পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ
রবিবার কলকাতায় শহিদ সমাবেশের মঞ্চ থেকে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড কড়া হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান থেকেও যাঁরা এই নির্বাচনে মানুষকে বোঝাতে অক্ষম হয়েছেন, আশানুরূপ ফল হয়নি, সেখানে ব্যবস্থা নেব। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এই কথা দিচ্ছি। পুরসভার চেয়ারম্যান ও একইভাবে শহর সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রেও প্রধান, অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। অভিষেকের হুঁশিয়ারির পরই সিঁটিয়ে রয়েছেন বিষ্ণুপুর ও বাঁকুড়ার তাবড় তাবড় নেতা। জেলায় দলীয়স্তরে রদবদল ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিষ্ণুপুরে এবার টাফ ফাইট দিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। কিন্তু, বিষ্ণুপুর লোকসভার বিভিন্ন এলাকায় আশানুরূপ ফল হয়নি। বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী পুরসভাতেও পিছিয়ে রয়েছে জোড়াফুল শিবির। বিষ্ণুপুরে পরাজয়ের পিছনে তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি একাধিক নেতার নাম ধরে অভিযোগ তোলেন। বিষ্ণুপুর লোকসভায় হেভিওয়েট নেতারা নিজেদের বুথেই পিছিয়ে রয়েছেন। ফলে এখানে বড়সড় রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও সোমবার এব্যাপারে জেলা নেতৃত্ব কিছু পরিষ্কার করেনি।
বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্র বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস রয়েছে। বাঁকুড়া লোকসভার ছ’টি বিধানসভাতেই এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। কিন্তু, বাঁকুড়া শহরে তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী রেকর্ড ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন। পুরসভার ২৪টির মধ্যেই ২১টি ওয়ার্ডেই পিছিয়ে রয়েছে শাসক দল। শোচনীয় ফল হয়েছে। ভোটে জয়ের পরপরই অরূপবাবু জানিয়েছিলেন দলের ‘গদ্দার’দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই কয়েকজন নেতাকে পদ থেকে সরানো হয়েছে। অভিষেকের হুঁশিয়ারির পর ‘শাস্তি’র খাঁড়া কার উপর নামবে, তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী বলেন, বাঁকুড়া আসনটি বিজেপি গতবার দখল করেছিল। কিন্তু, বিজেপি পাঁচ বছরে মানুষের জন্য কোনও কাজ করেনি। তাই মানুষ তৃণমূলকে দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছে। তবে ভোটের ব্যবধান আরও বাড়ত। কোথায় কী ত্রুটি হয়েছে, দল তা দেখছে। একইসঙ্গে আমিও নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েছি। দল তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, অভিষেক প্রকাশ্য মঞ্চেই যা বলার বলেছেন। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তা নিশ্চয়ই ভালোর জন্যই হবে। সেই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাব।