Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

শিশুদের বাজেট
শুভময় মৈত্র

জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মতই বাজেটে বানানোর সময় শিশুদের মত নেওয়া হয় না মোটেই। শিশুদের অবস্থা অনেকটা হতদরিদ্র মানুষের মত। গরিবদের ভালো খারাপ ঠিক করে সমাজের সম্পদশালী মানুষেরা। তেমনই ছোটদের ভালোমন্দ প্রাপ্তবয়স্কদের হাতে। সমাজ-সংসারের সাদামাটা নিয়মে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষের অবস্থা যেমন তথৈবচ, শিশুদের ক্ষেত্রেও বিষয়টা তাই। নিম্নবিত্ত ঘরের সন্তানকে তো বংশগতির দারিদ্র্যের দায় নিতেই হবে। তবে আরও জটিল বিষয় হল তুলনায় মধ্যবিত্ত বা সম্পদশালী ঘরে জন্মালেও এ দেশে শিশুদের জীবন খুব সুখের নয়। ছোটবেলা থেকেই যে ধরনের প্রতিযোগিতার মুখে তাদের পড়তে হচ্ছে তাতে বর্তমানে খড়ের গাদায় শৈশব খোঁজার সুযোগটাই অনুপস্থিত। তবে শৈশব হারিয়ে গেলেও প্রকৃতির নিয়মে শিশুরা তো থাকবেই। তাই একবার ফিরে তাকানো যেতে পারে এ বছরের অন্তর্বর্তী বাজেটে শিশুরা কী পেল সেই খোঁজে। এ বিষয়ে তথ্যভিজ্ঞ মহল অনেক সময় নজর রাখেন ক্রাই (চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড ইউ, অর্থাৎ শিশুদের অধিকার এবং আপনি) এর আকাশপাতায়। উৎসাহী পাঠক-পাঠিকা সম্পূর্ণ তথ্যের জন্যে সেগুলো খুঁজে দেখতে পারেন। আপাতত অল্প কিছু পরিসংখ্যানে নজর রাখা যাক।
আজকের দিনে ভারতে জনসংখ্যা একশো ত্রিশ কোটির বেশি। আদমশুমারির হিসেবে প্রতি পাঁচজনে প্রায় দুজন আঠারো বছরের নীচে, অর্থাৎ হিসেব মোটামুটি পঞ্চাশ কোটির। সোজাসাপটা সংখ্যা বলছে এবারের বাজেটে শিশুদের জন্যে ধরা হয়েছে নব্বই হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। সহজে ভাগ করার জন্যে একে এক লক্ষ কোটিই ধরা যাক। সেক্ষেত্রে আঠারোর নীচে প্রতিটি নাগরিকের জন্যে সারা বছরের বরাদ্দ দু’হাজার টাকা, দিনে ছ’টাকার সামান্য কম। এটা অবশ্য বড্ড গোদা পরিসংখ্যান। সরকার সেই জায়গায় অন্যরকম কিছু যুক্তি পেশ করতে পারে। সংসারের আয়ের একটা অংশ তো অবশ্যই শিশুদের পেছনে খরচ হয়, সুতরাং সেই হিসেবে হয়তো শিশুরা আর একটু বেশি দুধেভাতে থাকবে। অঙ্কে অঙ্ক বাড়ে, তবে বরাদ্দ বাড়ে না। তাই শিশুদের হাতেখড়ি দেওয়ার জন্যে যদি মহাকাশবিজ্ঞানের অঙ্ক কষে ভালোমন্দ বুঝতে হয় তাহলে ব্যাপক মুশকিল।
সহজ জনগাণিতিক জ্ঞানের মাপকাঠিতে এই বরাদ্দ গত বছরের থেকে বেড়েছে মাত্র ০.০১%
এবং পৌঁছেছে ৩.২৫% এ। এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন যে ২০০৩-৪ এর বাজেটে এই বরাদ্দ ছিল মাত্র ২.২%, যা ইউপিএ রাজত্বের মাঝপথে ২০০৭-৮ আর্থিক বছরে বেড়ে দাঁড়ায় ৪.৯৩% এ। শেষ চার বছরের বিজেপি শাসনে এই পরিসংখ্যান ৩.২৬%, ৩.৩২%, ৩.৩২% এবং ৩.২৪%। অন্তর্জালের কল্যাণে আর কোন বিপ্লব না ঘটুক, তথ্য বিপ্লব ঘটে গেছে অবশ্যই। সেজন্যেই খুব সহজে খুঁজে পাওয়া যায় গত কয়েক বছরের সঙ্গে এ বছরের অন্তর্বর্তী বাজেটের তুলনা।
শিশুদের বাজেট বিশ্লেষণের আগে আরও দু-একটি তথ্য মনে করিয়ে দেওয়া যাক। আমাদের দেশে মোটামুটি ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু বলে ধরা হয়, ইংরেজিতে যাকে বলে চাইল্ড। সংবিধানের ২১ এর ‘ক’ ধারা বলে যে ছয় থেকে চোদ্দ বছর বয়েসের শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক। শুধুমাত্র নিম্নবিত্ত বাবা মায়ের শিশুদের ধরে গুণভাগে অনেকটা বাড়িয়ে কমিয়ে দিনে দৈনিক ছ টাকাকে ছয় ছক্কা ছত্রিশ টাকা করলেও কীভাবে সেই অর্থে একটি শিশুর শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য কিছু ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করা যায় সে প্রশ্নে ঢুকে নিজেদের আর বেশি অপ্রস্তুত না করাই ভালো। সবটুকু অবশ্য খারাপ বলা যাবে না। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের প্রায় ৯৭.২% শিশু স্কুলে নাম লিখিয়েছে। ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম স্কুলে না যাওয়া শিশুর সংখ্যা তিন শতাংশের নীচে নামল। তবে এতে আত্মশ্লাঘার খুব কারণ নেই। শিক্ষার মানের সমীক্ষা কিন্তু অন্যরকমের খবর আনছে। দশ-এগারো বছরের বাচ্চারা, অর্থাৎ যারা মোটামুটি পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ছে, তাদের অঙ্কের জ্ঞান এই মুহূর্তে বেশ গোলমেলে। ২০১৮ সালের হিসেব জানাচ্ছে তাদের মধ্যে মাত্র আঠাশ শতাংশ বাচ্চা ভালোভাবে ভাগ করতে পারে। দশ বছর আগে এই শতাংশ ছিল অনেক বেশি, প্রায় সাঁইত্রিশ।
অঙ্কের কচকচিতে আর বেশি না গিয়ে এটা মনে করিয়ে দেওয়া ভালো যে শিশুদের মোট বাজেটে শিক্ষার জন্যে বরাদ্দ কমছে বছর বছর। জনগণতান্ত্রিক ভারতবর্ষে আধা-সামন্ততান্ত্রিক আধা-পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় শিশুশিক্ষার বরাদ্দ কমলে শিশুদের শিক্ষার মান যে কমে এই পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। কারণ তা নাহলে ভবিষ্যতের কোনও সরকার হয়তো ‘পেটে খিদে থাকলে পড়াশোনা ভালো হয়’ গোছের নীতিবাক্য শুনিয়ে তার পিছনে কিছু তথ্যরাশি পেশ করার সুযোগ খুঁজত।
এবারের অন্তর্বর্তী বাজেটে কৃষকদের জন্যে অনেক ভেবেছে সরকার, ভেবেছে শ্রমিকদের কথাও। বাজেট বক্তৃতার ছত্রে ছত্রে মেহনতি মানুষের জন্যে বিকল্প অর্থমন্ত্রীর হাহাকার। কথায় কথায় মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দেশের পিছিয়ে থাকা অংশের জন্যে ভীষণ দুশ্চিন্তায়। ভোটের আগে কত তাড়াতাড়ি চাষির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে সেই উদ্দেশ্যে ভারতে ইন্টারনেটের তারগুলো কোদাল চালিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে। এমন গতিতে কেন্দ্রীয় কোষাগার থেকে কৃষকপ্রতি প্রথম কিস্তির ডিজিটাল ক্যাশ ছিটকে বেরচ্ছে যে পরমাণুবিজ্ঞানে নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে ইলেকট্রনের গতিবেগ নিয়ে। দুঃখী চাষির কথা ভাবতে গিয়ে মোদি সরকার না পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেয়ে যায়! দুহাজার টাকায় কতোগুলো মৌলিক বৈদ্যুতিন কণা সেই নিয়ে ঐকিক নিয়মে গবেষণা চলছে অর্থমন্ত্রকে। এমনিতেই কৃষকদের যে কোনও লম্বা মিছিলের শেষে মঞ্চে উপবিষ্ট থাকেন রাহুল গান্ধী। তার ওপর প্রিয়াঙ্কা যোগ দিয়েছেন সক্রিয় রাজনীতিতে। হিন্দি বলয়ে বিজেপির ভোটের ভাগ কমছে। এইসময় আর কৃষকদের ভোট অন্যদিকে ভেসে যেতে দেওয়া যায় না। তাইতো সামনের বছরের (২০১৯-২০) অন্তর্বর্তী বাজেটের গল্পে গোঁজামিল দিয়ে বর্তমান আর্থিক বছরের (২০১৮-১৯) বরাদ্দ থেকেই টাকা সরিয়ে রাখা হয়েছে কৃষকদের চোখের জল মোছানোর জন্যে। শ্রমিকদের জন্যে অবশ্য হাতে হাতে টাকা নেই, বরং সেখানে ভবিষ্যতে পেনশনের হাতছানি।
তাহলে শিশুদের জন্যে নতুন ভাবনা নেই কেন? তার কারণ একেবারে পরিষ্কার। একশো ত্রিশ কোটির দেশে আশি কোটি প্রাপ্তবয়স্ক ভোটার, বাকি পঞ্চাশ কোটি বয়সে ছোট। যার ভোট নেই তার জন্যে লোকসভা নির্বাচনের মাস তিনেক আগে ভাবার সময় থাকে না শাসকদলের। সেই জন্যেই বাজেট বক্তৃতায় শিশুদের কথা খুঁজতে গেলে দূরবিন প্রয়োজন। তবে চশমা ছাড়াই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে এবারের বাজেটের বিশালাকার অক্ষরের ভীষণ চমক ‘ভিশন ২০৩০’। আজ থেকে এগারো বছর পর দেশ ঠিক কোথায় পৌঁছবে তার চালচিত্র। দশ ট্রিলিয়ন (একের পর তেরোটা শূন্য) ডলারের অর্থনীতি বোঝাতে আলোচনা করা হয়েছে দশটি মূল বিষয়ের। পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে উন্নত পরিকাঠামোর কথা আছে, আছে সবার ডিজিটাল ইন্ডিয়া। আছে ভারতকে পরিচ্ছন্ন এবং দূষণমুক্ত করার কথা। শিল্পায়নের জন্যে আছে “মেক ইন ইন্ডিয়া”। এটা অবশ্যই ভবিষ্যতে রাখতে হবে, কারণ গত ছাপ্পান্ন মাসে ভারত ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ই রয়ে গেছে। ভোটমুখী ভবিষ্যতের চটজলদি রচনা লিখতে গিয়ে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর গল্পও আছে বড় করে। কোথাও কিন্তু আজকের শিশুদের কথা নেই। বাজেট প্রস্তুতকারক সংস্থা বেমালুম ভুলে গেছে যে ২০৩০ এর যুবকদের একটা বড় অংশকেই আজকের শিশুদের বাদ দিয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না। বর্তমানের সাত থেকে সতেরো ২০৩০ সালে আঠারো থেকে আঠাশ হবে। তখন তারাও ভোট দেবে। আজকের দিনে তাদের দেখতে না পাওয়াকেই বলে ‘দূরদৃষ্টিতে ছানি’।
 লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক, মতামত ব্যক্তিগত
22nd  February, 2019
তাহলে পুলওয়ামা কাণ্ডই কি এবার ভোটের প্রধান ইস্যু?
মোশারফ হোসেন

দেখতে দেখতে লোকসভার ভোট তো এসেই গেল বলা যায়। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে আগামী দু’-তিন সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেবে। আর, তারপরই গোটা দেশ মেতে উঠবে ভোট উৎসবে। 
বিশদ

শুধু শোক আর ক্রোধ, চেতনা নেই
পি চিদম্বরম

মাসুদ আজহারকে বাগে পেয়েও ২০০০ সালের জানুয়ারিতে তাকে মুক্তি দিতে বাধ‌্য হওয়ার আফটার শক বা ঝটকা আমরা এখনও নিয়মিত অনুভব করি। প্রতিটা ঝটকা ভারতবাসীকে মনে করিয়ে দেয় যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার মাসুদ আজহারকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পণবন্দি আইসি-১৮৪ বিমানের যাত্রী ও কর্মীদের মুক্তির বিনিময়ে।
বিশদ

25th  February, 2019
পুলওয়ামার পর
শুভা দত্ত

 পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার পর কেটে গেল বেশ কয়েকটা দিন। ওই ঘটনার জেরে দেশ জুড়ে ক্ষোভ শোকের যে আগুনে আলোড়ন উঠেছিল তাও আজ অনেকটাই কমে গেছে। মোমবাতি মিছিল, ধিক্কার সভার রেশও এখন অনেকটাই মিলিয়ে এসেছে। অবশ্য, তুষের আগুনের মতো তার তাপ এখনও সাধারণ ভারতবাসীর নিত্যদিনের জীবনের আড়ালে যে ধিক ধিক করে জ্বলছে তা একটু ভালো করে নজর করলেই টের পাওয়া যায়।
বিশদ

24th  February, 2019
অন্তর্বর্তী বাজেটে শিশুরা কী পেল?
শুভময় মৈত্র

জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মতই বাজেটে বানানোর সময় শিশুদের মত নেওয়া হয় না মোটেই। শিশুদের অবস্থা অনেকটা হতদরিদ্র মানুষের মত। গরিবদের ভালো খারাপ ঠিক করে সমাজের সম্পদশালী মানুষেরা। তেমনই ছোটদের ভালোমন্দ প্রাপ্তবয়স্কদের হাতে।
বিশদ

23rd  February, 2019
জঙ্গি হানার পর
সমৃদ্ধ দত্ত

 সেনাপ্রধান স্যাম মানেকশকে ডেকে ইন্দিরা গান্ধী বললেন, জেনারেল, আমার মনে হয় ইস্ট পাকিস্তানি (পরবর্তী বাংলাদেশ) বেঙ্গলিদের রক্ষা করতে আমাদের মিলিটারি অ্যাকশনে যেতে হবে। ইস্ট পাকিস্তান থেকে স্বৈরাচারী আর্মি রুলকে সরাতে হবে। সেটা ইন্ডিয়ার সুরক্ষার জন্যও খুব দরকার।
বিশদ

22nd  February, 2019
আর একটি ৮ ফাগুনের প্রতীক্ষায়...
অতনু বিশ্বাস

ওদিকে বাংলাভাষার তৃতীয় ভুবনে অসমের বারাক উপত্যকায় বাংলাভাষার অধিকার রক্ষার সত্যাগ্রহীদের উপরে পুলিসের নির্বিচার গুলিতে ১৯৬১-র ১৯ মে, রবীন্দ্র শতবর্ষের কবিপক্ষের মাঝেই, জন্ম হল একাদশ শহিদের।
বিশদ

21st  February, 2019
যুগজাগরণে যুগাচার্য স্বামী প্রণবানন্দজি মহারাজ
স্বামী নীলেশ্বরানন্দ

যুগজাগরণ এক যুগাচার্যের সাধনসিদ্ধির প্রাক্কালীন শ্রীমুখ নিঃসৃত যুগমহাবাণী। এ জাগরণ মানব জীবনের উন্নয়ন উদ্বোধনের আকাশবার্তা। ১৯১৬ সনের পুণ্যময়ী মাঘী পূর্ণিমার শুভ লগ্নে এক সাধক সাধন সমাহিত অবস্থা থেকে উত্থিত হয়েই জগৎবাসীর কল্যাণে উৎসর্গ করলেন এক মহাআশ্বাস বাণী—এ যুগ মহাজাগরণের তথা মহাসমন্বয়ের।
বিশদ

19th  February, 2019
ইসলামাবাদের ইসলামি ঐক্যের ফাঁদে কাশ্মীর
হারাধন চৌধুরী

ঘটনাটিকে বাসি বলার সময় এখনও হয়নি। বলিউডের নামজাদা অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহের এক সংকীর্ণ মন্তব‌্যে উৎসাহিত হয়ে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করে বসলেন, ‘‘সংখ‌্যালঘুদের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হয় তা মোদি সরকারকে দেখিয়ে দেবে পাকিস্তান।’’
বিশদ

19th  February, 2019
বধ্যভূমি কাশ্মীর: আমরা কি
কেবল মার খেতেই থাকব!

শুভা দত্ত

 গত বৃহস্পতিবার আবার জঙ্গি তাণ্ডবে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ, দেশপ্রেমিক জওয়ানদের রক্তে ভিজে গেল কাশ্মীর উপত্যকার মাটি। পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় জয়েশ জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলায় সিআরপিএফের ৪৪ জন জওয়ান শহিদ হলেন।
বিশদ

17th  February, 2019
মার্কিন মুলুকে (-) ৬০,
সন্ধিক্ষণ কিন্তু পরিবর্তনেরই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পোলার ভর্টেক্সের প্রভাব কি ভারতেও পড়েছে? এবার উত্তর ভারতের দীর্ঘস্থায়ী ঠান্ডার জন্য আবহাওয়াবিদরা কিছুটা হলেও পোলার ভর্টেক্সকে দায়ী করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পোলার ভর্টেক্স দুর্বল হয়ে ঠান্ডাটাকে আমেরিকা ও ইউরোপের উত্তরভাগে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে। আর তার ধাক্কায় দক্ষিণের দিকে চলে এসেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এমনিতে বছরে চার থেকে ছ’টি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ভারতীয় উপমহাদেশে এসে ধাক্কা খায়। চলতি বছর সেই সংখ্যাটা সাত। যার জন্য শীতের প্রকোপ বেড়েছে ভারতে। মূলত হিমালয় এবং তার সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে।
বিশদ

16th  February, 2019
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এগিয়ে?
সমৃদ্ধ দত্ত

গত পাঁচ বছরে সিপিএম একবারও কি রেলমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করে রাস্তায় নেমেছে? পশ্চিমবঙ্গ কেন বঞ্চিত হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে কখনও সিপিএমকে প্রেস কনফারেন্স করতে দেখেছে কেউ? কেন কিছু করেনি সিপিএম? কারণ এখন আর রেলমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। বিশদ

15th  February, 2019
রাফাল না সিবিআই, মোদি-বিরোধিতায় সবচেয়ে শক্তিশালী ইস্যু কোনটি?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 রাফাল ইস্যুকে সামনে রেখে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তির ওপর প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ধারাবাহিকভাবে রাফাল ইস্যু প্রচারের কেন্দ্রে রাখতে পেরেছিলেন রাহুল। হিন্দি বলয়ে তিন রাজ্য—মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়-এ বিজেপি’র পরাজয়ের পিছনে অন্য সমস্ত কারণের মধ্যে রাহুল গান্ধীর তোলা রাফাল যুদ্ধ বিমান দুর্নীতির প্রচার বিজেপি’র বিরুদ্ধে গিয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন।
বিশদ

14th  February, 2019
একনজরে
 দীপ্তিমান মুখোপাধ্যায়, হাওড়া: আমতা ব্রিজ থেকে ঝিকিরা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ নিল পূর্ত দপ্তর। এখন এই রাস্তাটি অত্যন্ত অপরিসর ও খারাপ অবস্থায় আছে। ফলে লোকজনের যথেষ্ট ভোগান্তি হচ্ছে। এই অবস্থায় এই রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য পূর্ত দপ্তরের কাছে ...

বিএনএ, সিউড়ি: গ্রামের মধ্যে মদের দোকান খোলার আবেদনের বিরোধিতা করে ফের রাস্তায় নামলেন এলাকার বাসিন্দারা। রবিবার মুরারই থানার কনকপুর সারদুয়ারি গ্রামের বাসিন্দারা হাতে প্লাকার্ড নিয়ে এলাকায় মিছিল করেন।  ...

 কানেস, ২৫ ফেব্রুয়ারি: গ্র্যান্ডমাস্টার অভিজিৎ গুপ্তা কানে ইন্টারন্যাশনাল ওপেন দাবায় চ্যাম্পিয়ন হলেন। সোমবার প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডে ইতালির পিয়ের লুইগি বাসোর সঙ্গে ড্র করেন অভিজিৎ। ...

সুকান্ত বসু, কলকাতা: জেলে অসাধু উপায়ে মোবাইল এবং সিম কার্ডের অনুপ্রবেশ রুখতে এবার কারারক্ষীদেরই একটি বিশেষ টিমকে সংশোধনাগারের বাইরে তিনটি শিফটে নজরদারি চালানোর কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে। কারা দপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রতিটি সংশোধনাগারে একই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। প্রয়োজনে স্থানীয় ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০২: ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম
১৯০৮: লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম
১৯৩৬: চিত্র পরিচালক মনমোহন দেশাইয়ের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৯ টাকা ৭১.৮৯ টাকা
পাউন্ড ৯১.২৫ টাকা ৯৪.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৯.১৪ টাকা ৮২.১৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৮৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩২,১৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,৬৩৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ ফাল্গুন ১৪২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, অষ্টমী ৫৮/১০ শেষ রাত্রি ৫/২১। অনুরাধা নক্ষত্র ৪২/২৬ রাত্রি ১১/৩। সূ উ ৬/৪/৫০, অ ৫/৩৪/৪০, অমৃতযোগ দিবা ৮/২২ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে পুনঃ ৩/১৫ গতে ৪/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/৫৫ গতে ৩/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৭/৩২ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১/১৬ গতে ২/৪২ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৪২ মধ্যে।
১৩ ফাল্গুন ১৪২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ১০/১৪/২৯। অনুরাধানক্ষত্র রাত্রি ৩/৫৪/২৩, সূ উ ৬/৬/৫, অ ৫/৩৩/১, অমৃতযোগ দিবা ৮/২৩/৫৮ থেকে ১০/৪০/৫১ মধ্যে ও ১২/৫৪/১৫ থেকে ২/২৯/৫০ মধ্যে ও ৩/১৫/৩৮ থেকে ৪/৪৭/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৩/১৩ মধ্যে ও ৮/৫৩/৫০ থেকে ১১/২৪/২৭ মধ্যে ও ১/৪৫/৪ থেকে ৩/৩৫/২৮ মধ্যে, বারবেলা ৭/৩১/৫৭ থেকে ৮/৫৭/৪৯ মধ্যে, কালবেলা ১/১৫/২৫ থেকে ২/৪১/১৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৭/৯ থেকে ৮/৪১/১৭ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়স সানি
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বৃষ: মামলা-মোকদ্দমায় জয় লাভ। মিথুন: বয়স্ক ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিন  
১৮০২: ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম১৯০৮: লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম১৯৩৬: ...বিশদ

07:03:20 PM

ফের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের  
আজ বিকাল ৫.৩০টা নাগাদ জম্মু ও কাশ্মীরের নৌসেরা, কৃষ্ণঘাঁটি ও ...বিশদ

06:26:29 PM

উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দিনেই মোবাইল সহ ধরা পড়ল ৫ জন, বাতিল রেজিস্ট্রেশন 

05:04:13 PM

২৪০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

03:51:20 PM

যে কোনও পরিস্থিতির জন্য সেনা এবং দেশবাসীকে তৈরি থাকতে বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান  

03:45:06 PM