শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
দেশ শাসন করতে গেলে কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে। দেশের মানুষের সন্তোষ বিধানের জন্য কিছু কথা বলতেই হয়। তাই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে মাঝেমাঝেই সীমান্তে পাক সেনাদের গোলাগুলি ছুঁড়তে হয়। প্রতিবেশী দেশকে হুমকি দিয়ে রাষ্ট্রনেতাদের যুদ্ধের জিগির বজায় রাখার চেষ্টা করতেই হয়। তারা নিজেরাও জানে অর্থনৈতিক দিক থেকে তারা কতটা দুর্বল। বিভিন্ন দেশের কাছে ঋণের জালে তাদের মাথা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে গিয়েছে। চীন বন্ধু সেজে যতটা পারছে পাকিস্তানকে চুষে খাচ্ছে। সব জেনেও পাকিস্তানের কিছু করার নেই। ডুবন্ত মানুষ যেভাবে খড়কুটো আঁকড়ে ধরে, চীনকে তারা সেভাবেই আঁকড়ে ধরতে চাইছে। একসময় আমেরিকার কাছ থেকে যেটুকু সাহায্য তারা পেত, তাও বন্ধ। বালকোট এবং কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর মুসলিম দুনিয়ার কাছে পাকিস্তান সমর্থন চেয়েছিল। চেয়েছিল যেন মুসলিম দুনিয়া ভারতের বিরুদ্ধে রোষবর্ষণ করে। কিন্তু তাতে ফল মেলেনি। মুসলিম দুনিয়া পাকিস্তানের ডাকে সাড়া না দিয়ে নীতিগতভাবে ভারতকেই সমর্থন জানিয়েছে। আমেরিকার সমর্থন তো মেলেইনি এমনকী এই ইস্যুতে চীনও পাকিস্তানকে সমর্থন জানায়নি।
গোহারা হয়ে এখন ইমরান মাঝে মাঝেই যুক্তিহীন কথাবার্তা বলে যাচ্ছেন। মাঝে মাঝে শান্তির কথা বলছেন, আবার মাঝে মাঝে যুদ্ধের কথা বলছেন। পরমাণু বোমার প্রসঙ্গ তুলে দেশের মানুষের কাছে দেশাত্মবোধের আবেগ তৈরি করতে চাইছেন। কিন্তু সেটা যে সম্ভব নয়, সেটা ইমরান ভালো করেই জানেন। ভারতের ভাণ্ডারেও মজুত আছে পরমাণু বোমা। সেসব জেনেও তিনি বলেছেন পরমাণু শক্তির ব্যবহার তখনই হবে, যখন যুদ্ধে পাকিস্তান হেরে যাবে। একটা প্রবাদই আছে, যাঁরা অনেক মিথ্যা কথা বলেন, তাঁদের মুখ দিয়ে মাঝেমাঝেই সত্যি কথাটা নিজের অগোচরে বেরিয়ে আসে। এবারও সেই কথার ফাঁকে ইমরান ধ্রুব সত্যটিকে বলে ফেলেছেন। আজ বিশ্বের যে-কোনও দেশই জানে ভারত কিংবা পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ হলে পাকিস্তান হেরে যাবেই। সেই অবধারিত সত্যটিকে তিনি প্রকাশ করে ফেলেছেন। সত্যি কথা বলতে কী, এই বোধোহয় যত ঘটবে, পাকিস্তান দেশটা ততই রক্ষা পাবে।
কিছুদিন আগে রাষ্ট্রসঙ্ঘে দাঁড়িয়ে এমনই এক সত্যকে স্বীকার করে নিয়েছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। কাশ্মীর যে ভারতেরই অংশ একথা তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। এই কথা যদি পাকিস্তান বিশ্বাস করে তবে তারা সেখানে জেহাদির কথা বলে কোন মুখে? কেন উপত্যকায় জঙ্গি ঢুকিয়ে তারা অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে রাখতে চায়? সে কি শুধুই ভারতকে বিব্রত করতে, নাকি, নিজেদের দুরবস্থা ঢাকতে দেশের মানুষকে যুদ্ধ-যুদ্ধ কিংবা জঙ্গিপানার সম্মোহনে ভুলিয়ে রাখতে চায়।
পাকিস্তান জানে যত তারা মৌলবাদকে উস্কানি দেবে, ততই মানুষ সেই আবেগে ডুবে যাবে। ভারতকে যোগ্য জবাব দেওয়ার মিথ্যা মোহ দেখিয়ে দেশের মানুষকে যেন নেশাগ্রস্ত করে রাখতে চায় তারা। কিন্তু এভাবে দিনের পর দিন চলে না। বাস্তবের প্রকাশ ঘটবেই। সেই বাস্তব কথা এখন ইমরানরা মাঝে মাঝেই বলে ফেলছেন। আসলে যত তাড়াতাড়ি বোধোদয় ঘটে, পাকিস্তানের পক্ষে ততই মঙ্গল।