পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ
টেলিকম ক্ষেত্রে পরিষেবার মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালে রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল বিএসএনএল। বিএসএনএলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা চালিয়ে যেতে বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি বাধ্য হতো পরিষেবার দাম কমিয়ে রাখতে। কিন্তু কেন্দ্রের নীতির ফলে ৪জি এবং ৫জি পরিষেবা দিতে পারছে না বিএসএনএল। তার ফলে একচেটিয়া বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বেসরকারি সংস্থাগুলি। লাগামছাড়া হারে পরিষেবার মাশুল বাড়িয়ে চলেছে। তাই অবিলম্বে বিএসএনএলকে ৪জি এবং ৫জি পরিষেবা দেওয়ার ছাড়পত্র দিতে হবে, এমন দাবি রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএলের কর্মীদের। বেসরকারি সংস্থাগুলির দাবি, ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে তারা পরিষেবা মূল্য বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ সালে ২০ হাজার কোটি টাকার মুনাফা করেছে জিও। এয়ারটেলের ক্ষেত্রে সেই পরিমাণ ৭ হাজার কোটি টাকা। তাই এমন পরিমাণে পরিষেবা মূল্য বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়বেন।
বিএসএনএলের কর্মীদের তরফে বলা হয়েছে, বিএসএনএলকে ৪জি এবং ৫জি পরিষেবা দেওয়ার ছাড়পত্র না দেওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণে গ্রাহক হারিয়েছে কেন্দ্রীয় এই টেলিকম সংস্থা। সরকারি সিদ্ধান্তের ফলে বিএসএনএলের হাত পা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে বিএসএনএল ১.৮ কোটি গ্রাহক হারিয়েছে। তাঁদের সিংহভাগ গিয়েছে জিও’তে। ২০২৪ সালের মার্চ মাসেই ২৩ লক্ষ গ্রাহক হারিয়েছে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। তৎকালীন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ২০২৩ সালের ২৪ মে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ৪জি পরিষেবা চালু করতে পারবে বিএসএনএল। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ৫জি পরিষেবা চালুর ছাড়পত্রও দেওয়া হবে। কিন্তু এখনও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। বিএসএনএলকে সফ্টওয়্যারের আধুনিকীকরণের মাধ্যমে ৩জি থেকে ৪জি’তে উত্তরণ করতে দেওয়া হয়নি। একইসঙ্গে এয়ারটেল ও জিওর মতোই আন্তর্জাতিক টেলিকম ভেন্ডরদের থেকেও ৪জি সরবরাহের উপযোগী যন্ত্রাংশ আমদানি করতে দেওয়া হয়নি। বাধ্য করা হয়েছে কেবলমাত্র দেশি সংস্থাগুলির থেকে যন্ত্রাংশ কিনতে। ফলে ৪জি এবং ৫জি পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনাবশ্যক দেরি হচ্ছে। ভোডাফোন আইডিয়া সংস্থার সিংহভাগ শেয়ারের মালিক কেন্দ্রীয় সরকার। ভোডাফোন আইডিয়ার পরিকাঠামো ব্যবহার করেও গ্রাহকদের ৪জি পরিষেবা দিতে দেওয়া হয়নি বিএসএনএলকে। এর ফায়দা লুটতে একের পর এক মোবাইল কোম্পানি হঠাৎ করে এতটা টারিফ বাড়িয়ে দিয়েছে যে চাপে সাধারণ মানুষ। মোদি সরকার সব জেনেও চুপ করে রয়েছে। একদিকে গোটা দেশে মুদ্রাস্ফীতি চরম আকার নিয়েছে তার উপরে মোবাইল রিচার্জের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে একের পর এক কোম্পানি। ভোটপ্রচারে গরিবি দূর করার গল্প শুনিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বলেছিলেন, আগামী ৫ বছর দেশের দারিদ্রতা দূর করাই তাঁর সরকারের প্রথম এবং প্রধান কাজ। বাস্তবটা কিন্তু উল্টো। হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন আম আদমি!