Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজ্যপালের কাছে রাজ্যবাসীর আশা রাখা অন্যায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মাসিক বেতন কত? সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও বেশি। তাও তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে গা করেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিলেও কিছুতে নাকি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে তাঁর মত মেলে না। 
ভ্রমণ, আতিথেয়তা, বিনোদন এবং অন্যান্য সুবিধা খাতে রাজ্যপাল বোস বছরে ভাতা পেয়ে থাকেন ১ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা। দেশের মধ্যে সর্বাধিক। তাও তিনি বিলে সই করেন না। বিধায়ক বা মন্ত্রীদের শপথে সিলমোহর না দিয়ে দিল্লি চলে যান। জনপ্রতিনিধি এবং পরিষেবার অপেক্ষায় বসে থাকতে হয় রাজ্যের মানুষকে। 
রাজ্যপাল বোস ঘর সাজানোর সরঞ্জামের জন্য পেয়ে থাকেন ৮০ লক্ষ টাকা। আর দার্জিলিংয়ের রাজভবনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৭২ লক্ষ টাকা। তারপরও বোসবাবুর বিরুদ্ধে তাঁরই রাজভবনের অস্থায়ী কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। এবং সেই ইস্যুতে কোনও প্রশ্ন তোলা যায় না। কারণ, তিনি রাজ্যপাল। সাংবিধানিক পদ। তদন্তের ঊর্ধ্বে। আর তাই তাঁর জন্য বরাদ্দ থাকে ‘রক্ষাকবচ’। 
উপরে যে কয়েকটি প্রাপ্তিযোগের কথা বলা হয়েছে, তার সবই কিন্তু জুগিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ, রাজ্যবাসীর করের টাকায় রাজ্যপালের সংসার চলে বললেও খুব ভুল বলা হবে না। তাই রাজ্যবাসী যদি তাঁর কাছে শুধু তাঁর কর্তব্যটুকু দাবি করে? যদি বলে, আপনি মশাই নিরপেক্ষ থাকুন! তাহলেও কি অন্যায় হবে? কিন্তু না, সংবিধান নাকি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলার ব্যাপারে প্রত্যেক নাগরিকের হাত-পা বেঁধে রেখেছে। উনি সবার ঊর্ধ্বে। তাই কোনও প্রশ্ন নয়, নো কোয়েশ্চেন! তিনি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। রাষ্ট্রপতি স্বয়ং তাঁর নিয়োগে সই করে থাকেন। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে থাকেন। এই সবই টেকনিকাল কথাবার্তা। বাস্তবটা হল, রাজ্যপাল এদেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কেন্দ্রের প্রতিনিধি এবং কখনও বশংবদ। যদি ডাবল ইঞ্জিন হয়, নো প্রবলেম। সমন্বয়ের আলোর ছটায় তখন দিল্লি থেকে রাজ্য—সর্বত্র আলোকিত হয়ে থাকে। কিন্তু কেন্দ্রের শাসকের বিরোধী কোনও দল যদি রাজ্যের ক্ষমতায় থাকে, তখনই রাজ্যপালের পক্ষপাতের চরিত্র জ্বলজ্বল করে ওঠে। এটাই দস্তুর। আর এই চিরন্তন সত্য কমবেশি প্রত্যেকেই জেনে গিয়েছে এবং মেনেও নিয়েছে। আমাদের বোসবাবুর ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। রাজ্যের শাসক তৃণমূল কংগ্রেস তো বটেই, এতদিন দেখেশুনে রাজ্যবাসীও তাঁর রূপগুণের সঙ্গে আত্মস্থ। তাহলে এখন হঠাৎ এত নড়াচড়া কীসের? কারণ বোসবাবুর বিরুদ্ধে ভয়াবহ একটি অভিযোগ উঠেছে—শ্লীলতাহানির। আর অভিযোগকারিণী তাঁরই রাজভবনের এক অস্থায়ী কর্মী। অভিযোগ কি দায়ের হয়েছে? না হয়নি। কারণ, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওটা করা যায় না। তদন্ত হয়েছে? সেখানেও বাধা রাজ্যপাল। বলা যায়, রাজ্যের তরফে শুধু রুটিন কয়েকটা কুটো নাড়া হয়েছিল। তাতেই দিল্লিকে বলেকয়ে স্বয়ং পুলিস কমিশনারের সাঁকো নাড়তে শুরু করে দিয়েছেন তিনি। তাহলে উপায় কী? সাধারণ মানুষ হিসেবে আমাদের কী মনে হতে পারে? সেই মেয়েটি কি বিচার পাবে না?
এই প্রশ্নটাই এখন লাখ টাকার। রাজ্যবাসীর কাছে আশার আলো হল, সুপ্রিম কোর্ট মামলাটা গ্রহণ করেছে। স্পষ্ট কথা, অভিযোগ এবং সাধারণ মানুষের দাবির সারবত্তা পেয়েছে বলেই এমন পদক্ষেপ। এখানেই শেষ নয়, এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারকে যুক্ত হওয়ার নির্দেশও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম শুনানি। তার আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এই ইস্যুতে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে। খুব স্বাভাবিকভাবেই কোমর বাঁধছে রাজ্য। সংবিধানের ৩৬১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলায় পূর্ণ ‘ইমিউনিটি’ পেয়ে থাকেন রাজ্যপাল। এই ধারার জোরেই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করা যায় না। যতক্ষণ তিনি সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি পদক্ষেপ নেওয়া যায় না। তদন্তও নয়। এই ধারার অধীনে রক্ষাকবচ পেয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতিও। কী বলা হয়েছে ৩৬১ নম্বর ধারায়? ক্ষমতার ব্যবহার এবং কর্তব্য পালনে রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালের নেওয়া পদক্ষেপের জন্য কোনও আদালতই তাঁদের জবাবদিহি করতে বলবে না। সেই অধিকার আদালতের নেই। তবে দেখতে হবে, সাংবিধানিক প্রধানের সিদ্ধান্তে যেন কোনও নাগরিকের অধিকার ক্ষুণ্ণ না হয়। তাহলে কি রাজ্যপালের কাজকর্মের কোনওরকম কাটাছেঁড়াই করা যাবে না। সেটাও হয়। ৬১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, লোকসভা বা রাজ্যসভার ঠিক করে দেওয়া ব্যক্তি, আদালত বা সংস্থা রাজ্যপালের নেওয়া সিদ্ধান্তের ‘রিভিউ’ করতে পারবে। মুশকিল হল, গোটা ব্যাপারটাই পর্যালোচনা স্তরে থেমে যাবে। যতদিন তিনি কুর্সিতে থাকবেন, তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি তো দূরঅস্ত, তদন্ত পর্যন্ত করা যাবে না। এখানে এটা মোক্ষম প্রশ্ন হল, যদি রাজ্যপালের ওই ‘কর্মকাণ্ড’ তাঁর দায়িত্ব পালন বা কর্তব্যের সঙ্গে জড়িত না হয়? রাজ্যপাল পদে বসলেই তো আর কেউ ভগবান হয়ে যান না! তাঁরও ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়া থাকে। আর সেই ‘ইনস্টিংক্ট’ যদি দেশের কোনও নাগরিকের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে? তাহলেও কি তিনি রক্ষাকবচ পাবেন? ওই চেয়ারে বসে কেউ চুরি-ডাকাতি করবেন না, তা নিশ্চিত। অত টাকা পাওয়ার পর সেটার আর প্রয়োজন হবে না। কিন্তু শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ, খুনের মতো অপরাধ ঘটলেও কি সংবিধান সামনে রেখে আদালত চুপ থাকবে? 
সুপ্রিম কোর্ট মামলাটা গ্রহণ করেছে মানে, এই প্রশ্নগুলো বিচারপতিদের মনেও এসেছে। তাই তাঁরা মামলা এবং সংবিধানকে পাশাপাশি রেখেই উপায় খুঁজতে নেমেছেন। সুপ্রিম কোর্টে এই নির্দেশের মধ্যেই অবশ্য বোসবাবু নিজে একটি তদন্ত রিপোর্ট খাড়া করে ফেলেছেন। কে করেছেন সেই তদন্ত? পুদুচেরির অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ ডি রামাবাথিরন। একেবারে ‘ইন-হাউজ’ তদন্ত। রাজভবন সূত্র বলছে, ওই এক সদস্যের তদন্ত কমিটির কাছে ৬৯টি ‘নিউজ ক্লিপিংস’ তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও সিসিটিভি ফুটেজের উল্লেখ রিপোর্টে নেই। অর্থাৎ, রাজভবন চত্বর বা বোসবাবুর ঘর পর্যন্ত করিডরের সিসি ক্যামেরার ছবিও তদন্ত কমিটিকে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ নেই রিপোর্টের শুরুতে। এ গেল মুদ্রার এক পিঠ। এবার দেখা যাক, তদন্তের সময় কার কার বয়ান নেওয়া হয়েছে—দু’জন টেলিফোন অপারেটর, দু’জন এডিসি, একজন অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি, একজন চাপরাশি এবং দু’জন পরিচারিকা। রাজভবনের তথ্য থেকেই স্পষ্ট, অভিযোগকারিণীর বয়ানই নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি কমিটি। তাহলে কি এই তদন্ত রিপোর্টকে সম্পূর্ণ বলে ধরা যায়? অথচ বোসবাবু গোটা অভিযোগ পর্বকেই ‘বানানো’ বলে দেগে দিয়েছেন। একজন যুবতী তাঁর সম্মান বিসর্জন দিয়ে দুনিয়ার সামনে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করবেন, বোসবাবু সেটা মিথ্যা বলবেন। ক্যামেরায় দেখা যাবে, তিনি কাঁদতে কাঁদতে ছুটছেন পুলিসের কাছে, সেটা হয়ে যাবে ‘রংচড়ানো’। আর তাঁর খাড়া করা রিপোর্ট গীতার মতো পবিত্র? তারপরও আমরা আবিষ্কার করব যে, সংবিধান তাঁকে রক্ষাকবচ দিয়েছে? তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত হবে না। ফৌজদারি কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না! তাহলে আইন সবার জন্য সমান হল কীভাবে? 
‘ফ্যাব্রিকেটেড’ অভিযোগ কেউ করতেই পারে। হাইপ্রোফাইল ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমনটা হয়েও থাকে। রাজ্যপালের চেয়ারে বসে আমাদের বোসবাবুও হাইপ্রোফাইল হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, তিনি কেন্দ্রের মনোনীত প্রতিনিধি। নির্বাচিত নন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিন্তু বাংলার মানুষ নির্বাচিত করেছেন। বারবার। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই বোসবাবু দাবি করছেন, পুরো ঘটনা নাকি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সাজিয়েছেন। এতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানহানি হয় না? আজ রাজ্যবাসী যদি তাঁকে প্রশ্ন করে, আমাদের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কী প্রমাণ রয়েছে আপনার কাছে? উত্তর দিতে পারবেন তো বোসবাবু। আপনি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি বিরোধী দলের লোকজনকে গুরুত্ব দেন। তাঁদের নিয়ে বৈঠক করেন। যদি ধরেও নেওয়া যায়, বিরোধীদের আপনি বাড়তি গুরুত্ব দিতে চান। গণতন্ত্রে সেটা মোটেও অন্যায় নয়। কিন্তু তাহলে একটি মাত্র দল কেন? বাকি বিরোধীরা কি বানের জলে ভেসে এসেছে? এই প্রশ্নের জবাব কেন আপনার থেকে পাওয়া যায় না? এখানেও অবশ্য সংবিধান মাই বাপ। আপনার কোনও কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। আমরা সাধারণ মানুষ। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, জীবন যন্ত্রণায় এমনিই ঝুঁকে থাকি। তাই প্রশ্ন তোলার কথা আমাদের মনেও আসে না। কিন্তু প্রশাসন হোক বা সংবিধান, প্রধানদের একটা কথা মনে রাখা উচিত—এই আম আদমি যখন চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন তোলে, তখনই ঘটে বিস্ফোরণ। আইন মানুষের জন্য। সংবিধান মানুষের জন্য। দেশের নাগরিক ততক্ষণই এর ফাঁকফোকরের সামনে নতজানু হবে, যতক্ষণ তা মৌলিক অধিকারকে পিঁপড়ের মতো টিপে মারছে না। কিন্তু সংবিধানকে হাতিয়ার করে যদি কেউ সাধারণ মানুষকে অসহায় পণ্যে পরিণত করে দেয়? সেটা সমাজ মানবে তো? যুগে যুগে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আম আদমিই কিন্তু রুখে দাঁড়িয়েছে। তখন তারা আইন মানেনি। সংবিধানও না। সংবিধান ক্ষমতা দিয়েছে রাজ্যপালকে। আর প্রতিবার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর মানুষ দেখিয়েছে, আসল ক্ষমতা অর্জন করতে হয়। যে কুর্সির অহংয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান, সেই চেয়ারই কিন্তু আর তখন থাকে না। হঠাৎ একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে স্বেচ্ছাচারী আবিষ্কার করে, সে প্রাক্তন হয়ে গিয়েছে। সৌজন্যে? ক্ষমতা... পাওয়ার অব কমন ম্যান।   
নির্মলার বাজেট এবারও কি হতাশ করবে?
পি চিদম্বরম

অর্থনীতির অন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতো, আমিও বার্ষিক কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে সবসময় পড়াশোনার পাশাপাশি মতামত দিই এবং লেখালিখিও করি। তবে, বেশিরভাগ বাজেটের দিনেই সংসদ ভবন ছেড়ে আসতে হয় একরাশ হতাশা নিয়েই। বিশদ

22nd  July, 2024
আবেগের নাম ২১ জুলাই
হিমাংশু সিংহ

একুশে জুলাইয়ের বয়স তৃণমূলের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। কিন্তু বয়সে কী আসে যায়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত আজকের শহিদ দিবসটি। ২১ জুলাই শুনলেই সুন্দরবন থেকে পাহাড়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহারের মানুষ আছড়ে পড়ে কলকাতার রাজপথে। বিশদ

21st  July, 2024
২১ জুলাই এবার অনেক নেতারও ‘শহিদ দিবস’
তন্ময় মল্লিক

‘লোকসভা নির্বাচনে কম আসন পেলেও রাজ্যে ৬৯টি পুরসভায় আমরা এগিয়ে।’ কথাগুলি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। নির্বাচনে ভরাডুবির পর হতোদ্যম দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে গেলে হতাশার গাদা থেকে খুঁজে বের করতে হয় সাফল্যের ছুঁচ। বিশদ

20th  July, 2024
ট্রাম্প টার্গেট: কিশোর মন বোঝা জরুরি
সমৃদ্ধ দত্ত

আমেরিকার ২০ বছরের এক তরুণের মনের হদিশ এতদিন ধরে কিন্তু কেউ পায়নি। তার স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী, প্রতিবেশী, অভিভাবক সকলেই প্রবল বিস্মিত। এরকম কাজ এই ছেলেটি কীভাবে করতে পারে? আজ পেনসিলভেনিয়ার এক কান্ট্রিসাইডে ঘটে যাওয়া ওই রোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা অনেক দূরে আমাদের ঘরে ঘরেও হয়তো হচ্ছে।
বিশদ

19th  July, 2024
হতাশার ভোটে রক্তাক্ত ট্রাম্প!
মৃণালকান্তি দাস

সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘিরে রেখে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তাঁর মুখের উপর রক্ত গড়িয়ে পড়ছে, এর মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে স্লোগান তোলা অদম্য ট্রাম্পের ছবি শুধু ঐতিহাসিক নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথও উল্টে দিতে পারে।  বিশদ

18th  July, 2024
সংবিধান প্রীতির সংসদীয় প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, হিউম্যারিস্ট স্টিফেন লিকক বলেছিলেন, প্রবাদগুলো নতুন করে লেখা উচিত। কারণ এগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এমনকী, কিছু প্রবাদ সাম্প্রতিক বাস্তবের বিপরীত ব্যাখ্যাই বহন করছে বিশদ

17th  July, 2024
উপ নির্বাচন ও কিছু মিলে যাওয়া অঙ্ক
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দ্রবণকে ব্যাখ্যা করতে গেলে তিনটি ধরন পাওয়া যায়—অসমপৃক্ত, সম্পৃক্ত, আর অতিপৃক্ত। নিছক স্কুলজীবনের বৈজ্ঞানিক শিক্ষা। কিন্তু অবলীলায় একে দৈনন্দিন জীবন, সমাজ এবং রাজনীতিতে চালিয়ে দেওয়া যায়। অতিপৃক্ত শব্দটিকে জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়ালে বলা যেতেই পারে, জল গলার উপর উঠে গিয়েছে।
  বিশদ

16th  July, 2024
নয়া তিন আইন নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেবেন কে?
পি চিদম্বরম

একটি বিতর্কের পরে যেখানে বিরোধীরা সংসদের উভয় কক্ষ (সঙ্গত কারণে) বয়কট করল, সেখানেই ভারতীয় দণ্ডবিধি, ১৮৬০, ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৯৭৩ এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ প্রতিস্থাপন (এবং পুনঃপ্রণয়ন) করার জন্য তিনটি বিল পাস করা হল।
বিশদ

15th  July, 2024
বাজেটের আগে মোদি মস্কোয় কেন?
হিমাংশু সিংহ

কথায় কথায় বলেন, নেহরু যুগের সব খারাপ। সেই কারণে দেরি না করে দ্রুত কংগ্রেস জমানার যাবতীয় নিশান মুছে ফেলাই যে তাঁর অগ্রাধিকার, তা বারে বারে বুঝিয়ে দিয়েছেন। অথচ তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার একমাসের মধ্যে নেহরু-ইন্দিরা যুগের বিদেশ নীতির পদাঙ্ক অনুসরণ করেই হইচই ফেলে দিলেন তিনি, নরেন্দ্র মোদি।
বিশদ

14th  July, 2024
মতুয়া ভোটের লোভেই কি শান্তনুর সাত খুন মাফ!
তন্ময় মল্লিক

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতৃত্ব বা নরেন্দ্র মোদির সরকার কি কোনও ব্যবস্থা নেবে? দ্বিতীয়বার মন্ত্রী হওয়ার এক মাসের মধ্যেই কেন এই প্রশ্ন? কারণ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে গোমাংস পাচারে মদতের গুরুতর অভিযোগ। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্তাকে তাঁর লেখা সুপারিশপত্র নিয়ে বিজেপির অন্দরে ব্যাপক জলঘোলা হচ্ছে।
বিশদ

13th  July, 2024
ট্যাক্স সন্ত্রাস: জনতার কষ্টার্জিত অর্থ যায় কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা বেতন, ব্যবসা অথবা স্বাভাবিক পেশার বাইরে কোনও অতিরিক্ত কাজ করে কিছু বেশি রোজগার করলাম। সেই টাকার একাংশ সরকার ট্যাক্স নেবে। ট্যাক্স কেটে নেওয়ার পর যে টাকা বেঁচে থাকবে, সেটা পুরোটাই তো আমাদের জীবনযাপনের জন্য থাকার কথা। বিশদ

12th  July, 2024
মমতার জলযুদ্ধ!
মৃণালকান্তি দাস

সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের ‘সাতকাহন’ উপন্যাসের নায়িকা ছিলেন দীপাবলি। যাঁকে উত্তরবঙ্গের চা-বাগান থেকে বহুবার সকরিকলি মনিহারি ঘাট হয়ে স্টিমারে গঙ্গা পেরিয়ে কলকাতা আসতে হতো। কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গের যোগসূত্র তখন অর্ধেক পথ ট্রেনে, তারপরে স্টিমারে গঙ্গা পেরিয়ে আবার অন্যপাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন। বিশদ

11th  July, 2024
একনজরে
বাংলাদেশের অশান্তির প্রভাব পড়েছে এপারের বাণিজ্যে। ওপারে সৃষ্টি হওয়া অচলাবস্থার জেরে মালদহের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। গত এক সপ্তাহ ধরেই পণ্য পরিবহণে বিঘ্ন ঘটছিল। রবি ...

সোমবার থেকে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিনেই বাগনান থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত রেললাইন চালুর দাবি জানালেন উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ। ...

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্রকে সোমবার স্থায়ী জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। লখিমপুর খেরিতে গাড়ির চাকায় কৃষকদের পিষে মারার মামলায় অভিযুক্ত আশিসকে গত বছর ২৫ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছিল। ...

ফিটনেসের সমস্যা, চোটের জন্য মাঝেমধ্যেই বাইরে থাকা, সতীর্থদের আস্থার অভাব। ভারতের টি-২০ অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে হার্দিক পান্ডিয়ার ছিটকে যাওয়ার কারণ এগুলোই। সোমবার প্রধান নির্বাচক অজিত ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৯- আমেরিকাতে টাইপরাইটারের পূর্বসুরী টাইপোগ্রাফার পেটেন্ট করেন উইলিয়াম অস্টিন বার্ড
১৮৪৩ - সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বাগ্মী রায়বাহাদুর কালীপ্রসন্ন ঘোষের জন্ম
১৮৫৬- স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের জন্ম
১৮৮১ - আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত 
১৮৯৩ - কলকাতায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পূর্বতন বেঙ্গল একাডেমি অব লিটারেচার স্থাপিত
১৮৯৫- চিত্রশিল্পী মুকুল দের জন্ম
১৮৯৮ - বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৬ - চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
১৯২৭ - সালের এই দিনে ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি বোম্বাইয়ে ভারতের প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৩ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবী ও আইনজীবী যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মৃত্যু
১৯৩৪ – পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের জন্ম
১৯৪৭ – বলিউড অভিনেতা মোহন আগাসের জন্ম
১৯৪৭ – বিশিষ্ট বেহালা বাদক এল সুব্রহ্মণমের জন্ম
১৯৪৯ -  দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ক্লাইভ রাইসের জন্ম
১৯৫৩ - ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার গ্রাহাম গুচের জন্ম
১৯৭৩ – সঙ্গীত পরিচালক তথা সঙ্গীত শিল্পী হিমেশ রেশমিয়ার জন্ম
১৯৯৫- হেল-বপ ধূমকেতু আবিস্কার হয়, পরের বছরের গোড়ায় সেটি খালি চোখে দৃশ্যমান হয়
২০০৪- অভিনেতা মেহমুদের মৃত্যু
২০১২- আই এন এ’ যোদ্ধা লক্ষ্মী সায়গলের মৃত্যু
২০১৮ - মঞ্চ ও চলচ্চিত্রাভিনেত্রী বাসবী নন্দীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৫ টাকা ৮৪.৫৯ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৩ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৬৩ টাকা ৯২.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ১৩/১০ দিবা ১০/২৪। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৩৭/৫৫ রাত্রি ৮/১৮। সূর্যোদয় ৫/৮/০, সূর্যাস্ত ৬/১৭/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/২ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৫/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৭ গতে ৮/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ ম঩ধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/০ মধ্যে। 
৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ১২/৪৭। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১১/৪২। সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৪১ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৫/১৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে ও ৯/৫ গতে ১১/১৯ মধ্যে ও ১/৩৩ গতে ৩/২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/৩ মধ্যে।
১৬ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিট-ইউজি প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলা: পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

05:18:38 PM

কলকাতা লিগ: ক্যালকাটা পুলিস ক্লাব ও মোহন বাগানের ম্যাচ ড্র, স্কোর ১-১

05:10:49 PM

বক্তব্য শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:02:23 PM

১৫ অক্টোবর দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল: মমতা

04:58:39 PM

আগামী বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:58:18 PM

চলতি বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:56:43 PM