যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
আর পাঁচটা বারোয়ারী পুজোর মতো থিমের চমক হয়তো নেই। কিন্তু নিষ্ঠা, শাস্ত্রীয় অনুশাসন ও আচার বিধির টানে শহরের মানুষ নেতাজি রোড দুর্গাবাড়ির মন্দিরে একবার মাথা ঠেকাবেই। স্বাধীনতার ঠিক এক বছর পর থেকে টিনের চালার স্থায়ী মন্দিরেই টানা দুর্গাপুজো হয়ে আসছিল নেতাজি রোড দুর্গাবাড়ি সর্বজনীন পুজোর। এরপর ২০১২ সালে মন্দিরের নিজস্ব জমিতে স্থায়ী পাকা মন্দির গড়ে তোলা হয়। তখন থেকে স্থায়ী পাকা মন্দিরেই পুজিতা হয়ে আসছেন সর্বংসহা জগজ্জননী মা মৃন্ময়ী।
নেতাজি রোড দুর্গাবাড়ি সর্বজনীন পুজো কমিটির সম্পাদক বাবুন রক্ষিত ও সভাপতি প্রণব ঘোষ বলেন, আমাদের মন্দিরে শতাধিক সদস্য আছে। সমগ্র নেতাজি রোড ছাড়াও সারা শহরেই আমাদের পুজো কমিটির সদস্যরা ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে আছে। আমাদের দুর্গাপুজোর সমস্ত আয়োজন করে এলাকার মহিলারাই। দুর্গাপুজোর আয়োজনের জন্য আমাদের ২০ জনের একটি প্রমীলা বাহিনী আছে। সেই প্রমীলা বাহিনীই পুজোর আয়োজনে হাত লাগায়। পুজোর আয়োজনের জন্য পুরুষদের হাত লাগানোর দরকার পড়ে না।
মহালয়ার দিন শহরের ঐতিহ্যবাহী নেতাজি রোড দুর্গাবাড়ি সর্বজনীন দুর্গাপুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধনের দিন থেকেই ছায়া বিশ্বাস, মিতালি দাস, রত্না দত্ত ও টুম্পা নন্দীর নেতৃত্বে প্রমীলা বাহিনী পুজোর দেখভাল করছে।
নবমীর দিন সমগ্র নেতাজী রোডের কোনও বাড়িতে হাঁড়ি চড়ে না। ওই দিন দুগাবাড়ি মন্দিরেই খাওয়াদাওয়ার আয়োজন হয়। রীতি মেনে অষ্ঠমীতে ভোগ দেওয়া হয়। নেজাজি রোড দুর্গাবাড়িতে মায়ের প্রতিমা হয় ডাকের সাজের। সব মিলিয়ে সাবেকিয়ানা ও নিষ্ঠার খোঁজে আজও শহরের মানুষ ভিড় জমান নেতাজি রোড দুর্গাবাড়ির পুজোয়। নিজস্ব চিত্র