পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ
সিআইডি সূত্রে খবর, ২০২৩ সালে হুগলির চন্দননগরের এক বাসিন্দার কাছে একটি মেসেজ আসে। তাতে উল্লেখ করা হয়, ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করলে ভালো লাভ পাওয়া যাবে। উৎসাহিত হয়ে ওই ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপর ধাপে ধাপে ৪৩ লক্ষ টাকা তাঁর থেকে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই টাকা তিনি একাধিক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন। কিছুদিন পর তিনি কতটা লাভ হল, জানতে চান। তখন থেকে তাঁকে বিভিন্ন অজুহাতে ঘোরানো শুরু হয়। কিছুদিন পর একেবারেই যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় অভিযুক্তরা। চন্দননগরের ওই বাসিন্দা তখন অভিযোগ দায়ের করেন সাইবার সেলে। তদন্তভার নেয় সিআইডি।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, টাকা গিয়েছে দিল্লির বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্টে। তার ভিত্তিতে একটি কোম্পানিকে চিহ্নিত করা হয়। জানা যায়, এভাবে বিভিন্ন লোককে ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগের টোপ দেওয়া হচ্ছে। প্রতারণার টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে দুবাই সহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। সেই সঙ্গে কোম্পানির আধিকারিকরা বিদেশের বিভিন্ন ব্যক্তির নামে একাধিক ক্রিপ্টো অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা বিনিয়োগ করেছে। এরপরই দিল্লি ও হরিয়ানায় হানা দিয়ে রবিবার দু’জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। সিআইডি জেনেছে, এই চক্রের জাল গোটা দেশে ছড়িয়েছে। ধৃতদের জেরা করে চক্রের পান্ডাদের খোঁজ চলছে।