পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ
চলতি বছর ডেঙ্গু সংক্রমণ ঠেকাতে বছরের শুরু থেকেই সক্রিয় ছিল স্বাস্থ্যদপ্তর। হাওড়া শহর, গ্রামীণ এলাকা এবং বালি শহরাঞ্চলে নিয়ম করে চলেছে সার্ভে। বিভিন্ন জায়গায় আবর্জনা, জমা জল সরাতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে পুরসভাগুলির তরফে। পাশাপাশি, ব্লকস্তরেও নির্দিষ্ট রুটিন বেঁধে কাজ হয়েছে। ফলে, জানুয়ারি থেকে জুন, বছরের প্রথম ছয় মাসে অনেকটাই নীচে ছিল ডেঙ্গু সংক্রমণের গ্রাফ। কিন্তু রাজ্যে বর্ষা ঢুকতেই মশাবাহিত এই রোগের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন জায়গায়। গত কয়েক সপ্তাহের ঝিরঝিরি বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় জল জমার প্রবণতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। তার সঙ্গে বিশেষ করে শহর এলাকাগুলিতে রাস্তা, নিকাশী নালা, পরিত্যক্ত বাড়ি বা আবর্জনার স্তুপে জমে থাকা জলে লার্ভার দেখা মিলেছে। ফলে বছরের ২৯ তম সপ্তাহেই গোটা জেলায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৫ জন। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের রিপোর্ট বলছে, হাওড়া পুরসভা এলাকায় গত সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সাতজন। বালি পুরসভা এলাকায় মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন দু’জন। বাকি ৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন জেলার বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায়। সব মিলিয়ে এই বছর এখনও পর্যন্ত হাওড়া জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩ জন।
গোটা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্যদপ্তর। ইতিমধ্যেই সংক্রমণের গতি ঠেকাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, একজন আক্রান্তের আশেপাশে থাকা ৫০ জনের স্বাস্থ্যের সমীক্ষা। বিষয়টি নিয়ে হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কিশলয় দত্ত বলেন, আমরা প্রতিটি আক্রান্তের বাড়িতে লোক পাঠাচ্ছি। তাদের পরিবার এবং প্রতিবেশী সহ আশেপাশে থাকা ৫০ জনের সার্ভে করা হচ্ছে। সন্দেহ হলে তাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এরকম কারও রক্তেই সংক্রমণ মেলেনি। তবুও আমরা আবর্জনা নিষ্কাশন, জমা জল সরানোর কাজগুলিতে জোর দিচ্ছি। জেলা স্বাস্থ্য ভবন থেকে জেলার তিনটি পুরসভা, ১৪টি ব্লকে নজরদারি চলছে। অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে শহুরে চরিত্রের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে। কারণ সেই এলাকাগুলির পরিকাঠামো গ্রামীণ হলেও জনসংখ্যা শহরের মতন। ফলে ডেঙ্গু সংক্রমণের আশঙ্কাও বেশি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ডেঙ্গু সংক্রমণের গ্রাফ ৭৩ ছুঁলেও তা আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছয়নি বলেই দাবি জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের। তাদের পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর এই সময় হাওড়া জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩২ জন। সেই নিরিখে এই বছর আক্রান্তও কম। আপাতত যে পদ্ধতিগুলি পুরসভা এবং ব্লকগুলিকে মেনে চলতে বলা হয়েছে, তা ঠিকঠাক মানা হলে হাওড়ায় ডেঙ্গু চিন্তাজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছবে না।