শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
স্কুলের টিআইসি অনিল মণ্ডল বলেন, প্রতিদিনের মতো এদিনও স্কুল খোলা হয়। আমরা ভেবেছিলাম ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসবে কিন্তু দেখি কেউ আসেনি। কয়েক দিন আগে স্কুলের পড়ুয়ারা এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যরা এসে এদিন স্কুল বন্ধ রাখতে বলেছিল। যেহেতু মহকুমা শাসক স্কুলের প্রশাসক হিসেবে আছেন তাই আমার এব্যাপারে অনুমতি দেওয়ার এক্তিয়ার ছিল না। স্কুলের মাঠে কর্মসূচির ব্যাপারে আমি কাউকে অনুমতি দিইনি। প্রতিদিনের মতো এদিনও শিক্ষকরা নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে আসেন। পড়ুয়ারা না এলেও আমরা প্রার্থনা করি। নিহত ছাত্রদের স্মরণ করি।
ইসলামপুরের মহকুমা শাসক অলঙ্কৃতা পাণ্ডে বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন, স্কুলের মাঠে কোনও ব্যক্তিগত কর্মসূচির জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। নিহত তাপস বর্মনের মা মঞ্জু বর্মন বলেন, আমরা ছেলে বাংলা ভাষার জন্য শহিদ হয়েছে। এখনও আমরা বিচার পাইনি। এদিন স্কুলের মাঠে আমরা শহিদ দিবস পালন করি।
প্রসঙ্গত, গতবছর ২০ সেপ্টেম্বর স্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ছাত্র বিক্ষোভ হয়। ওই দিন দুষ্কৃতীদের গুলিতে তাপস বর্মন ও রাজেশ সরকারের মৃত্য হয়। তাদের মৃত্যুর একবছর উপলক্ষে এদিন দাড়িভিটে বিজেপিও একাধিক কর্মসূচি করে। বিজেপির কর্মসূচিতে নিহতদের পরিবারের লোকেরা ছিলেন। এদিকে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা নিজেদের উদ্যোগে স্কুলের মাঠে শহিদ দিবস পালন করেন। তাঁরা তাপস ও রাজেশের ফটোতে মাল্যদান করেন। ওই স্কুলের পড়ুয়া সহ পাড়ার লোকেরা এসে শ্রদ্ধা জানায়। চোখের জলে নিহত তাপস ও রাজেশকে স্মরণ করেন সকলে।
এদিন স্কুল বন্ধ ছিল না। স্কুলের ইউনিফর্ম পড়ে এসেও ছাত্রছাত্রীরা কেউ ক্লাসে যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই এনিয়ে এলাকায় চর্চা শুরু হয়। পড়ুয়ারা স্কুলের মাঠে তাপস ও রাজেশের ফটোতে মাল্যদান করে। নিহতদের পরিবারের সদস্যরা বলেন, ঘটনার একবছর হল, কিন্তু বিচার মিলল না। তারা সিবিআই তদন্তের দাবি আগেই তুলেছে। যদিও রাজ্য সরকার সিআইডির হাতে তদন্তভার দিয়ে রেখেছে।