যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
ঠিক কী লেখা ছিল সেখানে? দেখা যাচ্ছে, পয়েন্ট করে কয়েকটি বিষয় কাগজে লিখে এনেছেন গেহলট। একটিতে রয়েছে, এসপি দল ছেড়ে দেবে। পর্যবেক্ষকরা আগে এই নিয়ে রিপোর্ট দিলে ভালো হতো। আর একটিতে লেখা রয়েছে, প্রথম রাজ্য সভাপতি যিনি সরকার ফেলে দেওয়ার সমস্ত রকম চেষ্টা করেছিলেন। তৃতীয় নোটটিতে লেখা, ১০২ বনাম এসপি ১৮। ফাঁস হওয়া এই গোপন নোটকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা টুইটারে এক স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। সেইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, গেহলটের গোপন নোটে উল্লেখ করা ‘এসপি’ কে?
উল্লেখ্য, গেহলট শিবির বরাবরই দাবি করে রাজস্থানে নিজেদের সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টার জন্য বিপক্ষ শিবিরের নেতা শচীন পাইলটের দিকে আঙুল তোলে। ২০২০ সালে পাইলট যখন গেহলটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন, তখন তাঁর পক্ষে ছিল ১৮ বিধায়কের সমর্থন। গেহলট শিবিরের ছিল ১০২ জনের সমর্থন। গেহলটের গোপন নোট তুলে ধরে বিজেপি রাজস্থান কংগ্রেসের সেই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বকে খোঁচা দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গোপন নোটে ‘এসপি’ বলতে পাইলটকেই বোঝানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, কংগ্রেস সভাপতির লড়াই থেকে গেহলট সরে যাওয়ায় লড়াই এখন দ্বিমুখী। একদিকে, গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন মল্লিকার্জুন খাড়্গে। অন্যদিকে, সাংসদ শশী থারুর। এআইসিসি পক্ষ থেকে তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তারপরই টুইট করে থারুর জানিয়েছেন, এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফলে দল ও আমাদের সহকর্মীরা উপকৃত হবেন বলে আশাবাদী। খাড়্গেকে ‘কংগ্রেসের ভীষ্ম পিতামহ’ সম্বোধন করেছেন তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ। তাঁর কথায়, আমরা একে অন্যের শত্রু নই। সহকর্মী। এদিন সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরই রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন খাড়্গে। দলীয় সূত্রে খবর, উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে ‘এক ব্যক্তি, এক পদে’ সিলমোহর দিয়েছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেই সিদ্ধান্ত মতো পদক্ষেপ নিয়েছেন এই বর্ষীয়ান নেতা।