যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
কোনও সন্দেহ নেই, মার্কিন প্রশাসনের এই মনোভাব দুর্ভাগ্যজনক। তবে নতুন বা অস্বাভাবিক নয়। যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই পাকিস্তান সম্পর্কে তাদের দ্বিচারিতার নীতিকেই লালন করে এসেছে। তার ফায়দা লাগাতার নিয়ে চলেছে পাকিস্তানও। চিহ্নিত সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র পাকিস্তান যথারীতি জয়শঙ্করের মন্তব্যকে ‘অনভিপ্রেত’ শব্দে বিঁধেছে। বড় মুরুব্বির হাত মাথায় পড়তেই পাকিস্তান প্রতিবার এটাই করে থাকে। এবারের ঘটনাটি তারই পুনরাবৃত্তিমাত্র। কিন্তু ভারতের মতো একটি স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পক্ষে আমেরিকার এই অসৌজন্যে সিলমোহর প্রদান অসম্ভব। ভেবে দেখা দরকার, আমেরিকার এই ভূমিকা কি আদৌ বন্ধ হওয়ার? হলফ করে বলে দেওয়া যায়, মোটেই নয়। যে সাপ সেই যখন ওঝা, তখন অন্যকিছুর প্রত্যাশা বৃথা। এটাই বস্তুত আমেরিকার মতো যুদ্ধবাজ বৃহৎ রাষ্ট্রগুলির রুটিরুজির বড় সহায়। যুযুধান রাষ্ট্রগুলিকে যুদ্ধাস্ত্র এবং তার যন্ত্রাংশ বিক্রির ব্যবসা শুধু বাঁচিয়ে রাখতে হয় না, তার শ্রীবৃদ্ধির একটি লক্ষ্য নিয়েও এগতে হয় নিরন্তর।
গত পাঁচবছরে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার কৌশলগত সম্পর্ক অনেকটাই উন্নত হয়েছে, কোনও সন্দেহ নেই। তাই ভারতের আপত্তি তারা উড়িয়েও দিতে পারছে না। ব্যাপারটাকে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার কায়দায় ভারতের মন ভেজাতে চাইছে, কূটনীতির ভাষায়। প্রাইস বলেন, ‘আমরা দুই দেশকেই আমাদের সহযোগী মনে করি, কারণ আমাদের মূল্যবোধের মিল রয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। আমাদের স্বার্থ অভিন্ন।
ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক একরকম, পাকিস্তানের সঙ্গে
সম্পর্কের চরিত্র আবার আলাদা।’ ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক কোনওদিনই ভালো ছিল না। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খারিজের ইস্যুতে সেই সম্পর্ক গত তিনবছরে আরও তলানিতে চলে গিয়েছে। তার ভিতরেও পাকিস্তানের প্রতি আমেরিকার এই আচমকা সহৃদয়তা প্রমাণ করে যে, নিজের পেটে গামছা বেঁধে ভারতপ্রেমকে দীর্ঘায়ু দান করবে না স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের মেকি বুলি কপচানো ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা।