থেকে এগারো বছর পর দেশ ঠিক কোথায় পৌঁছবে তার চালচিত্র। কোথাও কিন্তু আজকের শিশুদের কথা নেই।
বিশদ

22nd  February, 2019
আর একটি ৮ ফাগুনের প্রতীক্ষায়...
অতনু বিশ্বাস

ওদিকে বাংলাভাষার তৃতীয় ভুবনে অসমের বারাক উপত্যকায় বাংলাভাষার অধিকার রক্ষার সত্যাগ্রহীদের উপরে পুলিসের নির্বিচার গুলিতে ১৯৬১-র ১৯ মে, রবীন্দ্র শতবর্ষের কবিপক্ষের মাঝেই, জন্ম হল একাদশ শহিদের।
বিশদ

21st  February, 2019
যুগজাগরণে যুগাচার্য স্বামী প্রণবানন্দজি মহারাজ
স্বামী নীলেশ্বরানন্দ

যুগজাগরণ এক যুগাচার্যের সাধনসিদ্ধির প্রাক্কালীন শ্রীমুখ নিঃসৃত যুগমহাবাণী। এ জাগরণ মানব জীবনের উন্নয়ন উদ্বোধনের আকাশবার্তা। ১৯১৬ সনের পুণ্যময়ী মাঘী পূর্ণিমার শুভ লগ্নে এক সাধক সাধন সমাহিত অবস্থা থেকে উত্থিত হয়েই জগৎবাসীর কল্যাণে উৎসর্গ করলেন এক মহাআশ্বাস বাণী—এ যুগ মহাজাগরণের তথা মহাসমন্বয়ের।
বিশদ

19th  February, 2019
ইসলামাবাদের ইসলামি ঐক্যের ফাঁদে কাশ্মীর
হারাধন চৌধুরী

ঘটনাটিকে বাসি বলার সময় এখনও হয়নি। বলিউডের নামজাদা অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহের এক সংকীর্ণ মন্তব‌্যে উৎসাহিত হয়ে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করে বসলেন, ‘‘সংখ‌্যালঘুদের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হয় তা মোদি সরকারকে দেখিয়ে দেবে পাকিস্তান।’’
বিশদ

19th  February, 2019
বধ্যভূমি কাশ্মীর: আমরা কি
কেবল মার খেতেই থাকব!

শুভা দত্ত

 গত বৃহস্পতিবার আবার জঙ্গি তাণ্ডবে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ, দেশপ্রেমিক জওয়ানদের রক্তে ভিজে গেল কাশ্মীর উপত্যকার মাটি। পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় জয়েশ জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলায় সিআরপিএফের ৪৪ জন জওয়ান শহিদ হলেন।
বিশদ

17th  February, 2019
মার্কিন মুলুকে (-) ৬০,
সন্ধিক্ষণ কিন্তু পরিবর্তনেরই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পোলার ভর্টেক্সের প্রভাব কি ভারতেও পড়েছে? এবার উত্তর ভারতের দীর্ঘস্থায়ী ঠান্ডার জন্য আবহাওয়াবিদরা কিছুটা হলেও পোলার ভর্টেক্সকে দায়ী করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পোলার ভর্টেক্স দুর্বল হয়ে ঠান্ডাটাকে আমেরিকা ও ইউরোপের উত্তরভাগে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে। আর তার ধাক্কায় দক্ষিণের দিকে চলে এসেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এমনিতে বছরে চার থেকে ছ’টি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ভারতীয় উপমহাদেশে এসে ধাক্কা খায়। চলতি বছর সেই সংখ্যাটা সাত। যার জন্য শীতের প্রকোপ বেড়েছে ভারতে। মূলত হিমালয় এবং তার সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে।
বিশদ

16th  February, 2019
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এগিয়ে?
সমৃদ্ধ দত্ত

গত পাঁচ বছরে সিপিএম একবারও কি রেলমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করে রাস্তায় নেমেছে? পশ্চিমবঙ্গ কেন বঞ্চিত হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে কখনও সিপিএমকে প্রেস কনফারেন্স করতে দেখেছে কেউ? কেন কিছু করেনি সিপিএম? কারণ এখন আর রেলমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। বিশদ

15th  February, 2019
একনজরে
সুকান্ত বসু, কলকাতা: জেলে অসাধু উপায়ে মোবাইল এবং সিম কার্ডের অনুপ্রবেশ রুখতে এবার কারারক্ষীদেরই একটি বিশেষ টিমকে সংশোধনাগারের বাইরে তিনটি শিফটে নজরদারি চালানোর কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে। কারা দপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রতিটি সংশোধনাগারে একই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। প্রয়োজনে স্থানীয় ...

বিএনএ, কোচবিহার: লোকসভা নির্বাচনের মুখে প্রার্থী নির্বাচনকে ঘিরে কোচবিহারে বিজেপি’তে জোর কোন্দল শুরু হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির জেলা সভাপতি মালতী রাভা সহ জেলা কমিটির একাধিক নেতা প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করেছেন।  ...

 দীপ্তিমান মুখোপাধ্যায়, হাওড়া: আমতা ব্রিজ থেকে ঝিকিরা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ নিল পূর্ত দপ্তর। এখন এই রাস্তাটি অত্যন্ত অপরিসর ও খারাপ অবস্থায় আছে। ফলে লোকজনের যথেষ্ট ভোগান্তি হচ্ছে। এই অবস্থায় এই রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য পূর্ত দপ্তরের কাছে ...

বিএনএ, সিউড়ি: গ্রামের মধ্যে মদের দোকান খোলার আবেদনের বিরোধিতা করে ফের রাস্তায় নামলেন এলাকার বাসিন্দারা। রবিবার মুরারই থানার কনকপুর সারদুয়ারি গ্রামের বাসিন্দারা হাতে প্লাকার্ড নিয়ে এলাকায় মিছিল করেন।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০২: ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম
১৯০৮: লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম
১৯৩৬: চিত্র পরিচালক মনমোহন দেশাইয়ের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৯ টাকা ৭১.৮৯ টাকা
পাউন্ড ৯১.২৫ টাকা ৯৪.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৯.১৪ টাকা ৮২.১৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৮৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩২,১৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,৬৩৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ ফাল্গুন ১৪২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, অষ্টমী ৫৮/১০ শেষ রাত্রি ৫/২১। অনুরাধা নক্ষত্র ৪২/২৬ রাত্রি ১১/৩। সূ উ ৬/৪/৫০, অ ৫/৩৪/৪০, অমৃতযোগ দিবা ৮/২২ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে পুনঃ ৩/১৫ গতে ৪/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/৫৫ গতে ৩/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৭/৩২ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১/১৬ গতে ২/৪২ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৪২ মধ্যে।
১৩ ফাল্গুন ১৪২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ১০/১৪/২৯। অনুরাধানক্ষত্র রাত্রি ৩/৫৪/২৩, সূ উ ৬/৬/৫, অ ৫/৩৩/১, অমৃতযোগ দিবা ৮/২৩/৫৮ থেকে ১০/৪০/৫১ মধ্যে ও ১২/৫৪/১৫ থেকে ২/২৯/৫০ মধ্যে ও ৩/১৫/৩৮ থেকে ৪/৪৭/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৩/১৩ মধ্যে ও ৮/৫৩/৫০ থেকে ১১/২৪/২৭ মধ্যে ও ১/৪৫/৪ থেকে ৩/৩৫/২৮ মধ্যে, বারবেলা ৭/৩১/৫৭ থেকে ৮/৫৭/৪৯ মধ্যে, কালবেলা ১/১৫/২৫ থেকে ২/৪১/১৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৭/৯ থেকে ৮/৪১/১৭ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়স সানি
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বৃষ: মামলা-মোকদ্দমায় জয় লাভ। মিথুন: বয়স্ক ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিন  
১৮০২: ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম১৯০৮: লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম১৯৩৬: ...বিশদ

07:03:20 PM

ফের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের  
আজ বিকাল ৫.৩০টা নাগাদ জম্মু ও কাশ্মীরের নৌসেরা, কৃষ্ণঘাঁটি ও ...বিশদ

06:26:29 PM

উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দিনেই মোবাইল সহ ধরা পড়ল ৫ জন, বাতিল রেজিস্ট্রেশন 

05:04:13 PM

২৪০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

03:51:20 PM

যে কোনও পরিস্থিতির জন্য সেনা এবং দেশবাসীকে তৈরি থাকতে বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান  

03:45:06 PM