Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অসুখের নাম হাবরিস সিনড্রোম!
মৃণালকান্তি দাস

বিশ্ব ইতিহাসে নিন্দিত শাসকদের চরিত্রের উপর বিস্তর গবেষণা করেছেন ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ ও চিকিৎসক লর্ড ডেভিড ওয়েন। এই প্রবীণ ব্যক্তিত্ব ব্রিটিশ সরকারের ফরেন সেক্রেটারি ছাড়াও আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
হাউস অব লর্ডসের আজীবন সদস্য ওয়েন লিখেছেন অনেক বইও। রাষ্ট্রক্ষমতার উৎকট অনাচার নিয়ে তাঁর গবেষণাধর্মী বই ‘ইন সিকনেস অ্যান্ড ইন পাওয়ার’। বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদদের মনোজগৎ রাষ্ট্রচিন্তায় কিংবা রাষ্ট্রপরিচালনায় কী প্রভাব ফেলে তা নিয়ে গবেষণা। তিনি এমন শাসকদের খোঁজ দিয়েছেন, যাঁদের কাছে রাজনীতি সত্য, বাকি সব কিছু মিথ্যে। মূল্যহীন। নিজেকে ছাড়া বাকিদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করাও ওইসব শাসকের মনোজগতে অহংবোধ। এতেই তাঁরা আনন্দ উপভোগ করেন। ক্ষমতার চোরাবালিতে সমস্ত গ্লানিবোধ ব্রহ্মতালু পর্যন্ত নিমজ্জিত হয়।
ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের মনোজগতের এই আচরণকে লর্ড ডেভিড ওয়েন বলেছেন ‘হাবরিস সিনড্রোম’। শুধু ক্ষমতায় থাকলেই এই সিনড্রোম দেখা দেয়। হাবরিস সিনড্রোমকে তিনি বিশেষায়িত করে বলেছেন, ‘এই রোগ বাস্তবতার সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে যাওয়া বেপরোয়া ও অস্থির প্রবণতা। যা শেষ পর্যন্ত তাঁকে অযোগ্য বলেই প্রমাণিত করে।’ তিনি দেখিয়েছেন ‘হাবরিস সিনড্রোম’ যেসব রাষ্ট্রনেতার রয়েছে তাঁরা বেশি আত্মবিশ্বাসে ভোগেন। নিজেকে জনগণের ঊর্দ্ধে মনে করেন। এসব কারণে অনেক সময় হাবরিস সিনড্রোমে আক্রান্ত ক্ষমতাবানরা রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী হয়ে ওঠেন। তাঁরা শুধু চান লজ্জাহীন স্তাবকতার প্রদর্শনী...।
ইতিহাস জানায়, হিটলার ক্ষমতাবান হওয়ার পর নিজেকে কখনও স্থির রাখতে পারেননি। তিনি প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠেছিলেন। তাঁর এই চরিত্রের উপর গবেষণা করার জন্য ১৯৪৩ সালে ইউএস অফিস অব স্ট্র্যাটেজিক সার্ভিসেস এবং সিআইএ-র প্রসিকিউটর দায়িত্ব দিয়েছিলেন মনোবিজ্ঞানী হেনরি মুরের উপর। মনোবিজ্ঞানী হেনরি মুর হিটলার সম্পর্কে ২২৯ পাতার রিপোর্ট তৈরি করেন। হার্ভার্টের এই প্রফেসরের মতে, হিটলার প্রতিশোধ নিতে নিতে ‘সিজোফ্রেনিয়ার’ মতো মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। অতিমাত্রায় উগ্র জাতীয়তাবাদী হয়ে উঠেছিলেন। এই কারণে তিনি নিজে যা ভালো মনে করতেন তাই-ই করতেন। কাউকে তোয়াক্কা করা তাঁর স্বভাববিরুদ্ধ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের সময়ে হিটলারের জাত্যভিমানের কারণেই কয়েক লক্ষ মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। ৬০ লক্ষ ইহুদিকে হত্যা একই কারণে।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথাই ধরুন। আমেরিকার মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশে উগ্র ও দক্ষিণপন্থী এই নেতা ‘আমরা-ওরা’ বলে গোটা দেশ, বিশ্বকে বিভাজিত করে ফেলেছিলেন। শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদকে উস্কে দিয়েছেন। সংখ্যালঘু অভিবাসীদের দমন-পীড়নের হুমকি দিয়েছেন। খামখেয়ালি এই নেতাও সব কিছুই তাঁর ইচ্ছে মতোই করতেন এবং কারও কাছে কোনও প্রশ্নের জবাব দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করতেন না। কাউকে তোয়াক্কাও করতেন না। সবাইকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কথা বলাই ছিল তাঁর অভ্যাস। শোনা যায়, তাঁর নার্সিসিজম, ডিল্যুশন বা বিভ্রান্তি রয়েছে। এ ছাড়া আছে প্যারানইয়া এবং অল্প পরিমাণে সিজোফ্রেনিয়া। ইয়েলে এক কনফারেন্সে এমনই দাবি করেছিলেন মনস্তত্ত্ববিদ ডাক্তার গ্রাটনার। বলেছিলেন, মনের অসুখের জন্যই ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট থাকার যোগ্যতা নেই। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হোক।
লর্ড ডেভিড ওয়েন বলছেন, হাবরিস সিনড্রোমে ভোগা নেতারা প্রথমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এলেও, ক্ষমতা থেকে আর সরতে চান না। তারা আজীবন ক্ষমতাকে আঁকড়ে রাখতে চান। বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর একনায়ক হিটলারও গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়ী হয়ে সবচেয়ে বড় স্বৈরাচারী-ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠেছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পও ২০২০ সালে নির্বাচনে পরাজিত হয়েও ক্ষমতা না ছাড়ার চক্রান্ত করেছিলেন। তাতে মার্কিন গণতন্ত্রের চেহারায় কালো কালি লেগে গিয়েছে। একইসঙ্গে আমেরিকার রাজনীতিতে ক্ষমতা না ছাড়ার একটি নিকৃষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতির উদ্ভব হয়েছে। যা আমেরিকায় অকল্পনীয়। যদিও উন্নয়নশীল দেশে এমন সংস্কৃতির উদাহরণ কাঁড়ি কাঁড়ি। ক্ষমতার মোহ শাসকদলকে এতটাই আবিষ্ট করে ফেলে যে, তারা একবার ক্ষমতায় যেতে পারলেই, ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী ভাবতে শুরু করে। ক্ষমতার পালাবদল মানেই অশান্তি, রক্ত ঝরিয়ে আন্দোলন।
জানি না, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা এমন ভয়ঙ্কর রোগে ভোগেন কি না!
তবে তাঁদের দল ও সরকার আজ যে নির্দিষ্ট মতে, পথে ও রঙে গোটা দেশকে পরিবর্তন করতে চাইছে—তা বহুত্বের ইতিহাস মুছে একরঙা হিন্দু জাতীয়তাবাদের ইতিহাস। তাঁদের আমলেই প্রকৃত ইতিহাসের নামে অসত্য, অর্ধসত্য এবং বিকৃত কাহিনি গলাধঃকরণ করানোর সুবন্দোবস্ত হয়েছে। মোগল শাসক ও ইসলামি শাসনকে অস্বীকার করা, ইতিহাসের বাস্তব মুছে ফেলে হিন্দু রাজা-শাসনকর্তাদের বিজয়ী বলে দাগিয়ে দেওয়া আসলে তাঁদের হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিরই শিক্ষামুখ। আজ তা প্রকাশ্য ও নির্লজ্জভাবে আগ্রাসী, কারণ বিজেপি সরকারের হাতে ‘ক্ষমতা’ আছে, ক্ষমতা আগ্রাসনকে সহজ করে দেয়। ইতিহাস শুধু শাসক, রাজা, সম্রাটদের নয়, সাধারণ মানুষেরও। একটি দেশের ইতিহাস হল সেই দেশের জাতীয় স্মৃতি। কারও যদি স্মৃতি লোপ পায়, তাতে তাঁর জীবনে যেমন বিপদ নেমে আসে, একই ভাবে কোনও দেশের জাতীয় স্মৃতি বা ইতিহাস যদি ভ্রান্ত হয়, তা হলে সেই জাতিরও সমূহ বিপদ। দুর্ভাগ্য, মোদির ভারত সেই বিপজ্জনক পথেই পা বাড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সব পরিসরই রাজনীতির, সব সুযোগই বিভাজনের।
এই আগ্রাসনই দেশজুড়ে স্থান-নাম বদলের তাণ্ডবে মাতে। মসজিদের মাটির নীচে শিবলিঙ্গ খোঁজে। বিজেপির আইটি সেলের অক্লান্ত পরিশ্রমে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে দেওয়া হয় ছোট-বড় অজস্র মিথ্যার বিষ। যার প্রতিটিরই অভীষ্ট ভারতের বহুত্বকে আক্রমণ করা। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অসহিষ্ণুতার মাত্রা বৃদ্ধি। প্রতিবাদ করলেই, তাকে হিন্দুবিদ্বেষী ও দেশদ্রোহী বলে দাগায়। মহম্মদ জুবেরের মতো ঠাঁই হয় জেল। শুধুমাত্র সত্যের পক্ষে থাকার জন্যই যদি রাষ্ট্রক্ষমতা কোনও নাগরিককে কঠোরভাবে দমন করতে চায়, তাতে একনায়কতন্ত্রের পদধ্বনি প্রকট হয়। একে কি ‘হাবরিস সিনড্রোম’ বলা যায়? 
৮৪ বছরের বৃদ্ধ লর্ড ডেভিড ওয়েন আমাদের নেতাদের খোঁজ রাখেন কি না জানি না। রাখলে, নিশ্চিত খোঁজ পেতেন ভয়ঙ্কর ক্ষমতার আস্ফালনের নজির। যেখানে হিতাহিত জ্ঞান ভুলে গিয়ে শাসকদল ক্ষমতার অহংবোধে ধরাকে সরাজ্ঞান করেন। মাটিতে মিশে যায় মনোজগতের ন্যায়বোধ। যেভাবে বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের লুকিয়ে রেখে অভ্যুত্থানের মতো সরকার-বদল ঘটানোর চেষ্টা চলে, তা দেখে একুশ শতকের অভ্যস্ত চোখও অসুস্থ বোধ করে। আসলে বর্তমান কেন্দ্রীয় শাসক দল নিজেকে আয়নায় দেখতে শুরু করছে প্রায় অপরাজেয় সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মতো!
নিরন্তর শক্তিপ্রদর্শন, অকারণ হিংস্রতা এবং ভীতিপ্রদর্শনের এই সংস্কৃতি গণতন্ত্রের জমিকে ক্রমশ গ্রাস করছে। সাধারণ মানুষের নাগরিক সত্তাকে সঙ্কীর্ণ করে আনছে কোনও এক দলীয় সমর্থকের পরিচয়ে। কে বোঝাবে, ভয় দেখিয়ে চৌকিদারের শাসন চলে, গণতন্ত্রের শাসন নয়। মতের আদান-প্রদানের মাধ্যমে সমাধানের দক্ষতা যে রাজনীতিতে অপরিহার্য, বিরুদ্ধ মতকে সম্মান করা, বিরোধীর প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যে রাজনীতিকদের পেশাদারিত্বের পরিচয়, সেই বোধ আজ সর্বস্তরে প্রবল ক্ষয়িষ্ণু। গণতন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে শুধুমাত্র ‘ভোটযুদ্ধ’— একটা যুদ্ধ শেষ হলেই ফের চলে প্রস্তুতি। 
বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতারা একটি কঠোর সত্য স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন দেশবাসীকে— সংবিধান যা-ই বলুক, দেশের উচ্চ আদালতগুলি সংবিধানের সেই সত্য রক্ষায় যত গুরুত্বই দিক— শেষ পর্যন্ত সেই আদর্শগুলি কিছু মুদ্রিত শব্দমাত্র। একনায়কতন্ত্র এভাবেই নিজের অস্তিত্বের কথা ঘোষণা করে। আশঙ্কা হয়, সংবিধানকে তাঁরা ভারতের আত্মা হিসাবে গ্রহণ করেননি। বরং, সদ্য স্বাধীন দেশে উদারবাদী রাজনৈতিক যুগপুরুষরা যে গৈরিক সঙ্কীর্ণতাকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে এক নতুন ভারত রচনা করতে চেয়েছিলেন, বর্তমান শাসকরা সংবিধানকে সম্ভবত গৈরিক রাজনীতির সেই পরাজয়ের প্রতীক হিসেবে দেখেন। ফলে, সেই সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধতা, তার আদর্শ থেকে চ্যুত হওয়ার লজ্জা, কোনওটিই তাঁদের নেই। তাঁদের দাপটের সামনে বহুত্ববাদী ভারতের আদর্শ অসহায়। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধী দলকে দমন-নিপীড়নের মাধ্যমে আজীবন ক্ষমতায় টিকে থাকার প্রবণতাও ‘হাবরিস সিনড্র্রোম’ ছাড়া অন্য কিছু নয়।
লর্ড ডেভিড ওয়েন মনে করাচ্ছেন, হাবরিস সিনড্রোমে ভোগা ক্ষমতাধর শাসকদের লজ্জা-শরম বলতে কিছুই থাকে না। জনগণের কোনও সমালোচনাতেই তাঁরা কর্ণপাত করেন না। এমনকী সমালোচনার প্রধানমাধ্যম সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকদের দমন করতেও দ্বিধা করেন না। একইভাবে শিল্প-সাহিত্য থেকে শুরু করে রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি সেক্টরকে ধ্বংসের শেষ সীমানায় পৌঁছে দেওয়া হয়। আর ক্ষমতাধররা রাষ্ট্রময় ছড়িয়ে দিতে চান তাঁদের গালগল্প...।
এই রোগের একমাত্র প্রতিষেধক কী? লর্ড ওয়েন মনে করেন, হাবরিস সিনড্রোমে আক্রান্ত শাসকদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া জনগণেরই দায়িত্ব। যত দ্রুত সম্ভব!
 
29th  September, 2022
রাজনীতি এমন করে মেলাতে পারে না কেন?

কিছুই হারায়নি। এই সুপ্রাচীন সংস্কৃতি আর স্বতঃস্ফূর্ত মিলনমেলা ঠিক যেমনটি ছিল তেমনই আছে। হাতের কাছেই নিখুঁত গোছানো টানটান। প্রবাসীর ঘরে ফেরা, রাত জেগে উদ্বেল ঠাকুর দেখা, ভোররাতে পায়ে ফোস্কা—সব একই আছে। গত দু’বছর বিশ্বব্যাপী মহামারীর আঘাত, ভোটের স্বার্থে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরির কুটিল ষড়যন্ত্র, মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কা, কাজ হারানো শ্রমিকের কান্না, নেতাদের কথা না রাখা, এখানে ওখানে টাকার পাহাড় আবিষ্কার নিশ্চিতভাবে নাড়া দিয়েছে বঙ্গজীবনকে, কিন্তু বদলে দিতে পারেনি অনাবিল মনটাকে।
বিশদ

বিজেপির নয়া স্টান্ট,
সরকার পড়বে ডিসেম্বরে
তন্ময় মল্লিক

আজ মহাষষ্ঠী, দেবীর বোধন। মা আনন্দময়ীর আগমনে বাংলা আনন্দমুখরিত। বন্ধ হয়েছে করোনার চোখ রাঙানি। থেমে গিয়েছে মৃত্যুর মিছিল। তাই উৎসবে মেতেছে বাংলা। তবে, সুকান্ত মজুমদারের ডিসেম্বরে সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকি সেই উৎসবের আবহেও রাজনীতির চর্চায় জুগিয়েছে ইন্ধন। বিশদ

01st  October, 2022
পরিবার বনাম পদযাত্রা:
শেষ চেষ্টা রাহুলের
সমৃদ্ধ দত্ত

রাহুল গান্ধীর মতো কঠিন লড়াইটা আর কেউ লড়ছেন না। কেন তাঁর এই লড়াইটা আকর্ষণীয়? কারণ, তিনি মাঠ ছেড়ে পালাচ্ছেন না। তিনি বারংবার ভুলুণ্ঠিত হচ্ছেন। তাঁকে নিয়ে প্রচুর হাসিতামাশা হয়। কিন্তু সব সহ্য করে এই শতাব্দীপ্রাচীন দলকে বাঁচিয়ে রাখা এবং আরও ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চালিয়েই যাচ্ছেন। বহু রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে, বহুবার বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়ে অবশেষে ২০২২ সালে রাহুল গান্ধী সম্ভবত শেষ বাজিটি খেলতে নেমেছেন তাঁর দলের অস্তিত্ব রক্ষায়।
বিশদ

30th  September, 2022
দীর্ঘদিনের ঘাটতি পূরণের উদ্যোগ 

সাধারণ মানুষের আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করার দিকেই আন্তরিক পদক্ষেপ করতে হবে মোদি সরকারকে। এই কাজ কেন্দ্র একা পারবে না। সব রাজ্য সরকারকে পাশে নিয়ে, তাদের পূর্ণ সহযোগিতাতেই করতে হবে। গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার আদ্যশ্রাদ্ধের ভিতরে এরকম পথ কখনও ছিল না, এখনও নেই, ভবিষ্যতেও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
বিশদ

28th  September, 2022
নেতা ও সভাপতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন ঘিরে এক ধরনের অস্বাভাবিক এবং প্রায় গায়ে-পড়া গোছের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। দু’বছর আগে জে পি নাড্ডা যখন বিজেপির সভাপতি ‘নির্বাচিত’ হন তখন বিষয়টিকে সাধারণ বিজেপি কর্মীসহ ভারতের কেউই এবং অবশ্যই কংগ্রেস দলের কোনও সদস্য একটুও গুরুত্ব দেননি।
বিশদ

26th  September, 2022
কংগ্রেসের ভোটরঙ্গ ও চিতার অট্টহাসি!
হিমাংশু সিংহ

পরিবারই আশীর্বাদ, আবার পরিবারই অভিশাপ! তাকে বাদ দিয়ে কংগ্রেসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আর বৃদ্ধ বয়সে আলেকজান্ডারের দাঁতের মাজন বেচা, প্রায় সমার্থক। নেহরু-গান্ধী পরিবার বাদে শতাব্দী প্রাচীন এই রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মটা অনেকটাই সোনার পাথরবাটির মতো! বিশদ

25th  September, 2022
বিজেপির গিমিক পলিটিক্স
বনাম ‘লালগুণ্ডা’
তন্ময় মল্লিক

শত্রুর শত্রু, আমার বন্ধু। এই নীতিতেই বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে গড়ে উঠেছিল পারস্পরিক বোঝাপড়া। এক সুরে বাঁধা ছিল মমতা বিরোধী লড়াই। বিজেপিকে দিয়েই সিপিএম তাদের ‘পথের কাঁটা’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে চেয়েছিল। তাই শুরু হয়েছিল গোপন ক্যাম্পেন, ‘একুশে রাম ছাব্বিশে বাম’। তার পরিণতি? বিজেপি ৭৭, সিপিএম জিরো।
বিশদ

24th  September, 2022
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সিলেবাস
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি কিন্তু একদিনের জন্যও নিজের অস্তিত্ব ও উপস্থিতি জনগণকে ভুলতে দিতে চান না। তাই নিয়ম হল, প্রতিদিনই কোনও না কোনও অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছেন,  উদ্বোধন করছেন, এমনকী রাজ্যের ক্ষুদ্র প্রকল্পেরও সূচনা করছেন তিনি। ফলে ভারতবাসী রোজ তাঁর কথা শুনছে। অতীতের প্রধানমন্ত্রীরা ভাবতেন, কাজের মাধ্যমেই ইতিহাসে স্থান হয়। মোদি ভাবেন, কাজ করছি এই প্রচারটি এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে, যাতে জনমনে বিভ্রম তৈরি হয় যে, হ্যাঁ, তাহলে বোধহয় সত্যিই কাজ হচ্ছে। ওই বিভ্রমই হবে ইতিহাস।
বিশদ

23rd  September, 2022
জ্ঞানবাপী মামলা, উত্তেজনার চোরাস্রোত
মৃণালকান্তি দাস

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভাপতি অলোক কুমার নাকি উত্তেজনার চোরাস্রোতে ভাসছেন! ইতিউতি যা মন্তব্য করছেন তাতেই টের পাওয়া যাচ্ছে সেই উত্তেজনা। 
বিশদ

22nd  September, 2022
চিতা নিয়ে নৌটঙ্কি বনাম আত্মহত্যার পাঁচালি
সন্দীপন বিশ্বাস

এরাজ্যে শুরু থেকেই বিজেপির অস্তিত্ব অনেকটা নেতিয়ে যাওয়া বাসি কচুরির মতো। মোদি-শাহরা মাঝেমাঝে এসে কিছুটা গরম করে দিয়ে যান বটে, কিন্তু আবার তাঁরা দিল্লি ফিরে গেলেই এখানকার নেতৃত্ব নেতিয়ে পড়ে।
বিশদ

21st  September, 2022
মহাত্মা হওয়ার লড়াই!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কর্তৃত্বের সঙ্কট? নাকি অস্তিত্বের? ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র ১২ দিন পরও এই প্রশ্নটার উত্তর কিছুতেই মিলছে না। রাহুল গান্ধী হাঁটছেন। আমরাও দেখছি, শুনছি এবং বোঝার চেষ্টা করছি।
বিশদ

20th  September, 2022
আজাদি, স্বায়ত্তশাসন ও গুলাম নবি আজাদ
পি চিদম্বরম

কাশ্মীর নিয়ে ১৯৪৭ সাল থেকে দুটি বিরুদ্ধ ধারণা রয়েছে। সময়ে সময়ে ধারণাগুলির রূপান্তরিত হয়েছে নানাভাবে। এই ঘটনার প্রভাবে এটাই মনে হয় যে কাশ্মীর সম্পর্কে ধারণা রয়েছে দুটির বেশিই।
বিশদ

19th  September, 2022
একনজরে
লখিমপুর খেরি কাণ্ডের বর্ষপূর্তিতে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠালেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। সেই চিঠির অন্যতম প্রধান দাবিই হল, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করে গ্রেপ্তার করতে হবে। ...

পঞ্চমীর রাতে ডোমকলে রাজ্য সড়কে বেপরোয়া বাইক দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বাইকের আর এক আরোহী গুরুতর জখম হয়েছেন। বেপরোয়া বাইক চলাচল রুখতে শনিবার থেকে কড়া ব্যবস্থা নিল মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিস। ...

আগস্ট থেকে শুরু হয়েছিল একটু একটু করে দাম কমা। অক্টোবরেও রেশনে কেরোসিনের দাম কমতে চলেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি এ মাসে কেরোসিনের যে ‘ইস্যু প্রাইস’ নির্ধারণ ...

ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত করেছে রাশিয়া। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে আনা খসড়া নিন্দা প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকল ভারত। তবে অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে হিংসা বন্ধের দাবি জানিয়েছে ভারত।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস
ভারতে গান্ধী জয়ন্তী
পথশিশু দিবস 
১৭৯০: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আদমশুমারি শুরু হয়
১৮১৪: সমাজ সংস্কারক দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৬৬: হিন্দু সন্ন্যাসী ও রামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী অভেদানন্দর জন্ম
১৮৬৮: কলকাতায় জেনারেল পোস্ট অফিস উদ্বোধন হয়
১৮৬৯: মহাত্মা গান্ধীর জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা ও নাট্যাচার্য শিশিরকুমার ভাদুড়ীর জন্ম
১৯০৪: দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জন্ম
১৯০৬: শিল্পী রাজা রবি বর্মার মৃত্যু
১৯১৭: কবি অক্ষয়চন্দ্র সরকারের মৃত্যু
১৯২৪: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিংহের জন্ম
১৯৫০ - কিংবদন্তি ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিকের জন্ম
১৯৬২: ‘টারজান’ খ্যাত হলিউড তারকা জো লারার জন্ম
১৯৭২: মুম্বই তথা তৎকালিন বোম্বেতে ভারতের প্রথম টেলিভিশন কেন্দ্র চালু হয়
১৯৯৬ : মাদার তেরেসা আমেরিকার সম্মানিক নাগরিকত্ব লাভ করেন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮০.৭৮ টাকা ৮২.৫৩ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৫৪ টাকা ৯২.৭৬ টাকা
ইউরো ৭৮.৫৬ টাকা ৮১.৫৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৮,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ আশ্বিন, ১৪২৯, রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২।  সপ্তমী ৩৩/১০ রাত্রি ৬/৪৮। মূলা নক্ষত্র ৫০/৫১ রাত্রি ১/৫৩। সূর্যোদয় ৫/৩১/৫২, সূর্যাস্ত ৫/২০/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৩/১৯ গতে ৮/৪০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫০ গতে ২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৭ গতে ৯/২৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫১ গতে ১/২৮ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৪৬ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
১৫ আশ্বিন, ১৪২৯, রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২। সপ্তমী রাত্রি ৬/২২। মূলা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/৩২, সূর্যাস্ত ৫/২২। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৬ গতে ৮/৪২ মধ্যে ও ১১/৪৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ১/২৮ মধ্যে ও ২/১৮ গতে ৫/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩১ গতে ৪/১৬ মধ্যে। 
৫ রবিউল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শারদ শুভেচ্ছা ও ছুটি
দেবীর আবাহনে গোটা বাংলা মেতেছে উৎসবের আনন্দে। শারদোৎসব উপলক্ষে ‘বর্তমান’-এর সকল ...বিশদ

04:00:00 AM

সাংসদ পদ ছাড়লেন খাড়্গে
কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করলেন কংগ্রেস নেতা ...বিশদ

01-10-2022 - 02:42:50 PM

দিল্লিতে পিইউসি ছাড়া মিলবে না তেল
২৫ অক্টোবরের পর থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণের ছাড়পত্র  ছাড়া দিল্লিতে পাওয়া ...বিশদ

01-10-2022 - 02:32:37 PM

চিকিৎসক নীলরতন সরকার ও সঙ্গিতজ্ঞ শচীনদেব বর্মণের জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন মন্ত্রী অরূপ রায়

01-10-2022 - 01:21:00 PM

ভারতে বন্ধ করা হল পাকিস্তানি সরকারের টুইটার অ্যাকাউন্ট

01-10-2022 - 12:54:30 PM

ভারতীয় সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল আমেরিকা
ইরান থেকে তেল কেনার জন্য একটি ভারতীয় কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ...বিশদ

01-10-2022 - 12:42:02 PM