শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
এদিন সকালে দুইটি বিভাগের মূল গেটের তালা খুলতে গেলে কর্মীদের বাধা দেন ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের আন্দোলনের জেরে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরাও এদিন বিভাগে গিয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দিনভর ক্লাসে পঠনপাঠন হয়নি। তাঁদের দাবি পূরণ না হলে সোমবার ছাত্রছাত্রীরা বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন।
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগের শিক্ষাকর্মীদের বদলি করা হয়েছে। এটি রুটিন বিষয়। দু’টি ডিপার্টমেন্টের ছাত্রছাত্রী তাদের বিভাগের শিক্ষাকর্মীকে পুরোনো জায়গায় বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। ছাত্রছাত্রীদের দাবির বিষয়ে লিখিত আবেদন পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফর্মেশন সায়েন্স বিভাগের কর্মী সুরঞ্জিৎ দত্ত ওই ডিপার্টমেন্টে প্রায় ২০ বছর ধরে কাজ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তকমা মেলার আগে থেকেই তিনি ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। অঙ্ক বিভাগের কর্মী হীরন্ময় মধুও বহু বছর ধরে ওই ডিপার্টমেন্টে শিক্ষাকর্মী হিসেবে রয়েছেন। ছাত্রছাত্রীরা বলেন, ওই দুইজনই তাঁদের প্রাকটিক্যাল ক্লাসের সময় ছাড়াও বিভিন্ন কাজে ছাত্রছাত্রীদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেন। তাঁদের সহায়তায় ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হন বলে দু’জনেই নিজ নিজ ডিপার্টমেন্টের পডুয়াদের কাছে প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছিলেন। দু’জনকেই অন্য ডিপার্টমেন্টে বদলির খবর শুক্রবার জানতে পেরে পডুয়ারা ডিপার্টমেন্টের সামনে প্রথমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা ডিপার্টমেন্টের মূল গেটের তালা এদিন খুলতেই দেননি। বাইরে শয়ে শয়ে ছাত্রছাত্রী তাঁদের ডিপার্টমেন্টের ওই শিক্ষাকর্মীদের ফেরানোর দাবিতে সোচ্চার হন। শিক্ষকরা তাঁদের এই রুটিন বদলির বিষয়ে বোঝাতে চাইলেও ছাত্রছাত্রীরা সেই যুক্তি মানতে চাননি। ছাত্রছাত্রীদের একটি প্রতিনিধিদলও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের দাবির বিষয়ে দরবার করেন। এহেন পরিস্থিতিতে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই দুটি ডিপার্টমেন্টে দিনভর পঠনপাঠন হয়নি। ডিপার্টমেন্টের তালাই খোলেনি।
আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফর্মেশন সায়েন্সের বিএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সৌগত নাগ বলেন, যে শিক্ষাকর্মীরা আমাদের পঠনপাঠনে ভালো ভূমিকা রেখেছেন তাঁদের ডিপার্টমেন্টে পুনরায় বহাল করার দাবিতে এদিন আন্দোলন হয়েছে। শনি ও রবিবার ডিপার্টমেন্ট বন্ধ থাকবে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় খুললে ওইদিনও দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। অঙ্ক অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জুলফিকর রহমান বলেন, আমাদের ডিপার্টমেন্টের যে শিক্ষাকর্মীকে অন্য ডিপার্টমেন্টে বদলি করা হয়েছে, সেটা আমরা মেনে নিতে পারছি না। উনি আমাদের পঠনপাঠনে বিভিন্ন সময় সহায়তা করেছেন। আন্দোলনকারী অমিয় রায়, জগদীশ সরকাররা বলেন, ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থের দিকটি কর্তৃপক্ষ সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা না করলে আন্দোলন বৃহত্তর আকার নেবে।