শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকে মৃত ব্যক্তি বিডিও অফিসে ডিজিটাল রেশন কার্ডের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাকালীনই হঠাৎ তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বালুরঘাট হাসপাতালেই মৃত্যু হয় মন্টু বর্মনের। ঘটনার জেরে বিডিও অফিস চত্বরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়্যারপার্সন অর্পিতা ঘোষ। মৃতের পরিবারকে সরকারি সাহায্য দেওয়ার পাশাপাশি দলীয়ভাবে সাহায্যের আশ্বাসও দেওয়া হয়।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান অর্পিতা ঘোষ বলেন, মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি দলের তরফেও সাহায্য করা হবে। এনআরসি আতঙ্কের জেরে এমন ভিড় হচ্ছে। বিডিও’র সঙ্গে দেখা করেছি। কাউন্টার বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছি। যাতে সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যা না হয়, সেজন্য আমাদের সেচ্ছাসেবকরা বিডিও অফিসে থাকবেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার খাদ্য নিয়ামক জয়ন্ত রায় বলেন, এমন ঘটনা কাম্য নয়। এদিন বৈঠক করা হয়েছে। শনিবার থেকে সমস্ত বিডিও অফিসে কাউন্টার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মেডিক্যাল টিম, পুলিস রাখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যাতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
এদিন ডিজিটাল কার্ড করতে আসা বাসিন্দারা প্রশাসনের উদাসীনতা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁদের অভিযোগ, এত মানুষের চাপ থাকলেও প্রশাসন শুধুমাত্র একটি কাউন্টার করে আবেদন জমা নিচ্ছে। তাই মানুষদের এমন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। সীমান্ত লাগোয়া দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এনআরসি নিয়ে। সেই আতঙ্কে অনেকে বিডিও অফিসে ভিড় জমাচ্ছেন। মানুষের আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে বিডিও অফিস চত্বরে এক শ্রেণীর অসাধু মানুষ প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেছে। বিডিও অফিসে আসা বাসিন্দাদের কাছে দাবি করা হচ্ছে, আবেদন জমা না দিলে এনআরসি’র তালিকায় তাঁদের নাম থাকবে না। সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা হাতানোর একটা বড় চক্র কাজ করছে। অন্যদিকে, যে সমস্ত উপভোক্তার ডিজিটাল রেশন কার্ড নেই, তাঁদের আবেদনপত্র গ্রহণের কাজ শুরু করেছে খাদ্যদপ্তর। একদিকে এনআরসি’র আতঙ্ক, অন্যদিকে ডিজিটাল রেশন কার্ড করার ভিড়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে জেলার ব্লক অফিসগুলিতে নাজেহাল অবস্থা। ভিড় সামাল দিতে কার্যত ব্যর্থ ব্লক প্রশাসন। বিডিও অফিসের ভেতরেই দালালরা বসে আবেদনকারীদের হুমকি দিচ্ছে যে তারাই সরকারি কর্মচারি। তাদের কাছে কাজ না করলে রেশন কার্ড হবে না। এমন দালাল চক্র চললেও বালুরঘাট ব্লক প্রশাসন চুপ রয়েছে বলে অভিযোগ। এর মধ্যে এদিন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাকালীন মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।