Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

যুগজাগরণে যুগাচার্য স্বামী প্রণবানন্দজি মহারাজ
স্বামী নীলেশ্বরানন্দ

যুগজাগরণ এক যুগাচার্যের সাধনসিদ্ধির প্রাক্কালীন শ্রীমুখ নিঃসৃত যুগমহাবাণী। এ জাগরণ মানব জীবনের উন্নয়ন উদ্বোধনের আকাশবার্তা। ১৯১৬ সনের পুণ্যময়ী মাঘী পূর্ণিমার শুভ লগ্নে এক সাধক সাধন সমাহিত অবস্থা থেকে উত্থিত হয়েই জগৎবাসীর কল্যাণে উৎসর্গ করলেন এক মহাআশ্বাস বাণী—এ যুগ মহাজাগরণের তথা মহাসমন্বয়ের। এ যুগ মহামিলন তথা মহামুক্তির যুগ।
যুগে যুগে ভগবান কোনও এক বিশেষ কারণকে উপলক্ষ্য করে কোনও মাধ্যমের দ্বারা তাঁর ঐশী নির্দেশ মানবের কল্যাণে প্রেরণ করে থাকেন। ওই মাধ্যমকে অবতার, আচার্য, মহাপুরুষ, গুরু সাধক যে নামেই অবিহিত করা হোক না কেন। ভগবানের উক্তি—‘অবজানন্তি মূঢ়া মানুষিং তনুমাশ্রিতম পরম ভাবমজানন্তো মম ভূত মহেশ্বরম’। তাঁর উক্তি—আমি স্বয়ং না জানালে বা না ধরা দিলে বা না বললে কেউই আমাকে দর্শন করতে বা আমার কথা শ্রবণ করতে বা আমার আদেশ নির্দেশ অবগত হতে পারে না। যুগে যুগে কত সাধক মহাপুরুষ অবতারগণকে অবলম্বন করেই আমার ভক্ত কল্যাণের বাণীর প্রচার ও প্রসার ঘটেছে। অকল্পনীয় কৃচ্ছ্রসাধন ত্যাগ তিতিক্ষা শ্রদ্ধা ভক্তির বিচ্ছুরণে বিবেক বৈরাগ্যের তীব্রতায় জগৎ জেনেছে নিরাকার আমিকে। দেখেছে নিরাকারের সাকার রূপকে। আমি সাড়া দিয়ে থাকি যুগসন্ধিক্ষণে। আমি যে ভক্তির ডোরে বাঁধা। ভক্ত হৃদয়ে যে কত আর্তি জাগে তা জেনে আমি বিচলিত হই। নিরাকার আমি তখন সাকার হওয়ার তাগিদ অনুভব করি। আমার ভক্তই কেবল বলে, ঠাকুর তুমি আছো, আছো আমার হৃদয়গুহায়। কত ধ্রুব কত প্রহ্লাদ কত রামপ্রসাদ কত বামাক্ষ্যাপা অঝোরে কাঁদে আমার তরে। তখন আর স্থির থাকতে না পেরে আবির্ভূত হই। তখন ভক্তকুল ছুটে আসে আমাকে স্পর্শ করতে। এ যুগও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই আমি এবার আসি ভক্তযুগলের গৃহে, নাম তাদের বিষ্ণুচরণ ও সারদা। ধাম তাদের বাজিতপুর। আমি আসি বিনোদ সাধু নামে। এরূপ শরীর হয় আমার শিব শরীর। শিশুকাল থেকে সদা তাই শিব শরীরধারী শিবভাবে আত্মভাবে সমাহিত থাকে বিনোদ। শিব শরীরধারী বিনোদ কথা বলতে থাকে গুনে গুনে, কেবল প্রয়োজনে। বিনোদ বলতেন অতি কথা বাজে কথা বলায়। শিব পূজা ইন্দ্রিয় সংযম, বাক সংযম, দৃষ্টি সংযম, আহার সংযম সত্য রক্ষাই আদর্শ মানব জীবনের চাবিকাঠি। এ চাবি দিয়েই জীবনের এক স্তর থেকে স্তরান্তরে এগিয়ে যাওয়া। শরীর রক্ষায় তিনি যোগ যাগ ব্যায়াম চর্চা কঠোরভাবে পালন করে অন্যদের সেভাবে থাকতে পরামর্শ দিতেন। বিদ্যালয়ে বিদ্যাভ্যাস কালে আত্মচিন্তায় মগ্ন থাকতেন। কখনও উৎসাহী বিদ্যার্থীদের আত্মজীবন ও শরীর গঠনের আলোচনায় একটু সময় দিতেন। অতঃপর গুরু গ্রহণের বাতাবরণ তৈরি করেন স্বীয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মধ্যে এতদ্‌ বিষয়ে প্রেরণা সঞ্চারের মাধ্যমে। এক দিকে শিক্ষক মহোদয়ের অন্তরে স্বীয় আদর্শমুখী করার উদ্যোগ, অন্য দিকে স্বীয় গুরু গ্রহণের উদ্যোগ আয়োজনের দায়িত্ব অর্পণ করা। সঙ্গে সমাজে সেবার বাতাবরণ তৈরি করা। সেবার প্রথম প্রয়াস শুরু হয় শিক্ষার প্রসারে হাত বাড়িয়ে দেওয়া। এই সেবাভাবের প্রচারে জনসাধারণ তাঁর ভাবে দ্রুত আকর্ষিত হতে থাকেন। তিনি হয়ে উঠলেন একজন দরদি অতি আপনজন। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এবার গুরু গম্ভীরানন্দজির সংস্পর্শে পৌঁছে গেলেন। কারণ গুরু ব্যতীত শিক্ষা অসম্পূর্ণ। গুরুই পারেন শিষ্যের অন্তরে জ্ঞানাগ্নি জ্বালাতে। আবার গুরু অপেক্ষায় থাকেন চিহ্নিত শিষ্যের অপেক্ষায়। তাই গুরু চিহ্নিত সন্তানকে পেয়েই স্বীয় যোগআধার এক-এক করে অর্পণ করতে থাকেন শিষ্যের হৃদয়ে। এ সময় চলে ব্রহ্মচর্য্য জীবন। কালের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পর্যায়ক্রমে অজ্ঞাত পরিচয়ের সন্ন্যাসীগুরু স্বামী গোবিন্দানন্দজির থেকে সন্ন্যাস নিয়ে হলেন তিনি স্বামী প্রণবানন্দ। এবার চলে কঠোর যোগযাগ, যার দ্বারা অভিষ্ট পথে চলা শুরু। এবার সমাজের তীর্থস্থানগুলির সংস্কার সাধনে তৎপর হলেন স্বামী প্রণবানন্দজি মহারাজ। কারণ তীর্থস্থানই হল মানবের ধর্ম ও সদাচারে যুক্ত করার স্থান। তাই গয়াধামকে দিয়েই এ সংস্কারের তরী ভাসিয়ে দিলেন। এ তরি অতি দ্রুত পৌঁছল একে একে কাশীধাম, প্রয়াগধাম, পুরীধাম, হরিদ্বার, বৃন্দাবনধাম, নবদ্বীপ। কুরুক্ষেত্র থেকে সংস্কারের দিক ও গতি পরিবর্তন করলেন। নব নব ভাবে, নব চেতনায় এ সংস্কার প্রক্রিয়া ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। আজ তা ভারতের প্রাদেশিক গণ্ডি অতিক্রম করে চারদিকে অতিদ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ, রামেশ্বরম, কন্যাকুমারী, তারাপীঠ, দ্বারকা, কেদার, বদ্রী, গঙ্গাসাগর, ব্যাঙ্গালোর অতিক্রম করে তা অদূর কেন্দ্রসমূহের প্রতি ধাবমান। এই সব আশ্রমে বছরে একবার সব শ্রেণীর মানুষকে একত্রিত করতে নানা দেব-দেবীর পূজা উৎসবের আয়োজন হয়। স্থানে স্থানে মানবের মহামিলনের উদ্দেশে মানবজীবনে ধর্মভিত্তিক নৈতিক আদর্শমূলক আলোচনাসভাকেও প্রাধান্য দেওয়া হয়। উৎসবে উপস্থিত ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণের আয়োজন করা হয়, সেইসঙ্গে মানব প্রাণে ধর্মসাধনার বীজ বপন করা হতে থাকে। এভাবে তিনি মানবের মধ্যে মহাজাগরণ, মহাসমন্বয়, মহামিলনের সঙ্গে সঙ্গে উৎসুক ভক্তদের ধর্ম বিষয়ে শিক্ষা-দীক্ষা দেওয়ার আয়োজন ও তারমাধ্যমে মহামুক্তির পথে পরিচালিত করতে থাকেন। তাই তিনি বারবার বলছেন, ‘মানুষ চাই, প্রকৃত মানুষ চাই’।
আজ বহু মানুষ বিপথগামী, তারা যেন ভোগ লালসায় সতত ডুবে যাচ্ছে। কে কী করবে তা বুঝতে পারছে না, কারণ সে তো তার নিজস্ব সত্তাকে ভুলতে বসেছে। কেন সে পৃথিবীতে এসেছে, কী করতে এসেছে, কত দিন এই ধরাধামে থাকবে, সে কিছুই বুঝতে পারছে না। কেবল দাও দাও আর ভাবছে বুঝি আমিই চারকাল থাকব ও এই ভাবে ভোগ-সমুদ্রে ভেসে বেড়াব। তা হয় না, এই পথ থেকে মুক্তি দেবার জন্য স্বামী প্রণবানন্দ মানুষের মধ্যে মহাজাগরণ চেয়েছেন, চেয়েছেন মানুষ নিজেকে জানুক, তার নিজের আত্মসত্তার জাগরণ ঘটুক। তবে সে প্রকৃত মানুষ হবে। তাহলে এই মানবজাতির মধ্যে মারামারি, হানাহানি, হিংসা, দ্বেষ, বিদ্বেষ দূরীভূত হবে। সে প্রকৃত শান্তি ও সুস্থিতি লাভ করবে।
আজ ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা যুগাবতার স্বামী প্রবণানন্দজি মহারাজের আবির্ভাব তিথি। তাই তাঁর এই পুণ্য আবির্ভাব তিথিতে স্মরণ করি মহান আচার্যের মহান বাণী ‘এ যুগ মহাজাগরণের যুগ, এ যুগ মহাসমন্বয়ের যুগ, এ যুগ মহামিলনের যুগ, এ যুগ মহামুক্তির যুগ।’ তিনি মহাসমন্বয় চেয়েছেন, কেবল অনেক কিছু দিলেই কিছু হবে না। দেশ নেতারা তো প্রচুর দিয়েছেন বা দিচ্ছেন। কিন্তু কী হল? কেন এই জগৎবাসীর এত অবক্ষয় অধঃপতন। তা দেখলে দুঃখ-কষ্ট হয়। তাই আজ স্বামী প্রণবানন্দজির মহাজাগরণ চাই। মানুষের অন্তরসত্তার মহাজাগরণ ঘটলে সে প্রকৃত মানুষ হবে। তখন সে তার আত্মিক মানবসত্তাকে বুঝবে এবং সে প্রকৃত অমৃত তত্ত্ব লাভ করবে।
মাঘী পূর্ণিমার পুণ্য আবির্ভাব তিথিতে তাঁর শ্রীচরণে প্রার্থনা করি—হে আচার্য, হে জগৎ গুরু তোমার আশীর্বাদে জগতের সমস্ত ধনী, নির্ধন, জ্ঞানী, মূর্খ, হীন, দরিদ্র, শিক্ষক, ছাত্র, দেশনেতা, স্বামী-স্ত্রী সকলে যেন এই প্রকৃত তত্ত্ব জেনে শান্তি ও সুস্থিতি লাভ করতে পারে।
19th  February, 2019
তাহলে পুলওয়ামা কাণ্ডই কি এবার ভোটের প্রধান ইস্যু?
মোশারফ হোসেন

দেখতে দেখতে লোকসভার ভোট তো এসেই গেল বলা যায়। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে আগামী দু’-তিন সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেবে। আর, তারপরই গোটা দেশ মেতে উঠবে ভোট উৎসবে। 
বিশদ

শুধু শোক আর ক্রোধ, চেতনা নেই
পি চিদম্বরম

মাসুদ আজহারকে বাগে পেয়েও ২০০০ সালের জানুয়ারিতে তাকে মুক্তি দিতে বাধ‌্য হওয়ার আফটার শক বা ঝটকা আমরা এখনও নিয়মিত অনুভব করি। প্রতিটা ঝটকা ভারতবাসীকে মনে করিয়ে দেয় যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার মাসুদ আজহারকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পণবন্দি আইসি-১৮৪ বিমানের যাত্রী ও কর্মীদের মুক্তির বিনিময়ে।
বিশদ

25th  February, 2019
পুলওয়ামার পর
শুভা দত্ত

 পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার পর কেটে গেল বেশ কয়েকটা দিন। ওই ঘটনার জেরে দেশ জুড়ে ক্ষোভ শোকের যে আগুনে আলোড়ন উঠেছিল তাও আজ অনেকটাই কমে গেছে। মোমবাতি মিছিল, ধিক্কার সভার রেশও এখন অনেকটাই মিলিয়ে এসেছে। অবশ্য, তুষের আগুনের মতো তার তাপ এখনও সাধারণ ভারতবাসীর নিত্যদিনের জীবনের আড়ালে যে ধিক ধিক করে জ্বলছে তা একটু ভালো করে নজর করলেই টের পাওয়া যায়।
বিশদ

24th  February, 2019
অন্তর্বর্তী বাজেটে শিশুরা কী পেল?
শুভময় মৈত্র

জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মতই বাজেটে বানানোর সময় শিশুদের মত নেওয়া হয় না মোটেই। শিশুদের অবস্থা অনেকটা হতদরিদ্র মানুষের মত। গরিবদের ভালো খারাপ ঠিক করে সমাজের সম্পদশালী মানুষেরা। তেমনই ছোটদের ভালোমন্দ প্রাপ্তবয়স্কদের হাতে।
বিশদ

23rd  February, 2019
জঙ্গি হানার পর
সমৃদ্ধ দত্ত

 সেনাপ্রধান স্যাম মানেকশকে ডেকে ইন্দিরা গান্ধী বললেন, জেনারেল, আমার মনে হয় ইস্ট পাকিস্তানি (পরবর্তী বাংলাদেশ) বেঙ্গলিদের রক্ষা করতে আমাদের মিলিটারি অ্যাকশনে যেতে হবে। ইস্ট পাকিস্তান থেকে স্বৈরাচারী আর্মি রুলকে সরাতে হবে। সেটা ইন্ডিয়ার সুরক্ষার জন্যও খুব দরকার।
বিশদ

22nd  February, 2019
শিশুদের বাজেট
শুভময় মৈত্র

 একশো ত্রিশ কোটির দেশে আশি কোটি প্রাপ্তবয়স্ক ভোটার, বাকি পঞ্চাশ কোটি বয়সে ছোট। যার ভোট নেই তার জন্যে লোকসভা নির্বাচনের মাস তিনেক আগে ভাবার সময় থাকে না শাসকদলের। সেই জন্যেই বাজেট বক্তৃতায় শিশুদের কথা খুঁজতে গেলে দূরবিন প্রয়োজন। তবে চশমা ছাড়াই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে এবারের বাজেটের বিশালাকার অক্ষরের ভীষণ চমক ‘ভিশন ২০৩০’। আজ থেকে এগারো বছর পর দেশ ঠিক কোথায় পৌঁছবে তার চালচিত্র। কোথাও কিন্তু আজকের শিশুদের কথা নেই।
বিশদ

22nd  February, 2019
আর একটি ৮ ফাগুনের প্রতীক্ষায়...
অতনু বিশ্বাস

ওদিকে বাংলাভাষার তৃতীয় ভুবনে অসমের বারাক উপত্যকায় বাংলাভাষার অধিকার রক্ষার সত্যাগ্রহীদের উপরে পুলিসের নির্বিচার গুলিতে ১৯৬১-র ১৯ মে, রবীন্দ্র শতবর্ষের কবিপক্ষের মাঝেই, জন্ম হল একাদশ শহিদের।
বিশদ

21st  February, 2019
ইসলামাবাদের ইসলামি ঐক্যের ফাঁদে কাশ্মীর
হারাধন চৌধুরী

ঘটনাটিকে বাসি বলার সময় এখনও হয়নি। বলিউডের নামজাদা অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহের এক সংকীর্ণ মন্তব‌্যে উৎসাহিত হয়ে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করে বসলেন, ‘‘সংখ‌্যালঘুদের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হয় তা মোদি সরকারকে দেখিয়ে দেবে পাকিস্তান।’’
বিশদ

19th  February, 2019
বধ্যভূমি কাশ্মীর: আমরা কি
কেবল মার খেতেই থাকব!

শুভা দত্ত

 গত বৃহস্পতিবার আবার জঙ্গি তাণ্ডবে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ, দেশপ্রেমিক জওয়ানদের রক্তে ভিজে গেল কাশ্মীর উপত্যকার মাটি। পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় জয়েশ জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলায় সিআরপিএফের ৪৪ জন জওয়ান শহিদ হলেন।
বিশদ

17th  February, 2019
মার্কিন মুলুকে (-) ৬০,
সন্ধিক্ষণ কিন্তু পরিবর্তনেরই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পোলার ভর্টেক্সের প্রভাব কি ভারতেও পড়েছে? এবার উত্তর ভারতের দীর্ঘস্থায়ী ঠান্ডার জন্য আবহাওয়াবিদরা কিছুটা হলেও পোলার ভর্টেক্সকে দায়ী করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পোলার ভর্টেক্স দুর্বল হয়ে ঠান্ডাটাকে আমেরিকা ও ইউরোপের উত্তরভাগে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে। আর তার ধাক্কায় দক্ষিণের দিকে চলে এসেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এমনিতে বছরে চার থেকে ছ’টি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ভারতীয় উপমহাদেশে এসে ধাক্কা খায়। চলতি বছর সেই সংখ্যাটা সাত। যার জন্য শীতের প্রকোপ বেড়েছে ভারতে। মূলত হিমালয় এবং তার সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে।
বিশদ

16th  February, 2019
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এগিয়ে?
সমৃদ্ধ দত্ত

গত পাঁচ বছরে সিপিএম একবারও কি রেলমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করে রাস্তায় নেমেছে? পশ্চিমবঙ্গ কেন বঞ্চিত হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে কখনও সিপিএমকে প্রেস কনফারেন্স করতে দেখেছে কেউ? কেন কিছু করেনি সিপিএম? কারণ এখন আর রেলমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। বিশদ

15th  February, 2019
রাফাল না সিবিআই, মোদি-বিরোধিতায় সবচেয়ে শক্তিশালী ইস্যু কোনটি?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 রাফাল ইস্যুকে সামনে রেখে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তির ওপর প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ধারাবাহিকভাবে রাফাল ইস্যু প্রচারের কেন্দ্রে রাখতে পেরেছিলেন রাহুল। হিন্দি বলয়ে তিন রাজ্য—মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়-এ বিজেপি’র পরাজয়ের পিছনে অন্য সমস্ত কারণের মধ্যে রাহুল গান্ধীর তোলা রাফাল যুদ্ধ বিমান দুর্নীতির প্রচার বিজেপি’র বিরুদ্ধে গিয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন।
বিশদ

14th  February, 2019
একনজরে
 দীপ্তিমান মুখোপাধ্যায়, হাওড়া: আমতা ব্রিজ থেকে ঝিকিরা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ নিল পূর্ত দপ্তর। এখন এই রাস্তাটি অত্যন্ত অপরিসর ও খারাপ অবস্থায় আছে। ফলে লোকজনের যথেষ্ট ভোগান্তি হচ্ছে। এই অবস্থায় এই রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য পূর্ত দপ্তরের কাছে ...

সুকান্ত বসু, কলকাতা: জেলে অসাধু উপায়ে মোবাইল এবং সিম কার্ডের অনুপ্রবেশ রুখতে এবার কারারক্ষীদেরই একটি বিশেষ টিমকে সংশোধনাগারের বাইরে তিনটি শিফটে নজরদারি চালানোর কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে। কারা দপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রতিটি সংশোধনাগারে একই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। প্রয়োজনে স্থানীয় ...

 কানেস, ২৫ ফেব্রুয়ারি: গ্র্যান্ডমাস্টার অভিজিৎ গুপ্তা কানে ইন্টারন্যাশনাল ওপেন দাবায় চ্যাম্পিয়ন হলেন। সোমবার প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডে ইতালির পিয়ের লুইগি বাসোর সঙ্গে ড্র করেন অভিজিৎ। ...

বিএনএ, কোচবিহার: লোকসভা নির্বাচনের মুখে প্রার্থী নির্বাচনকে ঘিরে কোচবিহারে বিজেপি’তে জোর কোন্দল শুরু হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির জেলা সভাপতি মালতী রাভা সহ জেলা কমিটির একাধিক নেতা প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করেছেন।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০২: ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম
১৯০৮: লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম
১৯৩৬: চিত্র পরিচালক মনমোহন দেশাইয়ের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৯ টাকা ৭১.৮৯ টাকা
পাউন্ড ৯১.২৫ টাকা ৯৪.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৯.১৪ টাকা ৮২.১৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৮৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩২,১৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,৬৩৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ ফাল্গুন ১৪২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, অষ্টমী ৫৮/১০ শেষ রাত্রি ৫/২১। অনুরাধা নক্ষত্র ৪২/২৬ রাত্রি ১১/৩। সূ উ ৬/৪/৫০, অ ৫/৩৪/৪০, অমৃতযোগ দিবা ৮/২২ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে পুনঃ ৩/১৫ গতে ৪/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/৫৫ গতে ৩/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৭/৩২ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১/১৬ গতে ২/৪২ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৪২ মধ্যে।
১৩ ফাল্গুন ১৪২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ১০/১৪/২৯। অনুরাধানক্ষত্র রাত্রি ৩/৫৪/২৩, সূ উ ৬/৬/৫, অ ৫/৩৩/১, অমৃতযোগ দিবা ৮/২৩/৫৮ থেকে ১০/৪০/৫১ মধ্যে ও ১২/৫৪/১৫ থেকে ২/২৯/৫০ মধ্যে ও ৩/১৫/৩৮ থেকে ৪/৪৭/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৩/১৩ মধ্যে ও ৮/৫৩/৫০ থেকে ১১/২৪/২৭ মধ্যে ও ১/৪৫/৪ থেকে ৩/৩৫/২৮ মধ্যে, বারবেলা ৭/৩১/৫৭ থেকে ৮/৫৭/৪৯ মধ্যে, কালবেলা ১/১৫/২৫ থেকে ২/৪১/১৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৭/৯ থেকে ৮/৪১/১৭ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়স সানি
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বৃষ: মামলা-মোকদ্দমায় জয় লাভ। মিথুন: বয়স্ক ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিন  
১৮০২: ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম১৯০৮: লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম১৯৩৬: ...বিশদ

07:03:20 PM

ফের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের  
আজ বিকাল ৫.৩০টা নাগাদ জম্মু ও কাশ্মীরের নৌসেরা, কৃষ্ণঘাঁটি ও ...বিশদ

06:26:29 PM

উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দিনেই মোবাইল সহ ধরা পড়ল ৫ জন, বাতিল রেজিস্ট্রেশন 

05:04:13 PM

২৪০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

03:51:20 PM

যে কোনও পরিস্থিতির জন্য সেনা এবং দেশবাসীকে তৈরি থাকতে বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান  

03:45:06 PM