পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ
কৃষি বিপণন দপ্তরের মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, কিছু মজুতদারের জন্য রাজ্যের সাধারণ মানুষকে চড়া দামে আলু খেতে হবে, সেটা মানা যায় না। ক্রেতাদের ন্যায্যমূল্যে আলু দিতে সুফল বাংলার কাউন্টার বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি সরাসরি চাষিদের থেকে আলু কিনে বিক্রি করতে পারবে।
কৃষি বিপণন দপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, ধর্মঘটের ব্যাপারে আগাম কিছুই জানানো হয়নি। তাছাড়া অনেক সাধারণ ব্যবসায়ী ধর্মঘট চাইছেন না। তবে, কিছু হিমঘর মালিক প্রচুর আলু মজুত রেখেছেন বলে অভিযোগ। তাঁরাই পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছেন। এরকম ১০-১২ জন স্টোর মালিকের উপর সরকার নজর রাখছে। ওই হিমঘরগুলিতে কত আলু মজুত রয়েছে, সেটা দেখা হচ্ছে।
কৃষি বিপণন দপ্তর জানিয়েছে, কয়েকদিন আগেও ৫০ কেজির আলুর বন্ড চাষিরা ১০৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন। আড়তদাররা তা ১৩৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। খুচরো বাজারে তা ১৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বিগত ১৫ দিনে পাইকারি বাজারে আচমকা দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এক আধিকারিক বলেন, ব্যবসায়ীরা নিশ্চয়ই লাভ করবেন। কিন্তু তারও একটা সীমা থাকা দরকার।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সভাপতি জগবন্ধু মণ্ডল বলেন, অন্য রাজ্যে আলু পাঠানো যাবে না, এমন নিয়ম নেই। সমস্ত জিনিসের দাম বেড়েছে, তা নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। সব্জির দাম বাড়লেই সরকারের যত মাথাব্যথা। বাইরে আলু না পাঠালে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
পূর্ব বর্ধমানের রায়না-২ ব্লকে দু’দিন আগে থেকেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দিয়ে আলু বিক্রির ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। রায়না-২ বিডিও অনিশা যশ বলেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি বাজারের তুলনায় অনেক কম দামে আলু বিক্রি করছে। তাতে সাধারণ মানুষের সুবিধা হচ্ছে।
এদিকে আলু ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সঙ্গে এখনও আলোচনায় বসার কোনও প্রস্তাব সরকারি তরফে দেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে। ব্যবসায়ী সংগঠনের বক্তব্য, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে আলু বাজারে আনতে চাইলে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। এটা করলে সরকার নিজেই বুঝতে পারবে, হিমঘর থেকে আলু বের করতে কত খরচ পড়ছে। -নিজস্ব চিত্র