পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তি সাত বছরের বেশি সময় ধরে ওই গুদামের গাড়ি চালাতেন। তিনি গাড়িতে করে আইসক্রিম রাখার ফ্রিজ দোকানে দোকানে দিয়ে আসতেন। জেলার বিভিন্ন ব্লকে আইসক্রিমের গাড়ি নিয়ে যেতেন। সারাদিন কাজ করার পর রাতে ওই স্টোরেই মৃণাল একাই একটি ঘরে ঘুমাতেন। সেখানে রান্না করে খেতেন।
এদিন সকালে ম্যানেজার সন্তোষ ঘোষ ওই গুদামঘরে এসেও মৃণালের দেখা পাননি। গুদামের মূল গেট বন্ধ ছিল। ডাকাডাকিতেও মৃণালের সাড়া না পাওয়ায় সন্দেহ হয় ম্যানেজারের। মৃণালের ঘরের দরজাও বন্ধ। ম্যানেজার পিছন গেট দিয়ে মৃণালের ঘরে ঢোকেন। প্রথমে ম্যানেজার মৃণালকে ঘরে দেখতে পাননি। চারিদিক খতিয়ে দেখার পর ফ্রিজের ভিতর মৃণালের নগ্ন দেহ দেখতে পেয়ে শিউড়ে ওঠেন ম্যানেজার। খবর দেওয়া হয় স্টোর মালিক ও থানায়। পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ম্যানেজার বলেন, রবিরার গুদামে অর্ধেক বেলা কাজ হয়েছিল। তারপর সবাই বাড়ি চলে যায়। মৃণাল গুদামেই ছিল। কখন ঘটনাটি ঘটেছে, আমরা কেউ জানি না। আজ সকালে বিষয়টি আমাদের নজরে আসে।
গুদামঘরের মালিক জয়ন্ত পালের দাবি, ফ্রিজের কাছে মদের বোতল পড়ে ছিল। মৃণাল হয়তো নেশা করেছিল। রবিবার রাতে গরমও ছিল। নেশায় হয়তো ফ্রিজের মধ্যে ঢুকেছিল। তখনই হয়তো ফ্রিজের ঢাকনা কোনওভাবে পড়ে লক হয়ে গিয়েছিল। তখনই এই বিপত্তি ঘটে।
যদিও মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। মৃতদেহটি কাত হয়ে ছিল। গরম লাগলেও মৃণাল ফ্রিজের ভিতর কেন ঢুকে পড়বেন, বোধগম্য হচ্ছেন না কারোরই। স্থানীয়দের বক্তব্য, রবিবার সন্ধ্যায় মৃণালকে গুদামঘর থেকে বের হতেও দেখেননি কেউ। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে তাঁরাও। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলার বিশ্বজিৎ হালদার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। কাউন্সিলার বলেন, আমার ওয়ার্ডের ঘটনা। কী করে নগ্ন অবস্থায় ফ্রিজের ভিতর থেকে দেহটি উদ্ধার হল? বিষয়টি পুলিসের খতিয়ে দেখা উচিত। মালদহ থানার এক আধিকারিক বলেন, ফ্রিজের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া বোতলটিতে মদ ছিল কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বোতলটি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। (যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তে পুলিস। নিজস্ব চিত্র)