যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
ক্লাব সদস্যরা জানিয়েছেন, এক সময় দুর্গাপুজোর সময়েও এলাকা শুনশান থেকে যেত। কারণ সমগ্র গ্রামে কোনও পুজো হতো না। স্বাভাবিকভাবেই শিশু থেকে বয়স্ক সকলেরই মন খারাপ হয়ে যেত। মহিলারা দশমীর দিন সিঁদুর ছোঁয়াতে অনেকটা পথ অতিক্রম করে পাশের গ্রামে যেতেন। গ্রামের লোকজনদের কথা চিন্তা করেই চাঁদমোহন সরকার, মতিলাল সরকার, নারায়ণ সরকার, লক্ষ্মণ সরকার, কৃষ্ণপদ সরকার, শান্তি সরকার সহ বেশ কয়েকজন এই গ্রামে দুর্গাপুজো করবেন বলে স্থির করেন। সকলে মিলে আলোচনা করে ১৯৮৮ সাল থেকে শুরু হয় এই গ্রামে পুজো। বর্তমানে সন্তোষ সরকার, মনোজ সরকার, শিবা সরকার, তারাপদ সরকার, দিলীপ সরকার ,স্বপন সরকার, দিপালী সরকার, সরস্বতী সরকার, দীপা সরকার, সোনামণি সরকার পুজোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। সাবেকিআনা এই পুজোর মূল আকর্ষণ। পুজোর দিনগুলিতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় এলাকার লোকজনদের নিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠান হয়।
সাগর সঙ্ঘ ক্লাবের অন্যতম সদস্য সন্তোষ সরকার বলেন, আমাদের কাপালিপাড়ায় একমাত্র একটি পুজোই হয়। স্বাভাবিক ভাবেই এই পুজোর আনন্দ অত্যন্ত বেশি। আমাদের পুজোর মায়ের মূর্তি থেকে মণ্ডপসজ্জা আমগুড়ির শিল্পীর দ্বারা তৈরি। আমাদের এখানে বড় কোনও বাজেট নেই। বিরাট আয়োজনও নেই। এলাকার লোকজনদের আনন্দ দেওয়াই আমাদের এই পুজোর মূল উদ্দেশ্য। আমরা এবছর প্রথম সরকারি অনুদান পেয়েছি। এজন্য আমরা আরও বেশি খুশি। এখানে গ্রামের লোকজনদের কাছে চাঁদা চাইতে হয় না। তারা নিজেরা এসেই চাঁদা দিয়ে যায়। অষ্টমীর দিন গ্রামের প্রত্যেকের বাড়িতে খিচুড়ি ভোগ দিয়ে দেওয়া হয়। সেদিন কারও বাড়িতে কার্যত রান্না করতে হয় না। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এলাকার লোকজন পুজো মণ্ডপে এসে ভিড় জমান। গভীর রাত পর্যন্ত চলে গল্প, আড্ডার আসর।