পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ
মণিপুর অশান্ত চোদ্দো মাস ধরে। গোষ্ঠী সংঘর্ষের হাত ধরে গত বছরের ৩ মে সেখানে প্রথম আগুন জ্বলেছিল। তারপর থেকে প্রায় প্রতিদিন ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে এই পাহাড়ি রাজ্যটি। দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এতদিন ধরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলেও বিজেপি শাসিত ‘ডাবল ইঞ্জিন’-এর সরকার কার্যত ঠুঁটো হয়ে রয়েছে। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল, প্রধানমন্ত্রী একবারের জন্যও মণিপুরের মাটিতে পা রাখেননি। তবে বিরোধীদের প্রবল চাপে মাত্র কয়েকদিন আগে রাজ্যসভায় তিনি তাঁর নীরবতা ভেঙেছেন। যদিও এর দায় বিরোধীদের উপর চাপিয়ে তিনি বলেন, মণিপুর নিয়ে যাঁরা আগুনে ঘৃতাহুতি দিচ্ছেন, মণিপুরই একদিন তাঁদের প্রত্যাখ্যান করবে। প্রধানমন্ত্রীর এই আশা কবে পূরণ হবে বা আদৌ পূরণ হবে কি না তা ভবিষ্যৎ বলবে। তবে তথ্যের খাতিরে জানানো যেতে পারে, গত এক বছরে তিনবার মণিপুর সফর করেছেন রাহুল গান্ধী। দুই গোষ্ঠীর আশ্রয় শিবিরেই তাঁকে কাছে টেনে নিয়েছেন অসহায় মানুষেরা। এই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠেছে প্রধানমন্ত্রী কি তবে কোনও অজানা আশঙ্কার কারণেই সেখানে যাচ্ছেন না? প্রশ্ন না রেখেই বলা যায়, মণিপুরের মানুষের কাছে রাজ্যের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই যেন ‘ভিলেন’ হয়ে গিয়েছেন। লোকসভা ভোটের ফলাফল বলছে, রাজ্যের দুটি আসনেই মোদির দলকে প্রত্যাখ্যান করেছেন সেখানকার মানুষ।
মণিপুরে গোষ্ঠী বিবাদের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। শুধু এলাকা দখল বা উপজাতি স্টেটাস নিয়েই নয়, সে রাজ্যে অর্থনৈতিক সুযোগসুবিধা ও সামাজিক সুরক্ষার দাবিও চরম উপেক্ষিত হতে হতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় এই ঘোলা জলে রাজ্য সরকার তথা শাসক বিজেপি একটি পক্ষ নিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রী ও বিধায়কের ভূমিকা আতস কাচের নীচে রেখে কাটাছেঁড়া চলছে। এই অবস্থায় দিল্লি থেকে কঠোরভাবে রাশ টানার প্রয়োজন ছিল। তার বদলে পরিচিত ঢঙে বিরোধীদের দোষারোপ করার মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী! আর তাঁর ডেপুটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মাঝেমধ্যে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়ে দায় এড়াচ্ছেন। ফলে মণিপুর সত্যিই কবে স্বাভাবিক হবে তা কেউ জানে না।