পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ
সম্প্রতি, একটি রিভিউ মিটিংয়ে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা স্কুলগুলির কাজের হালহকিকত নিয়ে পর্যালোচনা করেন। লোকসভা নির্বাচনের পর কাজ জোরকদমে শুরু হয়েছে। ওই পর্যালোচনা বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২৫ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। বেশ কয়েকটি স্কুলে স্মার্ট ক্লাস তৈরির কাজ একদম শেষ পর্যায়ে। আগামী এক মাসের মধ্যে সব জায়গায় ৫০ শতাংশ কাজ শেষ করার জন্য টার্গেট দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারদের।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) দীননারায়ণ ঘোষ বলেন, দ্রুত যাতে কাজ শেষ করা যায়, তারজন্য আমরা তদারকি করছি। সম্প্রতি একটি বৈঠকে কাজের স্ট্যাটাস রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক দ্রুত এই কাজ শেষ করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন। এই কাজের মধ্যে স্কুলগুলোর পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে। বিশেষ করে স্মার্ট ক্লাস তৈরি ও প্রত্যেকটি স্কুলের পৃথক শৌচাগার এবং ডাইনিং হল তৈরির কাজে জোর দেওয়া হয়েছে। সমগ্র শিক্ষা মিশনে এই কাজ করতে ৯৬ কোটি টাকার বেশি খরচ হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জ ব্লকের ১৭৮ বিদ্যালয়, ভগবানগোলা-১ ব্লক ১৫৩টি বিদ্যালয়, সূতি-২ ব্লকের ৮৮টি, রঘুনাথগঞ্জ ব্লকের ৮৮টি এবং বহরমপুরে ২৮টি বিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলছে। তবে এই কাজে পড়ুয়াদের সবথেকে বেশি উপকার হবে স্মার্ট ক্লাসগুলিতে। ১০৩টি স্কুলে সপ্তম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য একটি করে স্মার্ট ক্লাস পাবে পড়ুয়ারা। প্রতিটি ক্লাসে একটি করে প্রজেক্টর, কম্পিউটার স্ক্রিন, হোয়াইট বোর্ড লাগানো হচ্ছে। কোথাও কোথাও থাকছে অডিও সিস্টেম।
জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সফিউজ্জামান শেখ বলেন, কয়েকদিন আগেই নওদায় পাটিকাবাড়ি হাই স্কুলে আমরা একটি স্মার্ট ক্লাসের উদ্বোধন করেছি। গোটা জেলাব্যাপী গ্রামের প্রান্তিক বিদ্যালয়গুলিতে পড়ুয়াদের স্বার্থে আমাদের সরকার স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরি করে দিচ্ছে। এটা খুবই ভালো ব্যাপার। শিক্ষার্থীরা আধুনিক উপকরণের মাধ্যমে শিক্ষালাভ করে নিজেদের মান আরও বাড়াতে পারবে। এছাড়া বিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন করার ফলে পড়ুয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও সুবিধা হবে।