Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নির্মলার বাজেট এবারও কি হতাশ করবে?
পি চিদম্বরম

অর্থনীতির অন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতো, আমিও বার্ষিক কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে সবসময় পড়াশোনার পাশাপাশি মতামত দিই এবং লেখালিখিও করি। তবে, বেশিরভাগ বাজেটের দিনেই সংসদ ভবন ছেড়ে আসতে হয় একরাশ হতাশা নিয়েই।
অতঃপর, আমি ফিরে যাই সাধারণ মানুষের কাছে। কথাবার্তা হয় বিধায়ক, অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, কৃষক, মহিলা, যুবক-যুবতী এবং সর্বোপরি দলীয় কর্মী ও বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিদের সঙ্গে। শেষোক্ত ব্যক্তিরা আমাকে একেবারে তৃণমূল স্তরের খবরাখবর দেয়। বিশেষ করে প্রতিক্রিয়া উঠে আসে হাটে-বাজারের স্থানীয় মানুষের আড্ডা থেকে।  গত একদশ যাবৎ, কার্যত প্রতিবছরই খেয়াল করছি যে বাজেটের ‘ঘোষণাগুলি’ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। সেসব গুরুত্ব হারাচ্ছে সাধারণ মানুষের আড্ডাতেও।   

ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ 
বাজেট নিয়ে সাধারণের মধ্যে এই হতাশার প্রধান কারণ হল, বাজেট যাঁরা তৈরি করছেন তাঁদের সঙ্গে মাটির-বাস্তবের কোনও যোগাযোগ নেই। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বাস্তব মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন তাঁরা। ২০২৪-২৫ সালের কথা ধরা যাক। এই সময়কালের জন্যই বাজেট পেশ হতে চলেছে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৩ জুলাই)। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির একটি বাস্তব মূল্যায়নে এটাই প্রকাশিত হবে যে:
•  যুব সমাজ, সমস্ত পরিবার ও সামাজিক ক্ষেত্রে শান্তির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের নাম বেকারত্ব। পদ রয়েছে কয়েক হাজার। তার মধ্যে শূন্যপদ মাত্র কয়েক ডজন। কিন্তু তার জন্যই আবেদন জমা পড়ছে লক্ষ লক্ষ প্রার্থীর। একটি লিখিত পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউ দিতে হাজিরও হচ্ছেন তাঁদের সকলে। এই আবহেই ঘটে যাচ্ছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ভয়াবহ ঘটনা। চলছে ঘুষের লেনেদন। বেগতিক বুঝে অনেক ক্ষেত্রে চাকরির পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ শেষ মুহূর্তে বাতিলও হচ্ছে। এমন ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগের মধ্যেই পড়তে হয় এই বেকার বাহিনীকে। এগুলিই হল একটি বিস্ফোরক বেকার পরিস্থিতির প্রত্যক্ষ পরিণতি। বিশেষজ্ঞ সংস্থা সিএমআইই’র মতে, বেকারত্বের সর্বভারতীয় হার এখন ৯.২ শতাংশ।  কিছু কাজের সুযোগ নাকি বেড়েছে কৃষি ক্ষেত্রে (সত্যিকার অর্থে যেটা ছদ্মবেকারত্ব), নির্মাণ শিল্পে (যদিও তা অনিয়মিত) এবং গিগ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে (মানে মুক্ত অর্থনীতিসুলভ স্বল্পদিনের পার্টটাইম টাইপের কাজে, যেসব কাজের কোনও গ্যারান্টি নেই)। 
অল্পবয়সি ছেলেমেয়েরা সেই ধরনের স্থায়ী চাকরি চান যাতে কাজের মেয়াদ এবং ন্যায্য মজুরির নিশ্চয়তা নিরাপত্তা রয়েছে। এমন কাঙ্ক্ষিত কাজ বা চাকরি অবশ্য সরকার এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলিতেই পাওয়া সম্ভব। ২০২৪ সালের শুরুতে, এই ধরনের ১০ লক্ষ শূন্যপদ ছিল। নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্রীয় সরকার ওই শূন্যপদগুলি পূরণ করতে চায়, তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। চনমনে ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর এবং ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, আইটি বা তথ্য-প্রযুক্তি, শিপিং, অসমারিক বিমান পরিবহণ, হসপিটালিটি, হেলথকেয়ার বা স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা এবং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের মতো ‘হাই-ভ্যালু’ সার্ভিস সেক্টরে এই ধরনের কাজ বা চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা যেতেই পারে। ম্যানুফ্যাকচারিং আউটপুট জিডিপির মাত্র ১৫ শতাংশেই থমকে রয়েছে। কারণ ভারতীয় শিল্পপতি বা বণিকদের তরফে এই ক্ষেত্রে পুঁজি বিনিয়োগে চরম অনীহা দেখা গিয়েছে। ম্যানুফ্যাকচারিং এবং ‘হাই-ভ্যালু’ সার্ভিস সেক্টরে দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য জরুরি হল আর্থিক নীতি নতুনভাবে ঠিক করা। ওইসঙ্গে আরও দরকার, বিদেশি বিনিয়োগ এবং বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধির পক্ষে উপযোগী সাহসী পদক্ষেপ। 
• অন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জের নাম মূল্যবৃদ্ধি বা মুদ্রাস্ফীতি। সরকারের পরিমাপ অনুযায়ী, পাইকারি মূল্যস্ফীতি ৩.৪ শতাংশের মতো চড়া। একই সময়ে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা সিপিআই মূল্যস্ফীতি ৫.১ শতাংশ এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯.৪ শতাংশ হয়েছে।  যেহেতু ভারতের সব জায়গায় পণ্য ও পরিষেবা অবাধে পাঠানো যায় না, তাই হার স্থান বিশেষে নানারকম। দাম এরাজ্যে একরকম তো অন্য রাজ্যে আর-এক রকম। এমনকী, একই রাজ্যের ভিতরেও নানা শহর বা অঞ্চলেও দামের তফাত লক্ষণীয়। যেসব জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো সেখানকার সঙ্গে এবং অনুন্নত প্রান্তিক জেলাগুলিতে জিনিসপত্র ও পরিষেবার দামের হেরফের ঘটে। সম্ভবত জনসংখ্যার শীর্ষ ২০-৩০ শতাংশকে বাদ দিলে দেশের বাকি প্রতিটি পরিবারই মুদ্রাস্ফীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে ক্ষুব্ধ এবং বেশিরভাগই খেপে রয়েছে। 
বাজেট ভাষণ ও বরাদ্দের ভিতরে বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধি মোকাবিলার জন্য যতটুকু বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ দেখতে পাবেন, তাতে আপনার সন্তুষ্টির মাত্রা অনুযায়ী আপনি বড় জোর ৫০ নম্বর দিতে পারেন। 

অন্য দুটি চ্যালেঞ্জ
বাকি ৫০ নম্বর বরাদ্দ করা যেতে পারে শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং জনগণের জন্য অন্যসকল অগ্রাধিকারের নিরিখে। আমাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার মান যতদিন নিম্ন থাকবে ভারত ততদিন ‘উন্নত’ দেশের পংক্তিতে পৌঁছবে না।  শিক্ষার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল স্কুলশিক্ষার চিত্রটি। স্কুলশিক্ষার নিঃসন্দেহে বিস্তৃতি ঘটেছে, কিন্তু তা অতিশয় নিম্নমানের। বাস্তব এটাই যে, একটি শিশু গড়ে সাত-আট বছর স্কুলে কাটায়। তব সত্ত্বেও প্রায় অর্ধেক শিশু কোনও একটি ভাষায় তার পাঠ্য অতিসাধারণ বিষয়ও ঠিকমতো পড়ার ও লেখার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে না। সাধারণ পাটিগণিতের অঙ্কেও তাদের একেবারে ল্যাজেগোবরে অবস্থা। স্কিলড জব বা যে চাকরিতে বিশেষ দক্ষতা জরুরি, সেইসব কাজের জন্য এরা মোটেই উপযুক্ত নয়। কয়েক হাজার স্কুল রয়েছে যেখানে শিক্ষকের সংখ্যা মাত্রই এক! স্কুলগুলিতে পড়ার ঘর, শৌচাগার এবং শিক্ষা-উপকরণের ঘাটতি মারাত্মক। এরপর লাইব্রেরি এবং ল্যাবরেটরির পরিস্থিতি নিয়ে ভাববার অবকাশ কোথায়? এই মৌলিক সমস্যাগুলির সমাধানের ব্যবস্থা কেন্দ্রকেই করতে হবে। এজন্য সর্বতোভাবে সাহায্য করতে হবে রাজ্যগুলিকে। বিতর্কিত জাতীয় শিক্ষানীতি কিংবা কেলেঙ্কারি-জর্জরিত এনটিএ/নিট-এর ধুয়ো তুলে মানবসম্পদ এবং অমূল্য সময় নষ্ট করা অনুচিত।
স্বাস্থ্য পরিষেবা ভালো কিন্তু মোটেই পর্যাপ্ত নয়। যদি পরিমাণের কথা বলেন, তো বলব যে পাবলিক হেলথকেয়ার পরিমাণগতভাবে বাড়ছে কিন্তু তার গুণমান একেবারেই তেমন নয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের ন্যাশনাল হেলথ এক্সপেনডিচার অ্যাকাউন্টস বা এনএইচএই অনুসারে, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ব্যয় হয় প্রায় ৪৭ শতাংশ। আকারে এবং গুণমানে উভয় ক্ষেত্রেই শ্রীবৃদ্ধি ঘটছে বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার। তবে তা বেশিরভাগ মানুষের সাধ্যের বাইরে। সার্বিক চিত্র এটাই যে—ডাক্তার, নার্স, মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান এবং রোগনির্ণয়ের যন্ত্রপাতি প্রভৃতির যে ঘাটতি রয়েছে তা মারাত্মক। স্বাস্থ্য পরিষেবায় কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় কমেছে দুই দিক থেকেই। জিডিপির অনুপাত ধরলে তা কমে হয়েছে ০.২৮ শতাংশ। অন্যদিকে, মোট ব্যয়ের অনুপাতে নেমে গিয়েছে ১.৯ শতাংশে (সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডয়া, ১৫ জুলাই, ২০২৪)। সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষ মোটেই খুশি নয়।

কষিয়ে থাপ্পড় 
অন্যান্য লোকের অগ্রাধিকারগুলি হল—থমকে থাকা মজুরি, ক্রমবর্ধমান পারিবারিক ঋণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবহার কমে যাওয়া, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) আইনি গ্যারান্টি, শিক্ষাঋণের বোঝা এবং অগ্নিপথ প্রকল্প। এই চ্যালেঞ্জগুলির সমাধান এটাই যে, ন্যূনতম মজুরি দৈনিক ৪০০ টাকা করতে হবে, দিতে হবে এমএসপির জন্য লিগাল গ্যারান্টি, মকুব করে দিতে হবে শিক্ষাঋণ এবং তুলে দিতে হবে সেনা বাহিনীতে জওয়ান নিয়োগের অগ্নিপথ নামক প্রকল্পটি।
উপর্যুক্ত বিষয়গুলি নিয়ে সরকারের চরম অবহেলা ও মশকরার পরিণামে এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন জয়ের ক্ষেত্রে বিরাট বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে। যদিও তাতে বিজেপিকে অনুতপ্ত বলে মনে হয়নি। কেননা, সরকার তার ‘ক্রোনি ক্যাপিটালিস্ট, ট্রিকল-ডাউন, ক্যাপিটাল বায়াসড অ্যান্ড প্রোটেকশনিস্ট’ মডেল থেকে দেশকে বের করে আনার ব্যাপারে জনসাধারণের সামনে না-দিয়েছে বিবৃতি, না-ইচ্ছা প্রকাশ করেছে অন্যভাবেও।  এমাসে অনুষ্ঠিত ১৩টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনেও ভোটাররা বিজেপিকে আরও কষিয়ে একটা থাপ্পড় দিয়েছে। এই ভোটে বিরোধীদের মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’ জিতেছে দশটি আসনে। ‘ইন্ডিয়া’ জোটের দলগুলির ভোট শেয়ারের যে বৃদ্ধি ঘটেছে সেটিও রীতিমতো নাটকীয় (দ্য হিন্দু, ১৭ জুলাই, ২০২৪)। আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেট কি দেওয়াল লিখন অনুযায়ী সাড়া দেবে? পাঠক, আশা ছাড়বেন না। 
 লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
22nd  July, 2024
রাজ্যপালের কাছে রাজ্যবাসীর আশা রাখা অন্যায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মাসিক বেতন কত? সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও বেশি। তাও তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে গা করেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিলেও কিছুতে নাকি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে তাঁর মত মেলে না। 
বিশদ

আবেগের নাম ২১ জুলাই
হিমাংশু সিংহ

একুশে জুলাইয়ের বয়স তৃণমূলের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। কিন্তু বয়সে কী আসে যায়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত আজকের শহিদ দিবসটি। ২১ জুলাই শুনলেই সুন্দরবন থেকে পাহাড়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহারের মানুষ আছড়ে পড়ে কলকাতার রাজপথে। বিশদ

21st  July, 2024
২১ জুলাই এবার অনেক নেতারও ‘শহিদ দিবস’
তন্ময় মল্লিক

‘লোকসভা নির্বাচনে কম আসন পেলেও রাজ্যে ৬৯টি পুরসভায় আমরা এগিয়ে।’ কথাগুলি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। নির্বাচনে ভরাডুবির পর হতোদ্যম দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে গেলে হতাশার গাদা থেকে খুঁজে বের করতে হয় সাফল্যের ছুঁচ। বিশদ

20th  July, 2024
ট্রাম্প টার্গেট: কিশোর মন বোঝা জরুরি
সমৃদ্ধ দত্ত

আমেরিকার ২০ বছরের এক তরুণের মনের হদিশ এতদিন ধরে কিন্তু কেউ পায়নি। তার স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী, প্রতিবেশী, অভিভাবক সকলেই প্রবল বিস্মিত। এরকম কাজ এই ছেলেটি কীভাবে করতে পারে? আজ পেনসিলভেনিয়ার এক কান্ট্রিসাইডে ঘটে যাওয়া ওই রোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা অনেক দূরে আমাদের ঘরে ঘরেও হয়তো হচ্ছে।
বিশদ

19th  July, 2024
হতাশার ভোটে রক্তাক্ত ট্রাম্প!
মৃণালকান্তি দাস

সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘিরে রেখে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তাঁর মুখের উপর রক্ত গড়িয়ে পড়ছে, এর মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে স্লোগান তোলা অদম্য ট্রাম্পের ছবি শুধু ঐতিহাসিক নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথও উল্টে দিতে পারে।  বিশদ

18th  July, 2024
সংবিধান প্রীতির সংসদীয় প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, হিউম্যারিস্ট স্টিফেন লিকক বলেছিলেন, প্রবাদগুলো নতুন করে লেখা উচিত। কারণ এগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এমনকী, কিছু প্রবাদ সাম্প্রতিক বাস্তবের বিপরীত ব্যাখ্যাই বহন করছে বিশদ

17th  July, 2024
উপ নির্বাচন ও কিছু মিলে যাওয়া অঙ্ক
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দ্রবণকে ব্যাখ্যা করতে গেলে তিনটি ধরন পাওয়া যায়—অসমপৃক্ত, সম্পৃক্ত, আর অতিপৃক্ত। নিছক স্কুলজীবনের বৈজ্ঞানিক শিক্ষা। কিন্তু অবলীলায় একে দৈনন্দিন জীবন, সমাজ এবং রাজনীতিতে চালিয়ে দেওয়া যায়। অতিপৃক্ত শব্দটিকে জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়ালে বলা যেতেই পারে, জল গলার উপর উঠে গিয়েছে।
  বিশদ

16th  July, 2024
নয়া তিন আইন নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেবেন কে?
পি চিদম্বরম

একটি বিতর্কের পরে যেখানে বিরোধীরা সংসদের উভয় কক্ষ (সঙ্গত কারণে) বয়কট করল, সেখানেই ভারতীয় দণ্ডবিধি, ১৮৬০, ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৯৭৩ এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ প্রতিস্থাপন (এবং পুনঃপ্রণয়ন) করার জন্য তিনটি বিল পাস করা হল।
বিশদ

15th  July, 2024
বাজেটের আগে মোদি মস্কোয় কেন?
হিমাংশু সিংহ

কথায় কথায় বলেন, নেহরু যুগের সব খারাপ। সেই কারণে দেরি না করে দ্রুত কংগ্রেস জমানার যাবতীয় নিশান মুছে ফেলাই যে তাঁর অগ্রাধিকার, তা বারে বারে বুঝিয়ে দিয়েছেন। অথচ তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার একমাসের মধ্যে নেহরু-ইন্দিরা যুগের বিদেশ নীতির পদাঙ্ক অনুসরণ করেই হইচই ফেলে দিলেন তিনি, নরেন্দ্র মোদি।
বিশদ

14th  July, 2024
মতুয়া ভোটের লোভেই কি শান্তনুর সাত খুন মাফ!
তন্ময় মল্লিক

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতৃত্ব বা নরেন্দ্র মোদির সরকার কি কোনও ব্যবস্থা নেবে? দ্বিতীয়বার মন্ত্রী হওয়ার এক মাসের মধ্যেই কেন এই প্রশ্ন? কারণ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে গোমাংস পাচারে মদতের গুরুতর অভিযোগ। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্তাকে তাঁর লেখা সুপারিশপত্র নিয়ে বিজেপির অন্দরে ব্যাপক জলঘোলা হচ্ছে।
বিশদ

13th  July, 2024
ট্যাক্স সন্ত্রাস: জনতার কষ্টার্জিত অর্থ যায় কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা বেতন, ব্যবসা অথবা স্বাভাবিক পেশার বাইরে কোনও অতিরিক্ত কাজ করে কিছু বেশি রোজগার করলাম। সেই টাকার একাংশ সরকার ট্যাক্স নেবে। ট্যাক্স কেটে নেওয়ার পর যে টাকা বেঁচে থাকবে, সেটা পুরোটাই তো আমাদের জীবনযাপনের জন্য থাকার কথা। বিশদ

12th  July, 2024
মমতার জলযুদ্ধ!
মৃণালকান্তি দাস

সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের ‘সাতকাহন’ উপন্যাসের নায়িকা ছিলেন দীপাবলি। যাঁকে উত্তরবঙ্গের চা-বাগান থেকে বহুবার সকরিকলি মনিহারি ঘাট হয়ে স্টিমারে গঙ্গা পেরিয়ে কলকাতা আসতে হতো। কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গের যোগসূত্র তখন অর্ধেক পথ ট্রেনে, তারপরে স্টিমারে গঙ্গা পেরিয়ে আবার অন্যপাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন। বিশদ

11th  July, 2024
একনজরে
দুবাই পুলিস গ্রেপ্তার করেছে পাক সঙ্গীতশিল্পী রাহাত ফতে আলি খানকে। সোমবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে এমনই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। ...

আলু নিয়ে ব্যবসায়ীদের ফাটকাবাজি বন্ধ করতে এবার পদক্ষেপ নিল রাজ্য। চাষিদের থেকে আলু কিনে তা ন্যায্যমূল্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দিয়ে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ...

সোমবার থেকে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিনেই বাগনান থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত রেললাইন চালুর দাবি জানালেন উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ। ...

পুলিসি ধরপাকড় কিছুটা কমতেই ফের শুরু হয়েছে চোরাই কয়লা কারবার। দুবরাজপুরের ঘাট গোপালপুর গ্রামই এখন চোরাই কয়লার প্রধান স্টক পয়েন্ট। সেখান থেকে বাইকে করে কয়লা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৯- আমেরিকাতে টাইপরাইটারের পূর্বসুরী টাইপোগ্রাফার পেটেন্ট করেন উইলিয়াম অস্টিন বার্ড
১৮৪৩ - সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বাগ্মী রায়বাহাদুর কালীপ্রসন্ন ঘোষের জন্ম
১৮৫৬- স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের জন্ম
১৮৮১ - আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত 
১৮৯৩ - কলকাতায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পূর্বতন বেঙ্গল একাডেমি অব লিটারেচার স্থাপিত
১৮৯৫- চিত্রশিল্পী মুকুল দের জন্ম
১৮৯৮ - বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৬ - চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
১৯২৭ - সালের এই দিনে ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি বোম্বাইয়ে ভারতের প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৩ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবী ও আইনজীবী যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মৃত্যু
১৯৩৪ – পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের জন্ম
১৯৪৭ – বলিউড অভিনেতা মোহন আগাসের জন্ম
১৯৪৭ – বিশিষ্ট বেহালা বাদক এল সুব্রহ্মণমের জন্ম
১৯৪৯ -  দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ক্লাইভ রাইসের জন্ম
১৯৫৩ - ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার গ্রাহাম গুচের জন্ম
১৯৭৩ – সঙ্গীত পরিচালক তথা সঙ্গীত শিল্পী হিমেশ রেশমিয়ার জন্ম
১৯৯৫- হেল-বপ ধূমকেতু আবিস্কার হয়, পরের বছরের গোড়ায় সেটি খালি চোখে দৃশ্যমান হয়
২০০৪- অভিনেতা মেহমুদের মৃত্যু
২০১২- আই এন এ’ যোদ্ধা লক্ষ্মী সায়গলের মৃত্যু
২০১৮ - মঞ্চ ও চলচ্চিত্রাভিনেত্রী বাসবী নন্দীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৫ টাকা ৮৪.৫৯ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৩ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৬৩ টাকা ৯২.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ১৩/১০ দিবা ১০/২৪। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৩৭/৫৫ রাত্রি ৮/১৮। সূর্যোদয় ৫/৮/০, সূর্যাস্ত ৬/১৭/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/২ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৫/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৭ গতে ৮/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ ম঩ধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/০ মধ্যে। 
৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ১২/৪৭। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১১/৪২। সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৪১ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৫/১৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে ও ৯/৫ গতে ১১/১৯ মধ্যে ও ১/৩৩ গতে ৩/২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/৩ মধ্যে।
১৬ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিট-ইউজি প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলা: পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

05:18:38 PM

কলকাতা লিগ: ক্যালকাটা পুলিস ক্লাব ও মোহন বাগানের ম্যাচ ড্র, স্কোর ১-১

05:10:49 PM

বক্তব্য শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:02:23 PM

১৫ অক্টোবর দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল: মমতা

04:58:39 PM

আগামী বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:58:18 PM

চলতি বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:56:43 PM