পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ
এ বিষয়ে গোবর্ধনপুরের বাসিন্দা সুকুমার জানা বলেন, ‘গোবর্ধনপুর গ্রামের দক্ষিণ অংশে ২০২২ সালে কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। ২০২৩ সালে সেই কাজ শেষ হয়। এক বছর যেতে না যেতেই ২০২৪ সালে ওই বাঁধ পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে। গ্রামের দক্ষিণ অংশে প্রায় এক হাজার মিটার সমুদ্র বাঁধ ভেঙে গিয়ে নোনা জল ঢুকেছে। গোবর্ধনপুরের দক্ষিণ দিকেই বঙ্গোপসাগর। সেকারণে এই এলাকায় ঢেউয়ের দাপট রয়েছে। সমুদ্রের তীরে যে কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল, তার সামনে কোনও চর না থাকায় ঢেউগুলি সজোরে আছড়ে পড়ে বাঁধে। যে কারণেই এই বিপত্তি। এখন গ্রামের মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। গ্রামের প্রায় ১০০টি পরিবার নিরাপদ স্থানে সরে গিয়েছে।’
পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীরকুমার জানা বলেন, ‘গোবর্ধনপুরের দক্ষিণ অংশে বহুবার বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ওই এলাকায় সমুদ্রের ঢেউয়ের দাপট থাকায় বারবার বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। তাই ভাঙা বাঁধের কিছুটা দূরে কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই জমিও চিহ্নিত করা হয়েছে। শীঘ্রই ওই এলাকায় বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।’
নামখানার মৌসুনি দ্বীপের বালিয়াড়াতে বড়তলা নদীর ৮০০ মিটার বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা নোনা জলে প্লাবিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন এলাকাবাসী। নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ প্রভঞ্জন মণ্ডল বলেন, ‘ভাঙা বাঁধের কাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে। সেচদপ্তরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’ নিজস্ব চিত্র