Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জ্ঞানবাপী মামলা, উত্তেজনার চোরাস্রোত
মৃণালকান্তি দাস

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভাপতি অলোক কুমার নাকি উত্তেজনার চোরাস্রোতে ভাসছেন! ইতিউতি যা মন্তব্য করছেন তাতেই টের পাওয়া যাচ্ছে সেই উত্তেজনা। সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরে আরএসএসের সম্মেলনে যেমন বলেছিলেন, ‘বিচারকের রায় বুঝিয়ে দিয়েছে জ্ঞানবাপী মামলা ১৯৯১ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের আনা উপাসনাস্থল আইনের আওতায় পড়ে না। এর অর্থ, প্রথম বাধা কাটল। জয় আমাদের হবেই। কারণ, সত্য আমাদের সঙ্গে।’ সেদিন হিন্দুদের পক্ষে অন্যতম মামলাকারী সোহনলাল আর্য বলেছিলেন, ‘এই রায় জ্ঞানবাপী মন্দিরের নতুন ভিত্তিপ্রস্তর।’ আর উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠকের প্রতিক্রিয়া, ‘দেশে খুশির ঢেউ উঠেছে।’
জ্ঞানবাপী মামলা নিয়ে কেন এত উত্তেজনা?
বাবরি মসজিদে পাকানো সলতের আগুন যে বাকি ভারতেও ছড়াতে পারে, তা আঁচ পেয়েই ১৯৯১ সালে নরসীমা রাও সরকার ‘প্লেসেস অব ওয়রশিপ অ্যাক্ট’ নামে একটি আইন প্রণয়ন করে। এই আইন অনুযায়ী, স্বাধীনতার সময় দেশের যে কোনও ধর্মস্থানের যে চরিত্র ছিল, তা পরিবর্তন করা বেআইনি। অর্থাৎ, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট যে ধর্মস্থানগুলি মন্দির হিসেবে গণ্য হতো, সেগুলিকে মসজিদ বা গির্জায় পরিবর্তন করা যায় না। যেখানে মসজিদ ছিল, তাকেও কোনওভাবে মন্দিরে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। আইনের ৪(২) ধারা অনুযায়ী, এই আইন কার্যকর হওয়ার তারিখে যদি কোনও মন্দির বা মসজিদের চরিত্র নিয়ে কোনও মামলার শুনানি চালু থাকে, সেই মামলা বাতিল হয়ে যাবে। ৪(৩) ধারা বলছে, এই আইন কার্যকর হওয়ার আগে যদি কোনও মামলার ফয়সালা হয়ে গিয়ে থাকে, তবে সেই রায় চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হবে। অর্থাৎ, ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ থেকে ১১ জুলাই ১৯৯১— এই সময়কালে যদি কোনও আদালত কোনও মসজিদকে মন্দিরে বা মন্দিরকে মসজিদে পরিবর্তন করার পক্ষে রায় দেন, তবে সেই আদেশ বহাল থাকবে। অর্থাৎ বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি বিবাদ এই আইনের আওতার বাইরে থাকবে। 
এই আইনের উদ্দেশ্য ছিল— ঐতিহাসিক ন্যায়-অন্যায়ের বিতর্কে না জড়িয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা এবং বিদ্বেষ থেকে দেশকে রক্ষা করা। আজকের ভারতে এই আইনটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ ইতিহাসের কথা তুলে বর্তমান ও ভবিষ্যতের চেহারা পাল্টে দিতে মরিয়া হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনীতি। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ যেদিন অযোধ্যা মামলার চূড়ান্ত রায় দিয়েছিলেন, সেদিন তাঁরাও ওই ১৯৯১ সালের আইনের প্রাসঙ্গিকতার উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, ওই আইন দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র অটুট রাখার সহায়ক। যা দেশের সংবিধানের মূল কাঠামো। ধর্মনিরপেক্ষ ভারত যেন ধর্মীয় সংঘাতের বধ্যভূমি না হয়ে ওঠে। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতি একযোগে একথাও বলেছিলেন, ঐতিহাসিক ভুলত্রুটির সংশোধন আদালতের আঙিনায় হওয়া ঠিক নয়। সুপ্রিম কোর্টের এমন মন্তব্যে এ দেশের মানুষ যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন!
সুপ্রিম কোর্টের যে পাঁচ বিচারপতি সর্বসম্মতিক্রমে অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছিলেন, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ছিলেন সেই বেঞ্চের অন্যতম। আর বিচারপতি পি এস নরসিংহ তখন ছিলেন মামলার অন্যতম আবেদনকারী রাজেন্দ্র সিংহের আইনজীবীর ভূমিকায়। রাজেন্দ্রর বাবা গোপাল সিংহ বিশারদ ১৯৫০ সালে ‘রামের জন্মভূমিতে’ পুজোর অনুমতি চেয়ে আদালতে গিয়েছিলেন। ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন সেই পি এস নরসিংহ। সুপ্রিম কোর্টের এই দুই বিচারপতির হাতেই গিয়েছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ সংক্রান্ত মামলা। মজার বিষয়, চলতি বছরের ২০ মে সেই দুই বিচারপতিই জ্ঞানবাপী মামলা শুনানির জন্য পাঠিয়েছিলেন বারাণসী জেলা আদালতে। ২০২১-এর আগস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী দায়রা আদালতে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই মামলারই এবার শুনানি হবে বারাণসী জেলা আদালতে। এই রায়ের পর মনে হওয়া স্বাভাবিক, অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে নিজেদের মন্তব্যকেই চ্যালেঞ্জ করে বসেছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনিই তো ১৯৯১ সালের আইনের প্রাসঙ্গিকতার কথা শুনিয়েছিলেন গোটা দেশবাসীকে। বলেছিলেন, ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইনে বলা হয়েছিল, কোনও ধর্মস্থানের চরিত্র বদল করা যাবে না। তাহলে জ্ঞানবাপীর ক্ষেত্রে সেই আইন বলবৎ হবে না কেন?
১৯৯১ সালের আইন, ১৯৪২ সালের এলাহাবাদ হাইকোর্টে রায় অথবা রাম জন্মভূমি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের অবস্থান— যেকোনও যুক্তি প্রয়োগেই জ্ঞানবাপীর মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ার কথা। অথচ, সুপ্রিম কোর্টেই তা হয়নি। আসলে দেশের সরকারের চরিত্র বদলের পাশাপাশি আইনের সেই ‘স্পিরিট’ উবে যাচ্ছে। দ্রুত। দেশের সর্বত্র হিন্দুত্ববাদ দৃঢ় প্রোথিত করার রাজনৈতিক তাগিদ যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, ততই উৎসাহিত হচ্ছে এই ধরনের প্রবণতা। তাতে যা হওয়ার তাই-ই হচ্ছে। জ্ঞানবাপী মসজিদে পূজার্চনার অনুমতি চেয়ে দায়ের করা আবেদনের শুনানিতে সম্মতি দিয়েছেন বারাণসী জেলা আদালতের বিচারক অজয়কুমার বিশ্বেস। কোন যুক্তিতে? আইনে ধর্মস্থানের চরিত্র বদল করা যাবে না বলা হলেও, ধর্মীয় চরিত্র নির্ধারণ করা যাবে না— তা বলা হয়নি। বারাণসীর জেলা আদালতের বিচারক সেই চরিত্র নির্ধারণের রায়ই শুনিয়েছেন। তিনি বলেছেন, স্মরণাতীতকাল ধরে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরে দেবদেবীর মূর্তি পূজা হয়ে আসছে। একবার কোনও সম্পত্তি দেবোত্তর ঘোষিত হলে তা ফিরিয়ে নেওয়া যায় না। আরাধ্য দেবতার সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে গেলেও সেই সম্পত্তির চরিত্রের বদল ঘটে না। কাজেই জ্ঞানবাপী মসজিদের অভিন্ন দেওয়ালে থাকা হিন্দু দেবদেবীর নিরবচ্ছিন্ন পূজা–অর্চনার দাবিসংক্রান্ত মামলা ২২ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি শুনবেন।
এই জ্ঞানবাপীর সামনেই তো মগনলালের লোক ফেলুদাকে নিয়ে যাবে বলে অপেক্ষা করছিল। মোদিময় এই তল্লাটে জ্ঞানবাপী চক হয়ে গলিপথে মণিকর্ণিকা ঘাট পর্যন্ত জনপদ আসলে বারুদের স্তূপ। অথবা আতঙ্কের প্রহর গোনা একটি দ্বীপের মতো। এমনই এক দ্বীপ, যা মৃত্যু পরোয়ানা পেয়ে গিয়েছে, ডুবে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিজেপির ইস্তেহার মেনে বারাণসীর ভোল পাল্টানো শুরু ২০১৪-য়। নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘বিশ্বনাথজি ভিড়ে ঢেকে রয়েছেন।’ তাঁকে তিনি ‘মুক্ত’ করবেন! গঙ্গার ঘাট থেকে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির পর্যন্ত ৫০ ফুট চওড়া অত্যাধুনিক করিডরের জন্য প্রয়োজন ৪ হাজার বর্গফুট ফাঁকা জমি। অতঃপর বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টকে সঙ্গে নিয়ে বুট আর বুলডোজারের আওয়াজ তুলে জমি ‘ফাঁকা’ করতে নামে স্থানীয় ও রাজ্য প্রশাসন। রাতারাতি বদলে যায় মগনলালের সেই ডেরার অবয়ব।
আর তারপরই বারাণসীতে জ্ঞানবাপী মসজিদ আদতে কাশীর বিশ্বনাথের জমি বলে দাবি ওঠে। ঠিক যেমন বাবরি মসজিদের জমির মালিক রামলালা বিরাজমান বলে দাবি উঠেছিল। রামজন্মভূমি আন্দোলনের সময় ঠিক যেমন প্রথমে কিছু ছোটখাটো হিন্দুত্ববাদী সংগঠন দাবি তুলতে শুরু করেছিল, এ বারেও ঠিক তা-ই। অজ্ঞাতকুলশীল কিছু সংগঠন ঠিক ঠিক জায়গা বেছে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে প্যান্ডোরার বাক্স খোলার ব্যবস্থা করছে। নেহাতই পুরনো ছক। অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির আগের ধাপটা মনে করা যাক। ফৈজাবাদ ছিল বড় শহর, লখনউয়ের ঢের আগে থেকে ফৈজাবাদই ছিল অওধের নবাবদের রাজধানী। ছোট্ট অযোধ্যা স্টেশনে বেশিরভাগ ট্রেন দাঁড়াত না, থাকার জন্য গোটাকয়েক ধর্মশালা। ভদ্রস্থ হোটেল, রেস্তরাঁ মানেই ফৈজাবাদ। সেই ফৈজাবাদ নামটা উড়িয়ে দিয়ে বলা হল, গোটা জায়গাটাই অযোধ্যা। বাকিটা ইতিহাস।
সঙ্ঘ পরিবার জানে, এই মামলা যতদিন জিইয়ে থাকবে ততই গেরুয়া শিবিরের লাভ। এ সবের মাঝে বেকারত্বের হার বাড়ল না কমল, কত জন রোজগারের সুযোগ না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন, কেউ এ সব প্রশ্ন তুলবে না। ভোটভিখারি হিন্দুত্বের এ সব নিয়ে মাথাব্যথা নেই। পাঁচ হিন্দু মহিলা যে জ্ঞানবাপীর চত্বরে মা শৃঙ্গার গৌরীস্থলে পুজোর দাবিতে মামলা ঠুকে দিয়েছেন, তা নিয়েই হিন্দুত্ববাদীরা মাতোয়ারা। দেশবাসী জানে, গণতন্ত্রের সঙ্কটে আদালত মানুষের স্বার্থরক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে, সেই দুর্ভাগ্যজনক ইতিহাসও ভারতেই রয়েছে। মোদির ভারতে আদালত কোন পথে হাঁটবে, সেটা সময়ই বলে দেবে।
শেষ পর্যন্ত কী হবে, সেই জল্পনায় না গিয়ে আপাতত স্মরণ করা যাক, তিন দশক আগে ‘বাবরি মসজিদের কবল থেকে রাম জন্মভূমিকে মুক্ত করার’ আন্দোলনের সময় কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের বজ্রনির্ঘোষ ছিল, ‘ইয়ে (অযোধ্যা) তো সির্ফ ঝাঁকি হ্যায়, কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়’। হিন্দুত্ববাদীদের সেই হুঙ্কার বাস্তবায়িত হওয়ার পথে বারাণসীর জেলা আদালতের রায় প্রথম সোপান কি না, তা নির্ধারণের দায়িত্ব দেশের সুপ্রিম কোর্টের।
প্যান্ডোরার বাক্স একবার খোলা হলে আইন-আদালত দিয়ে কি আর তাকে বন্ধ করা যায়?
22nd  September, 2022
রাজনীতি এমন করে মেলাতে পারে না কেন?

কিছুই হারায়নি। এই সুপ্রাচীন সংস্কৃতি আর স্বতঃস্ফূর্ত মিলনমেলা ঠিক যেমনটি ছিল তেমনই আছে। হাতের কাছেই নিখুঁত গোছানো টানটান। প্রবাসীর ঘরে ফেরা, রাত জেগে উদ্বেল ঠাকুর দেখা, ভোররাতে পায়ে ফোস্কা—সব একই আছে। গত দু’বছর বিশ্বব্যাপী মহামারীর আঘাত, ভোটের স্বার্থে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরির কুটিল ষড়যন্ত্র, মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কা, কাজ হারানো শ্রমিকের কান্না, নেতাদের কথা না রাখা, এখানে ওখানে টাকার পাহাড় আবিষ্কার নিশ্চিতভাবে নাড়া দিয়েছে বঙ্গজীবনকে, কিন্তু বদলে দিতে পারেনি অনাবিল মনটাকে।
বিশদ

বিজেপির নয়া স্টান্ট,
সরকার পড়বে ডিসেম্বরে
তন্ময় মল্লিক

আজ মহাষষ্ঠী, দেবীর বোধন। মা আনন্দময়ীর আগমনে বাংলা আনন্দমুখরিত। বন্ধ হয়েছে করোনার চোখ রাঙানি। থেমে গিয়েছে মৃত্যুর মিছিল। তাই উৎসবে মেতেছে বাংলা। তবে, সুকান্ত মজুমদারের ডিসেম্বরে সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকি সেই উৎসবের আবহেও রাজনীতির চর্চায় জুগিয়েছে ইন্ধন। বিশদ

01st  October, 2022
পরিবার বনাম পদযাত্রা:
শেষ চেষ্টা রাহুলের
সমৃদ্ধ দত্ত

রাহুল গান্ধীর মতো কঠিন লড়াইটা আর কেউ লড়ছেন না। কেন তাঁর এই লড়াইটা আকর্ষণীয়? কারণ, তিনি মাঠ ছেড়ে পালাচ্ছেন না। তিনি বারংবার ভুলুণ্ঠিত হচ্ছেন। তাঁকে নিয়ে প্রচুর হাসিতামাশা হয়। কিন্তু সব সহ্য করে এই শতাব্দীপ্রাচীন দলকে বাঁচিয়ে রাখা এবং আরও ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চালিয়েই যাচ্ছেন। বহু রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে, বহুবার বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়ে অবশেষে ২০২২ সালে রাহুল গান্ধী সম্ভবত শেষ বাজিটি খেলতে নেমেছেন তাঁর দলের অস্তিত্ব রক্ষায়।
বিশদ

30th  September, 2022
অসুখের নাম হাবরিস সিনড্রোম!
মৃণালকান্তি দাস

বিশ্ব ইতিহাসে নিন্দিত শাসকদের চরিত্রের উপর বিস্তর গবেষণা করেছেন ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ ও চিকিৎসক লর্ড ডেভিড ওয়েন। এই প্রবীণ ব্যক্তিত্ব ব্রিটিশ সরকারের ফরেন সেক্রেটারি ছাড়াও আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
বিশদ

29th  September, 2022
দীর্ঘদিনের ঘাটতি পূরণের উদ্যোগ 

সাধারণ মানুষের আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করার দিকেই আন্তরিক পদক্ষেপ করতে হবে মোদি সরকারকে। এই কাজ কেন্দ্র একা পারবে না। সব রাজ্য সরকারকে পাশে নিয়ে, তাদের পূর্ণ সহযোগিতাতেই করতে হবে। গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার আদ্যশ্রাদ্ধের ভিতরে এরকম পথ কখনও ছিল না, এখনও নেই, ভবিষ্যতেও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
বিশদ

28th  September, 2022
নেতা ও সভাপতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন ঘিরে এক ধরনের অস্বাভাবিক এবং প্রায় গায়ে-পড়া গোছের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। দু’বছর আগে জে পি নাড্ডা যখন বিজেপির সভাপতি ‘নির্বাচিত’ হন তখন বিষয়টিকে সাধারণ বিজেপি কর্মীসহ ভারতের কেউই এবং অবশ্যই কংগ্রেস দলের কোনও সদস্য একটুও গুরুত্ব দেননি।
বিশদ

26th  September, 2022
কংগ্রেসের ভোটরঙ্গ ও চিতার অট্টহাসি!
হিমাংশু সিংহ

পরিবারই আশীর্বাদ, আবার পরিবারই অভিশাপ! তাকে বাদ দিয়ে কংগ্রেসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আর বৃদ্ধ বয়সে আলেকজান্ডারের দাঁতের মাজন বেচা, প্রায় সমার্থক। নেহরু-গান্ধী পরিবার বাদে শতাব্দী প্রাচীন এই রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মটা অনেকটাই সোনার পাথরবাটির মতো! বিশদ

25th  September, 2022
বিজেপির গিমিক পলিটিক্স
বনাম ‘লালগুণ্ডা’
তন্ময় মল্লিক

শত্রুর শত্রু, আমার বন্ধু। এই নীতিতেই বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে গড়ে উঠেছিল পারস্পরিক বোঝাপড়া। এক সুরে বাঁধা ছিল মমতা বিরোধী লড়াই। বিজেপিকে দিয়েই সিপিএম তাদের ‘পথের কাঁটা’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে চেয়েছিল। তাই শুরু হয়েছিল গোপন ক্যাম্পেন, ‘একুশে রাম ছাব্বিশে বাম’। তার পরিণতি? বিজেপি ৭৭, সিপিএম জিরো।
বিশদ

24th  September, 2022
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সিলেবাস
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি কিন্তু একদিনের জন্যও নিজের অস্তিত্ব ও উপস্থিতি জনগণকে ভুলতে দিতে চান না। তাই নিয়ম হল, প্রতিদিনই কোনও না কোনও অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছেন,  উদ্বোধন করছেন, এমনকী রাজ্যের ক্ষুদ্র প্রকল্পেরও সূচনা করছেন তিনি। ফলে ভারতবাসী রোজ তাঁর কথা শুনছে। অতীতের প্রধানমন্ত্রীরা ভাবতেন, কাজের মাধ্যমেই ইতিহাসে স্থান হয়। মোদি ভাবেন, কাজ করছি এই প্রচারটি এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে, যাতে জনমনে বিভ্রম তৈরি হয় যে, হ্যাঁ, তাহলে বোধহয় সত্যিই কাজ হচ্ছে। ওই বিভ্রমই হবে ইতিহাস।
বিশদ

23rd  September, 2022
চিতা নিয়ে নৌটঙ্কি বনাম আত্মহত্যার পাঁচালি
সন্দীপন বিশ্বাস

এরাজ্যে শুরু থেকেই বিজেপির অস্তিত্ব অনেকটা নেতিয়ে যাওয়া বাসি কচুরির মতো। মোদি-শাহরা মাঝেমাঝে এসে কিছুটা গরম করে দিয়ে যান বটে, কিন্তু আবার তাঁরা দিল্লি ফিরে গেলেই এখানকার নেতৃত্ব নেতিয়ে পড়ে।
বিশদ

21st  September, 2022
মহাত্মা হওয়ার লড়াই!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কর্তৃত্বের সঙ্কট? নাকি অস্তিত্বের? ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র ১২ দিন পরও এই প্রশ্নটার উত্তর কিছুতেই মিলছে না। রাহুল গান্ধী হাঁটছেন। আমরাও দেখছি, শুনছি এবং বোঝার চেষ্টা করছি।
বিশদ

20th  September, 2022
আজাদি, স্বায়ত্তশাসন ও গুলাম নবি আজাদ
পি চিদম্বরম

কাশ্মীর নিয়ে ১৯৪৭ সাল থেকে দুটি বিরুদ্ধ ধারণা রয়েছে। সময়ে সময়ে ধারণাগুলির রূপান্তরিত হয়েছে নানাভাবে। এই ঘটনার প্রভাবে এটাই মনে হয় যে কাশ্মীর সম্পর্কে ধারণা রয়েছে দুটির বেশিই।
বিশদ

19th  September, 2022
একনজরে
লখিমপুর খেরি কাণ্ডের বর্ষপূর্তিতে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠালেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। সেই চিঠির অন্যতম প্রধান দাবিই হল, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করে গ্রেপ্তার করতে হবে। ...

থিমের পুজো এবার নজর কাড়ছে গঙ্গারামপুর শহরের বাসিন্দাদের। শহরে বিগ বাজেটের পুজো উদ্যোক্তারা থিম পুজোর উপর ভর করে একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে। শিল্পীদের ভাবনায় তৈরি হয়েছে এসব থিম। গঙ্গারামপুর জ্বলন্ত অগ্নি সঙ্ঘ ক্লাবের এবারের ৪৭তম বর্ষের পুজোর থিম নারী। ...

দলের সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচন নিয়ে তীব্র আলোড়ন চলছে কংগ্রেসের অন্দরে। সেই আবহে শনিবার দলের যুব সংগঠনের রাজ্যওয়াড়ি শীর্ষ পদাধিকারী নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হল। ...

ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত করেছে রাশিয়া। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে আনা খসড়া নিন্দা প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকল ভারত। তবে অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে হিংসা বন্ধের দাবি জানিয়েছে ভারত।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস
ভারতে গান্ধী জয়ন্তী
পথশিশু দিবস 
১৭৯০: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আদমশুমারি শুরু হয়
১৮১৪: সমাজ সংস্কারক দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৬৬: হিন্দু সন্ন্যাসী ও রামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী অভেদানন্দর জন্ম
১৮৬৮: কলকাতায় জেনারেল পোস্ট অফিস উদ্বোধন হয়
১৮৬৯: মহাত্মা গান্ধীর জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা ও নাট্যাচার্য শিশিরকুমার ভাদুড়ীর জন্ম
১৯০৪: দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জন্ম
১৯০৬: শিল্পী রাজা রবি বর্মার মৃত্যু
১৯১৭: কবি অক্ষয়চন্দ্র সরকারের মৃত্যু
১৯২৪: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিংহের জন্ম
১৯৫০ - কিংবদন্তি ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিকের জন্ম
১৯৬২: ‘টারজান’ খ্যাত হলিউড তারকা জো লারার জন্ম
১৯৭২: মুম্বই তথা তৎকালিন বোম্বেতে ভারতের প্রথম টেলিভিশন কেন্দ্র চালু হয়
১৯৯৬ : মাদার তেরেসা আমেরিকার সম্মানিক নাগরিকত্ব লাভ করেন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮০.৭৮ টাকা ৮২.৫৩ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৫৪ টাকা ৯২.৭৬ টাকা
ইউরো ৭৮.৫৬ টাকা ৮১.৫৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৮,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ আশ্বিন, ১৪২৯, রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২।  সপ্তমী ৩৩/১০ রাত্রি ৬/৪৮। মূলা নক্ষত্র ৫০/৫১ রাত্রি ১/৫৩। সূর্যোদয় ৫/৩১/৫২, সূর্যাস্ত ৫/২০/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৩/১৯ গতে ৮/৪০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫০ গতে ২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৭ গতে ৯/২৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫১ গতে ১/২৮ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৪৬ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
১৫ আশ্বিন, ১৪২৯, রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২। সপ্তমী রাত্রি ৬/২২। মূলা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/৩২, সূর্যাস্ত ৫/২২। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৬ গতে ৮/৪২ মধ্যে ও ১১/৪৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ১/২৮ মধ্যে ও ২/১৮ গতে ৫/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩১ গতে ৪/১৬ মধ্যে। 
৫ রবিউল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শারদ শুভেচ্ছা ও ছুটি
দেবীর আবাহনে গোটা বাংলা মেতেছে উৎসবের আনন্দে। শারদোৎসব উপলক্ষে ‘বর্তমান’-এর সকল ...বিশদ

04:00:00 AM

সাংসদ পদ ছাড়লেন খাড়্গে
কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করলেন কংগ্রেস নেতা ...বিশদ

01-10-2022 - 02:42:50 PM

দিল্লিতে পিইউসি ছাড়া মিলবে না তেল
২৫ অক্টোবরের পর থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণের ছাড়পত্র  ছাড়া দিল্লিতে পাওয়া ...বিশদ

01-10-2022 - 02:32:37 PM

চিকিৎসক নীলরতন সরকার ও সঙ্গিতজ্ঞ শচীনদেব বর্মণের জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন মন্ত্রী অরূপ রায়

01-10-2022 - 01:21:00 PM

ভারতে বন্ধ করা হল পাকিস্তানি সরকারের টুইটার অ্যাকাউন্ট

01-10-2022 - 12:54:30 PM

ভারতীয় সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল আমেরিকা
ইরান থেকে তেল কেনার জন্য একটি ভারতীয় কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ...বিশদ

01-10-2022 - 12:42:02 PM