শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের বিরুদ্ধে নালিশ শুরু করেছে পাকিস্তান। তবে তারা বিশেষ সফল হয়নি। এই অবস্থায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনের মঞ্চকেই কাশ্মীর নিয়ে তাঁদের উদ্বেগ তুলে ধরার জন্য বেছে নিয়েছে ইসলামাবাদ। এই নিয়ে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে সরব হবেন।’ এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আকবরউদ্দিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোন বিষয়কে কোন দেশ তুলে ধরবে, তা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।’ কাশ্মীর নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েও আকবরউদ্দিন বলেন, ‘ওরা ভারতের অবস্থানকে যতই নিচু করে দেখাক, আমরা এর যোগ্য জবাব দেব।’ সেই জবাব কীরকম হবে, তার ইঙ্গিতও দিয়েছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের রাষ্ট্রদূত আকবরউদ্দিন। তাঁর কথায়, ‘ওঁরা যেমন খুশি বিষয় তুলে ধরতে পারেন। আমরা দেখেছি রাষ্ট্রের মদতে কীভাবে সেখানে সন্ত্রাসবাদ পুষ্ট হয়। এখন ওরা ঘৃণ্য মন্তব্যকে মূলস্রোতের ভাষা হিসেবে প্রচার করতে চাইছে। ওঁরা যা করে করুক, বিষাক্ত কলমগুলি দীর্ঘদিন কাজ করতে পারে না।’
তবে এই পরিস্থিতিতে ভারতের চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেইরেস। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে কাশ্মীর ইস্যু এবং এখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতি আলোচনার জন্য তিনি তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন মহাসচিবের মুখপাত্র স্তিফেন দুজারিক। এই নিয়ে দুজারিক বৃহস্পতিবার বলেন, ‘কাশ্মীর নিয়ে মহাসচিব আগেই জানিয়েছেন, বিষয়টির সঙ্গে তিনি যুক্ত রয়েছেন। আমার মনে হয়, সাধারণ সভার বৈঠকের সময় তিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না।’ বুধবারও গুতেইরেস কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানকে আলোচনার পরামর্শ দিয়েছিলেন। দু’পক্ষের মধ্যস্থতার জন্য অনেকেই রাজি রয়েছেন বলেও জানিয়েছিলেন মহাসচিব। উপত্যকায় মানবাধিকার মানা হচ্ছে কি না, তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। তবে কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট। কাশ্মীরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেই মনে করে দিল্লি। এই নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘ বা আমেরিকার মতো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা দিল্লি যে মেনে নেবে না, তা ভারত বারবার পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে।
এদিকে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের এবারের অধিবেশনে ভারতের অংশগ্রহণকে অভূতপূর্ব বলে মন্তব্য করেছেন আকবরউদ্দিন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যোগদানে এবারের অধিবেশন একটি দৃঢ়, বাস্তব এবং ফলপ্রসূ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ৭৫টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা সারবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং বিদেশ রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি মুরলীধরণ। এই বৈঠক কেবল সৌজন্যমূলক বা পার্শ্ববৈঠকে সীমাবদ্ধ থাকবে না। আকবরউদ্দিন জানিয়েছন, একই কক্ষে প্রধানমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী বা বিদেশ রাষ্ট্রমন্ত্রী প্রায় আধঘণ্টা ধরে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা সারবেন।