পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ
অতএব আর্থিক সংস্কার, বেসরকারিকরণ, বাণিজ্য ঘাটতি কমানো অথবা জিডিপি বৃদ্ধির হারের অভিমুখে হাঁটার মতো আদর্শ থেকে সরে এসেই বাজেট করতে হবে কেন্দ্রকে। নজর দিতে হবে জনতা জনার্দনের দিকে। আর তাই কৃষকের জন্য সুসংবাদ এবং আয়কর ছাড় দিয়ে করদাতাদের মুখে হাসি ফোটানোর সিদ্ধান্তই আগামী ভোটের বিশল্যকরণী হয় কি না, আজ সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকবে দেশবাসী। করদাতাদের আশা, স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি এবং করকাঠামোর স্ল্যাব পরিবর্তন। সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এখন আয়কর দিতে হয় না। সেই অঙ্ক ৫ লক্ষ পর্যন্ত বাড়তে পারে। পাশাপাশি, পিপিএফের মতো স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের বার্ষিক জমার ঊর্ধ্বসীমা বাড়তে পারে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে বছরে দেড় লক্ষের পরিবর্তে দু’লক্ষ টাকা একজন চাকরিজীবী মধ্যবিত্ত পিপিএফে রাখতে পারবেন। এবং সেই টাকাটাও করমুক্ত। ৮০সি ধারায় একজন করদাতা এখন দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্তই ছাড় পেয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে এর ঊর্ধ্বসীমাও দু’লক্ষ টাকা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। এছাড়া, জমা আমানতে সুদ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত থাকলে, তার উপর এখন কর দিতে হয় না। এই অঙ্কটা ২৫ হাজার টাকায় নিয়ে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা করছে এনডিএ সরকার। কিন্তু এই আশাপূরণই যথেষ্ট নয়। মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্বের সঙ্কটমুক্তির দিশাও দেখাতে হবে নির্মলা সীতারামনকে। লোকসভা ভোট এবং ১৩ আসনের উপ নির্বাচন জোরালো বার্তা দিয়েছে—মোদি ম্যাজিক ফিকে। দল, শরিক এবং সরকারের মধ্যে এখন চলছে খোলা হাওয়া। যে যখন যা ইচ্ছে বলছে। কারণ এই প্রথম মোদি দুর্বল। এমনকী এখন থেকেই আলোচনা শুরু হয়েছে—‘মোদির পরে কে’। আসন্ন তিন রাজ্যের ফলাফল যদি বিরুদ্ধে যায়, রাজনৈতিক মহলের অনুমান, মোদির অথরিটি সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ২১ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোরালো কণ্ঠে যা বলেছেন, সেই সম্ভাবনাই বাড়বে। অর্থাৎ, সরকারের পতন সময়ের অপেক্ষা। সেটা সবথেকে ভালো কে জানেন? নরেন্দ্র মোদি। জোটের চাপ সামলে তাই তাঁকে বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতি কমাতে হবে, খুশি করতে হবে মধ্যবিত্তকে, ক্ষোভ কমাতে হবে কৃষকের। চাকরির আশা দিতে হবে যুবসমাজকে। মূল্যবৃদ্ধির ফাঁস আলগা করার আশা দিতে হবে রান্নাঘরকে। এবং টাকা দিতে হবে গ্রামীণ অর্থনীতির হাতে। লোকসভায় গরিষ্ঠতা নেই, রাজকোষে অর্থের জোগান নেই। এরকম ‘ব্যাকফুটের বাজেট’ ১০ বছরে বিজেপির কাছে প্রথম!