পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ
সোজা কথায়, কাগজে-কলমে অর্থনৈতিক কোনও মাপকাঠিই ইতিবাচক নয়। অথচ সোমবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যে অর্থনৈতিক সমীক্ষা সংসদে পেশ করেছেন, সেখানে অর্থনীতির চিত্র নাকি ‘উজ্জ্বল’। গত কয়েক বছর ধরেই মূল্যবৃদ্ধি বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামে আম জনতা প্রবল দুর্ভোগে। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরকারের কোনও দায় অথবা দায়িত্ব স্বীকার করা হয়নি অর্থনৈতিক সমীক্ষায়। এতদিন সরকার অথবা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলে এসেছে, মূল্যবৃদ্ধির কারণ আন্তর্জাতিক টালমাটাল পরিস্থিতি। কিন্তু সোমবার অর্থনৈতিক সমীক্ষায় মাত্রাছাড়া খাদ্য মূল্যবৃদ্ধির জন্য অর্থমন্ত্রক দায়ী করল আবহাওয়াকে। বলা হল, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার কারণে খাদ্যপণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই খাদ্যের দাম বাড়ছে। তারপরও অর্থনৈতিক সমীক্ষা মনে করছে, আগামী অর্থবর্ষে জিডিপি ৭ শতাংশ হবে!
লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের আগে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের অন্যতম কৃতিত্ব ও চূড়ান্ত সাফল্য হিসেবে দেখিয়েছিলেন শেয়ার বাজারের ঊর্ধ্বমুখী ঝড়কে। অর্থাৎ শেয়ার বাজারের গতি সরকারের সাফল্যই প্রমাণ করে। সোমবার প্রকাশিত অর্থনৈতিক সমীক্ষায় হঠাৎ একটি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, স্টক মার্কেটে হঠাৎ খুচরো লগ্নিকারীর যেন বিস্ফোরণ ঘটেছে। আর এর ফলে প্রত্যাশিতভাবেই উচ্চ রিটার্নের আশা বাড়বে। এই লক্ষণ কিন্তু বিপজ্জনক। কারণ শেয়ার বাজারের প্রকৃত পরিস্থিতি সেরকম নাও হতে পারে। তাই সতর্ক থাকা দরকার! খুবই উদ্বেগজনক এই প্রবণতা! এবং মোদি সরকারের পক্ষ থেকে এই পূর্বাভাস বিস্ময়করও বটে।