শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
এব্যাপারে মৌসম বলেন, অনাস্থা বিতর্কে ইংলিশবাজারে দলীয় কাউন্সিলরদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তা মেটাতে আমি বৈঠক ডেকেছি। নূর ম্যানসনে দুপর ১২টা নাগাদ বৈঠক শুরু হওয়ার কথা। দলের বার্তা পেয়ে কাউন্সিলাররা একজোট হয়ে চলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে একঝাঁক তৃণমূল কাউন্সিলার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারিতার অভিযোগ তুলে তাঁরা সরব হন। ২৮ আগস্ট ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার (বাবলা) সহ ১৫ জন তৃণমূল কাউন্সিলার নীহারবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। দু’দিনের মধ্যে পুরাতন মালদহ পুরসভাতেও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আসে। ইংলিশবাজারের দুই সিআইসি সদস্যও পদত্যাগ করলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। দুই পুরসভায় সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ায় জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব যথেষ্ট চাপে পড়ে যায়। জেলা নেতারা দফায় দফায় কাউন্সিলারদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। কলকাতাতেও দুই পুরসভার বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলারদের ডেকে পাঠানো হয়। পুরাতন মালদহে অনাস্থা উঠে গেলেও ইংলিশবাজারে আজ পর্যন্ত তা ওঠেনি। এরইমধ্যে ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আস্থা ভোট ডাকার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। খবর পেয়ে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বাবলাবাবুকে ফোন করে সমস্যার কথা জানতে চান। সুব্রতবাবু উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়ায় আস্থা ভোট স্থগিত হয়ে যায়। পরে আর কোনও কাউন্সিলার আস্থা ভোটের ব্যাপারে উচ্চবাচ্য করেননি।
এব্যাপারে বাবলাবাবু বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে খোদ রাজ্য নেতৃত্ব আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। পুরমন্ত্রী দ্রুত তদন্তকারী দল পাঠানোর কথা বলেছেন। সেজন্য আমি আস্থা ভোট ডাকিনি। দলের উপর আমার ভরসা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল বা সিআইসি-কে না জানিয়ে চেয়ারম্যান কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না বলে রাজ্য নেতৃত্ব স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা অন্যতম বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, এদিন জেলা সভানেত্রীর বৈঠকে আমি যোগ দেব। তবে অন্যায়কে কেউ সমর্থন করলে মানুষ ছেড়ে কথা বলবে না। দুর্নীতির সঙ্গে আপোষকারীদেরও জেলের ঘানি টানতে হবে।
নীহারবাবু বলেন, ইতিমধ্যে রাজ্য নেতৃত্ব আমাদের বিভেদ ভুলে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা সভানেত্রীর ডাকা বৈঠকে আমি যাব। তিনি যা নির্দেশ দেবেন তা মেনে চলব। আমি সকলকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আশা করি ভবিষ্যতে সুষ্ঠুভাবে পুরসভা চলবে। সাধারণ মানুষকেও আমরা যথাযথ পরিষেবা দিতে পারব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা বলেন, শিয়রে পুরসভা নির্বাচন। ফলে এখন কাউন্সিলারদের একজোট হয়ে চলতেই হবে। কেউ বেচাল করলে টিকিট পাওয়া মুশকিল হবে। তখন ভোটের মুখে বিরোধী দলে গিয়ে তাঁরা খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন বলে মনে হয় না। তাই এইসময় নিজেদের মধ্যে কোন্দল করা উচিত নয়। তার থেকে ভালো কাজের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করলে রাজনৈতিক ভাবে পায়ের তলার মাটি শক্ত হবে। এই সহজ সত্যটা দলের কাউন্সিলাররা যত তাড়াতাড়ি বুঝবেন, ততই ভালো।