Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

২১ জুলাই এবার অনেক নেতারও ‘শহিদ দিবস’
তন্ময় মল্লিক

‘লোকসভা নির্বাচনে কম আসন পেলেও রাজ্যে ৬৯টি পুরসভায় আমরা এগিয়ে।’ কথাগুলি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। নির্বাচনে ভরাডুবির পর হতোদ্যম দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে গেলে হতাশার গাদা থেকে খুঁজে বের করতে হয় সাফল্যের ছুঁচ। পরাজিত বঙ্গ বিজেপির সেনানায়ক হিসেবে সুকান্তবাবু দলের বর্ধিত কমিটির সভায় সেটাই করেছেন। তবে, ছাব্বিশের পর একথা বলার সুযোগ বিজেপি পাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে যথেষ্ট। কারণ মুখ ঘুরিয়ে নেওয়া মানুষকে কাছে টানার ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুড়ি নেই। তৃণমূল সুপ্রিমো জানেন, দলের চারআনা, আটআনা নেতাদের ডানা ছাঁটলেই দূর হবে মানুষের ক্ষোভ। আর তাতেই হাল্কা হবে ‘নেগেটিভ’ ভোটের পাল্লা। তারজন্য ওয়ার্মআপও শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই এবার শুধু শহিদ তর্পণ নয়, একুশে জুলাই হতে চলেছে শহিদের রক্তের বিনিময়ে তৈরি একটা সরকারের আগামীর সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়ার মঞ্চ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন দল তৈরির ১৩ বছর পর রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। তৃণমূল সরকারের বয়সও ১৩ বছর হয়ে গেল। টানা ক্ষমতায় থাকলে সরকার ও শাসক দলের বিরুদ্ধে অ্যান্টিইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর কাজ করে। এটাই গণতন্ত্রের নিয়ম। লাগাতার লড়াই, আন্দোলনের সিঁড়ি বেয়ে ক্ষমতায় বসা তৃণমূলও তার বাইরে নয়। নজিরবিহীন পরিষেবা ও ছন্নছাড়া বিরোধীদের দৌলতে তৃণমূল একের পর এক নির্বাচনে জিতলেও অন্দরে বাসা বেঁধেছে ঘুণপোকা। সে কারণেই তৃণমূলের ঘাড়ে চাপছে ‘নেগেটিভ’ ভোটের বোঝা। তাই কোনও কাজ না করে, এমনকী সংগঠন না থাকা সত্ত্বেও বিজেপি রাজ্যের অধিকাংশ শহরে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে।
লোকসভা ভোটে শহরে খারাপ ফলের কারণ বিশ্লেষণ করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাতে দেখা গিয়েছে, কিছু পুরসভার চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলারদের জন্যই এই ফল। তাঁদের স্বজনপোষণ মাত্রা ছাড়িয়েছে। আগে প্রোমোটার ও জমির দালালদের কাছ থেকে পাওয়া কমিশনেই ভরত পেট। কিন্তু লোভ আগুনের মতোই সর্বগ্রাসী। বিবেক, মনুষ্যত্ব, বিবেচনাবোধ, সব পুড়িয়ে খাক করে দেয়। তাই এখন বহু কাউন্সিলার, এমনকী বিধায়কও আটকে আছেন ‘সিন্ডিকেট মধু’তে। তাঁদের কাছ থেকেই কিনতে হবে ইট, বালি, পাথর, সিমেন্ট। তা না হলে ভিত পুজোর ইট ছাড়া আর কোনও ইটই গাঁথা হবে না।
আগে বহুতল নির্মাণের অনুমতি দিত পুরসভা। তারজন্য ‘প্রণামী’ দিতে হতো পুরসভার কর্তাদের। তার জোরে দু’কাঠা জমিতেও উঠে যেত পাঁচতলা বিল্ডিং। ছাড়ছোড়ের বালাই নেই। এখন বহুতল নির্মাণের অনুমতি নিতে হয় অনলাইনে। সবটাই রাজ্যের হাতে। তা বলে ‘প্রণামী’ তো বন্ধ হতে পারে না! এখন নেতাদের ‘প্রণামী’ মেলে নির্মাণে বাধা না দেওয়ার জন্য। তবে প্রণামীরও রেটকার্ড আছে। জমির দাম এবং লোকেশন অনুসারে সেটা ঠিক হয়, ১৫ থেকে ২৫ লক্ষ।
সিপিএম আমলে একটা সিস্টেম ছিল। টাকা একজন নিয়ে গেলে দলের দ্বিতীয় কেউ টাকা নিতে যেত না। কিন্তু এখন ‘ঈশ্বর’ এক এবং অদ্বিতীয় নয়। ফলে তুষ্ট করতে হয় জনে জনে। সব মাতব্বরকে খুশি করতে পারলেই মাথা তুলে দাঁড়ায় বহুতল। ‘প্রণামী’র জন্য প্রতিটি শহরে ফ্ল্যাটের দাম হু-হু করে বাড়ছে। তবে, নারদা কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়েছেন নেতারা। গোপন ক্যামেরার ভয়ে নেতারা এখন আর সরাসরি নিজে টাকা নেন না। তাঁরা ‘সেফ’ খেলেন। রেখেছেন ‘পিএ’। সেটিংটা সেই পিএ করেন। তবে, সেটিং না হলে কাজ বন্ধ করার জন্য আছে স্পেশাল টিম। 
এছাড়া সরকারি জায়গায় গুমটি বসানো ও দোকান করার জন্য টাকা আদায় তো আছেই। শুধু নতুন বাড়ি বা বহুতল নির্মাণেই নয়, জমির প্লটিং, এমনকী মেরামতির কাজেও দিতে হয় টাকা। না দিলেই কাজ বন্ধ। বাদ যাচ্ছেন না টোটো চালকরাও। একবার পুরসভার পারমিশন নেওয়ার জন্য টাকা দিতে হয়। পরের বার বলা হয়, অনুমতি নিতে হবে পরিবহণ দপ্তর থেকে। তারজন্য আবার টাকা। তাতেও রেহাই নেই। টোটোয় রড লাগাতে হবে চালকের ডানদিকে। সেই রড নিজে লাগালে হবে না। নেতার ‘নোমিনেটেড’ লোকই তা লাগাবে। তারজন্যও দিতে হবে মোটা টাকা। তারপর আবার সব টোটোকে করতে হবে একই রঙের। সেই রং-ও করবে নেতার ঠিক করা ঠিকাদার। তারজন্য আবার টাকা। 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরিব মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য একের পর এক জনমুখী প্রকল্প ঘোষণা করছেন। অথচ তাঁর দলেরই কিছু নেতা বের করছে টাকা আদায়ের নিত্যনতুন ফিকির। তবে, বিষয়গুলি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নজরে এসেছে। ব্যবস্থা না নিলে এগুলিই যে বিষবৃক্ষ হবে, সেটা তৃণমূল সুপ্রিমো বুঝেছেন। 
উনিশের নির্বাচনে তৃণমূল আরও বড় ধাক্কা খেয়েছিল। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা না করে ত্রুটিগুলি সামনে এনে সংশোধনের রাস্তায় হেঁটেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারজন্যই একুশের নির্বাচনে এসেছিল বিপুল সাফল্য। চব্বিশের ভোটে শহরে ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। তাই তিনি দলের মাতব্বর নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চাইছেন।
বেআইনি কামাইয়ের রাস্তা সঙ্কুচিত হলে সেই ‘পেশা’র প্রতি আকষর্ণ কমে। এরাজ্যের রেশন ব্যবস্থা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বাম আমলে, এমনকী রাজ্যে ক্ষমতা পরিবর্তনের পরেও ডিলারশিপ পাওয়ার জন্য লোকজন হামলে পড়ত। তখন রেশনশপ চালানোর অনেক ঝক্কি ছিল। রেশনের চাল নিয়ে প্রায়ই ক্ষোভ, বিক্ষোভের ঘটনা ঘটত। বাম আমলে বিক্ষোভের জেরে ডিলারের বাড়িতে আগুন, ভাঙচুর, গণপ্রহার কিছুই বাদ যায়নি। তা সত্ত্বেও ডিলারশিপ পাওয়ার জন্য ঘুষ দিতেও অনেকে কার্পণ্য করত না। আর এখন? রেশনের সামগ্রী নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। ঝকঝকে চাল। তাও ডিলারশিপ নিতে চাইছে না। কিন্তু কেন?
বাম আমলে ছিল লক্ষ লক্ষ ভুয়ো রেশন কার্ড। সেই কার্ডে রেশন সামগ্রী বরাদ্দ হতো। সেই চাল, গম, চিনি বেশি দামে খোলাবাজারে বিক্রি করে দিত। তাতে মোটা টাকা আসত। উপরতলায় তার ভাগ দিয়েও থাকত অনেকটাই। কিন্তু এখন ভুয়ো রেশন কার্ড নেই বললেই চলে। গ্রাহকের আঙুলের ছাপ ছাড়া তোলা যায় না রেশন সামগ্রী। ফলে বন্ধ ‘বেআইনি’ কামাই। এখন রেশনে সবটাই খাটুনির পয়সা। তাই ডিলারশিপ নেওয়ার আগ্রহ কমেছে। খাদ্যদপ্তর একের পর এক বিজ্ঞাপন দিয়েও ডিলার পাচ্ছে না। ডিলারশিপের পদ যতগুলি খালি ততগুলি আবেদনপত্রও জমা পড়ছে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়ারম্যান, কাউন্সিলারদের সেই বেআইনি কামাইয়ের রাস্তাটা বন্ধ করতে চাইছেন। তিনি বলেছেন, ‘যাঁরা জনসেবা করতে চান, মানুষের জন্য কাজ করতে চান, তাঁরাই কেবল থাকুন।’ মুখ্যমন্ত্রী চাইলেই তা করতে পারবেন, এমনটা নয়। আবার পারলেও সেটা চিরস্থায়ী হবে না। কারণ ক্ষমতা হল দুর্নীতির আঁতুড়ঘর। তাই শুদ্ধিকরণও একটা নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। মমতা সেটাই চাইছেন। এখনও মানুষ তাঁর কথা বিশ্বাস করে। বিশ্বাস আছে বলেই তাঁর কাছে অভিযোগ জানানোর জন্য পড়ছে লম্বা লাইন। 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগ কতটা সফল হবে বা আদৌ হবে কি না, সেটা বলবে সময়। তবে, তিনি যেভাবে দলের নেতাদের দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণ নিয়ে মুখ খুলেছেন, তা নজিরবিহীন। তিনি আন্তরিকভাবে শুদ্ধিকরণ চান বলেই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে দলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র নেওয়ার সাহস দেখিয়েছেন। তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়াও শুরু করেছেন। এভাবে আম জনতার কাছ থেকে অভিযোগ নেওয়ার বুকের পাটা দেশের আর কোনও নেতা-নেত্রী দেখাতে পারেননি।
তৃণমূল সূত্রের খবর, জমা পড়া সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে একে একে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোগ নিরাময়যোগ্য হলে দেওয়া হবে ‘ওষুধ’। না হলে তোলা হবে ওটি টেবিলে। এবার একুশে জুলাই সেই বার্তাই দেওয়া হবে। ফলে এবার অনেক নেতা ধর্মতলায় যাবেন হাসিমুখে, কিন্তু ফিরবেন মুখ চুন করে। তাই অনেকেই বলছেন, এবারের একুশে জুলাইটা অনেক নেতার জন্য আক্ষরিক অর্থেই ‘শহিদ দিবস’ হতে চলেছে।
20th  July, 2024
রাজ্যপালের কাছে রাজ্যবাসীর আশা রাখা অন্যায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মাসিক বেতন কত? সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও বেশি। তাও তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে গা করেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিলেও কিছুতে নাকি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে তাঁর মত মেলে না। 
বিশদ

নির্মলার বাজেট এবারও কি হতাশ করবে?
পি চিদম্বরম

অর্থনীতির অন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতো, আমিও বার্ষিক কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে সবসময় পড়াশোনার পাশাপাশি মতামত দিই এবং লেখালিখিও করি। তবে, বেশিরভাগ বাজেটের দিনেই সংসদ ভবন ছেড়ে আসতে হয় একরাশ হতাশা নিয়েই। বিশদ

22nd  July, 2024
আবেগের নাম ২১ জুলাই
হিমাংশু সিংহ

একুশে জুলাইয়ের বয়স তৃণমূলের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। কিন্তু বয়সে কী আসে যায়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত আজকের শহিদ দিবসটি। ২১ জুলাই শুনলেই সুন্দরবন থেকে পাহাড়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহারের মানুষ আছড়ে পড়ে কলকাতার রাজপথে। বিশদ

21st  July, 2024
ট্রাম্প টার্গেট: কিশোর মন বোঝা জরুরি
সমৃদ্ধ দত্ত

আমেরিকার ২০ বছরের এক তরুণের মনের হদিশ এতদিন ধরে কিন্তু কেউ পায়নি। তার স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী, প্রতিবেশী, অভিভাবক সকলেই প্রবল বিস্মিত। এরকম কাজ এই ছেলেটি কীভাবে করতে পারে? আজ পেনসিলভেনিয়ার এক কান্ট্রিসাইডে ঘটে যাওয়া ওই রোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা অনেক দূরে আমাদের ঘরে ঘরেও হয়তো হচ্ছে।
বিশদ

19th  July, 2024
হতাশার ভোটে রক্তাক্ত ট্রাম্প!
মৃণালকান্তি দাস

সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘিরে রেখে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তাঁর মুখের উপর রক্ত গড়িয়ে পড়ছে, এর মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে স্লোগান তোলা অদম্য ট্রাম্পের ছবি শুধু ঐতিহাসিক নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথও উল্টে দিতে পারে।  বিশদ

18th  July, 2024
সংবিধান প্রীতির সংসদীয় প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, হিউম্যারিস্ট স্টিফেন লিকক বলেছিলেন, প্রবাদগুলো নতুন করে লেখা উচিত। কারণ এগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এমনকী, কিছু প্রবাদ সাম্প্রতিক বাস্তবের বিপরীত ব্যাখ্যাই বহন করছে বিশদ

17th  July, 2024
উপ নির্বাচন ও কিছু মিলে যাওয়া অঙ্ক
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দ্রবণকে ব্যাখ্যা করতে গেলে তিনটি ধরন পাওয়া যায়—অসমপৃক্ত, সম্পৃক্ত, আর অতিপৃক্ত। নিছক স্কুলজীবনের বৈজ্ঞানিক শিক্ষা। কিন্তু অবলীলায় একে দৈনন্দিন জীবন, সমাজ এবং রাজনীতিতে চালিয়ে দেওয়া যায়। অতিপৃক্ত শব্দটিকে জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়ালে বলা যেতেই পারে, জল গলার উপর উঠে গিয়েছে।
  বিশদ

16th  July, 2024
নয়া তিন আইন নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেবেন কে?
পি চিদম্বরম

একটি বিতর্কের পরে যেখানে বিরোধীরা সংসদের উভয় কক্ষ (সঙ্গত কারণে) বয়কট করল, সেখানেই ভারতীয় দণ্ডবিধি, ১৮৬০, ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৯৭৩ এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ প্রতিস্থাপন (এবং পুনঃপ্রণয়ন) করার জন্য তিনটি বিল পাস করা হল।
বিশদ

15th  July, 2024
বাজেটের আগে মোদি মস্কোয় কেন?
হিমাংশু সিংহ

কথায় কথায় বলেন, নেহরু যুগের সব খারাপ। সেই কারণে দেরি না করে দ্রুত কংগ্রেস জমানার যাবতীয় নিশান মুছে ফেলাই যে তাঁর অগ্রাধিকার, তা বারে বারে বুঝিয়ে দিয়েছেন। অথচ তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার একমাসের মধ্যে নেহরু-ইন্দিরা যুগের বিদেশ নীতির পদাঙ্ক অনুসরণ করেই হইচই ফেলে দিলেন তিনি, নরেন্দ্র মোদি।
বিশদ

14th  July, 2024
মতুয়া ভোটের লোভেই কি শান্তনুর সাত খুন মাফ!
তন্ময় মল্লিক

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতৃত্ব বা নরেন্দ্র মোদির সরকার কি কোনও ব্যবস্থা নেবে? দ্বিতীয়বার মন্ত্রী হওয়ার এক মাসের মধ্যেই কেন এই প্রশ্ন? কারণ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে গোমাংস পাচারে মদতের গুরুতর অভিযোগ। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্তাকে তাঁর লেখা সুপারিশপত্র নিয়ে বিজেপির অন্দরে ব্যাপক জলঘোলা হচ্ছে।
বিশদ

13th  July, 2024
ট্যাক্স সন্ত্রাস: জনতার কষ্টার্জিত অর্থ যায় কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা বেতন, ব্যবসা অথবা স্বাভাবিক পেশার বাইরে কোনও অতিরিক্ত কাজ করে কিছু বেশি রোজগার করলাম। সেই টাকার একাংশ সরকার ট্যাক্স নেবে। ট্যাক্স কেটে নেওয়ার পর যে টাকা বেঁচে থাকবে, সেটা পুরোটাই তো আমাদের জীবনযাপনের জন্য থাকার কথা। বিশদ

12th  July, 2024
মমতার জলযুদ্ধ!
মৃণালকান্তি দাস

সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের ‘সাতকাহন’ উপন্যাসের নায়িকা ছিলেন দীপাবলি। যাঁকে উত্তরবঙ্গের চা-বাগান থেকে বহুবার সকরিকলি মনিহারি ঘাট হয়ে স্টিমারে গঙ্গা পেরিয়ে কলকাতা আসতে হতো। কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গের যোগসূত্র তখন অর্ধেক পথ ট্রেনে, তারপরে স্টিমারে গঙ্গা পেরিয়ে আবার অন্যপাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন। বিশদ

11th  July, 2024
একনজরে
সোমবার থেকে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিনেই বাগনান থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত রেললাইন চালুর দাবি জানালেন উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ। ...

বাংলাদেশের অশান্তির প্রভাব পড়েছে এপারের বাণিজ্যে। ওপারে সৃষ্টি হওয়া অচলাবস্থার জেরে মালদহের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। গত এক সপ্তাহ ধরেই পণ্য পরিবহণে বিঘ্ন ঘটছিল। রবি ...

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্রকে সোমবার স্থায়ী জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। লখিমপুর খেরিতে গাড়ির চাকায় কৃষকদের পিষে মারার মামলায় অভিযুক্ত আশিসকে গত বছর ২৫ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছিল। ...

ফিটনেসের সমস্যা, চোটের জন্য মাঝেমধ্যেই বাইরে থাকা, সতীর্থদের আস্থার অভাব। ভারতের টি-২০ অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে হার্দিক পান্ডিয়ার ছিটকে যাওয়ার কারণ এগুলোই। সোমবার প্রধান নির্বাচক অজিত ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৯- আমেরিকাতে টাইপরাইটারের পূর্বসুরী টাইপোগ্রাফার পেটেন্ট করেন উইলিয়াম অস্টিন বার্ড
১৮৪৩ - সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বাগ্মী রায়বাহাদুর কালীপ্রসন্ন ঘোষের জন্ম
১৮৫৬- স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের জন্ম
১৮৮১ - আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত 
১৮৯৩ - কলকাতায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পূর্বতন বেঙ্গল একাডেমি অব লিটারেচার স্থাপিত
১৮৯৫- চিত্রশিল্পী মুকুল দের জন্ম
১৮৯৮ - বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৬ - চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
১৯২৭ - সালের এই দিনে ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি বোম্বাইয়ে ভারতের প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৩ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবী ও আইনজীবী যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মৃত্যু
১৯৩৪ – পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের জন্ম
১৯৪৭ – বলিউড অভিনেতা মোহন আগাসের জন্ম
১৯৪৭ – বিশিষ্ট বেহালা বাদক এল সুব্রহ্মণমের জন্ম
১৯৪৯ -  দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ক্লাইভ রাইসের জন্ম
১৯৫৩ - ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার গ্রাহাম গুচের জন্ম
১৯৭৩ – সঙ্গীত পরিচালক তথা সঙ্গীত শিল্পী হিমেশ রেশমিয়ার জন্ম
১৯৯৫- হেল-বপ ধূমকেতু আবিস্কার হয়, পরের বছরের গোড়ায় সেটি খালি চোখে দৃশ্যমান হয়
২০০৪- অভিনেতা মেহমুদের মৃত্যু
২০১২- আই এন এ’ যোদ্ধা লক্ষ্মী সায়গলের মৃত্যু
২০১৮ - মঞ্চ ও চলচ্চিত্রাভিনেত্রী বাসবী নন্দীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৫ টাকা ৮৪.৫৯ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৩ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৬৩ টাকা ৯২.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ১৩/১০ দিবা ১০/২৪। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৩৭/৫৫ রাত্রি ৮/১৮। সূর্যোদয় ৫/৮/০, সূর্যাস্ত ৬/১৭/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/২ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৫/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৭ গতে ৮/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ ম঩ধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/০ মধ্যে। 
৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ১২/৪৭। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১১/৪২। সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৪১ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৫/১৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে ও ৯/৫ গতে ১১/১৯ মধ্যে ও ১/৩৩ গতে ৩/২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/৩ মধ্যে।
১৬ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিট-ইউজি প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলা: পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

05:18:38 PM

কলকাতা লিগ: ক্যালকাটা পুলিস ক্লাব ও মোহন বাগানের ম্যাচ ড্র, স্কোর ১-১

05:10:49 PM

বক্তব্য শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:02:23 PM

১৫ অক্টোবর দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল: মমতা

04:58:39 PM

আগামী বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:58:18 PM

চলতি বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:56:43 PM