Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সরকারি চাকরির মোহে আবিষ্ট সমাজ
অতনু বিশ্বাস

মাইক্রোসফ্ট-এর মতো নামজাদা কোম্পানি আইআইটি বম্বের প্লেসমেন্টের প্রথম দিনই বছরে ১কোটি ১৪ লক্ষ টাকার চাকরির প্যাকেজ অফার করেছে, এমন খবর মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সহজেই। আইআইটি-র উপচে-পড়া গ্ল্যামারের মোহে আবিষ্ট হয়ে আছে সারা দেশের অগণিত জনতা। সে প্রেক্ষিতে ছাত্র এবং অভিভাবকদের আরও বেশি পরিমাণে আচ্ছন্ন করে তোলে সদ্য-স্নাতকের এমন বিপুল মাইনের চাকরির খবর। কিন্তু কেমন হয় যদি আইআইটি-র স্নাতক সেই কোটি টাকার চাকরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন, কেবলমাত্র সরকারি চাকরির নিরাপত্তার মোহে?
হ্যাঁ, এমন ঘটনাও ঘটে। যেমন, সম্প্রতি খবরের শিরোনামে এসেছেন শ্রাবণ কুমার। পাটনার ছেলে। দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইআইটি বম্বে থেকে বি টেক এবং এম টেক পাশ করেছেন শ্রাবণ। এখন তিনি চাকরি করতে ঢুকেছেন ধানবাদ রেলওয়ে ডিভিশনে। চন্দ্রপুরাতে। গ্রুপ ‘ডি’ কর্মী হিসেবে। সেখানে তাঁর কাজ ট্র্যাকম্যান হিসেবে। চন্দ্রপুরা এবং তেলো বিভাগের মধ্যে ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণের দেখাশোনা করার কাজ।
আইআইটি বম্বের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার কেন রেলের গ্রুপ ডি কর্মী হিসেবে বছরে মাত্র তিন লাখ টাকার চাকরিতে যোগ দিলেন, সে এক বিস্ময়কর জিজ্ঞাসা অবশ্যই। যেখানে ২০১৮-তেই আইআইটি বম্বের ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রযুক্তির ছাত্রদের প্লেসমেন্টে গড় মাইনে বছরে সাড়ে আঠেরো লক্ষ টাকা। তাই অবাক সকলেই। অবাক ধানবাদ রেল বিভাগের অনেক সিনিয়র কর্মকর্তাও। তাঁরা কখনও ভাবেননি যে, আইআইটির ডিগ্রিধারী কোনও ইঞ্জিনিয়ার বেছে নিতে পারেন কোনও গ্রুপ ডি’র পদ, যার জন্য আবশ্যিক যোগ্যতা মান দশম বোর্ডের পরীক্ষা পাশ করা। শ্রাবণ কুমার নিজে অবশ্য তাঁর এই চাকরিতে ঢোকার কারণ হিসেবে বলেছেন, সরকারি চাকরির সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার কথা। বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত তাঁর আইআইটির বন্ধুরাও তাঁকে টলাতে পারেনি। শ্রাবণ কুমার নিজে অবশ্য শিগগিরই সরকারি চাকরিতেই ‘অফিসার পর্যায়ে’ উন্নতির ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
সে যাই হোক না কেন, সরকারি চাকরির প্রতি এই মোহ কিন্তু আমাদের সমাজ-জীবনে একেবারে গা-সওয়া ঘটনা। যে কোনও কাগজের পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপনেই এর প্রমাণ মিলবে। যেখানে সদর্পে ঘোষণা করা হয় যে, পাত্র সঃ চাঃ, কিংবা কেবলমাত্র সরকারি চাকুরে পাত্রের তরফেই যেন যোগাযোগ করা হয়, ইত্যাদি ইত্যাদি।
অবশ্য সাধারণত একটা মস্ত বড় ভুল করা হয় এসব ক্ষেত্রে। ‘সরকারি’ চাকরি বলতে এখানে ‘সরকারি’ আর ‘পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং’ বা সরকারি ক্ষেত্রের উদ্যোগের চাকরিগুলোকেও ধরা হয়। এই দু’ধরনের চাকরির চরিত্র আর নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা কিন্তু এক রকমের নয় একেবারেই।
সে যাই হোক না কেন, সেই কবে আমাদের ছাত্রজীবনেও দেখেছি তথাকথিত সরকারি চাকরির প্রতি প্রবল মোহ, গোটা সমাজ-ব্যবস্থাটারই। সেটা বিশ শতকের আটের এবং নয়ের দশকের কথা। বেশিরভাগ ছাত্রই তখন পড়াশুনার শেষে, বা তার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, রেল, এলআইসি, ইত্যাদি নানা চাকরির পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। যাঁরা আরও ভালো, তাঁদের অনেকের আবার পছন্দ আইএএস কিংবা ডব্লুবিসিএস-এর মতো প্রশাসনিক চাকরি, যার গ্ল্যামার, ক্ষমতা এবং মাইনে বেশ উপরের দিকে। সে যুগে বেসরকারি চাকরির সুযোগও ছিল কম, আর ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা ম্যানেজমেন্টের মতো কিছু ক্ষেত্র ছাড়া অন্য ছাত্ররা গোড়াতেই সেসব চাকরির কথা বড় একটা ভাবতেন না। এমনকী বহু সংখ্যক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রও চেষ্টা করতেন সরকারি ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। অবশ্য এটা ঠিক যে, সরকারি চাকরির মাইনে, মাইনের বাৎসরিক বৃদ্ধি, পদোন্নতি, দশ বছর পরপর পে কমিশন, সবই বাঁধাধরা ছক ধরে এগোয়। কর্মীর যোগ্যতা অনেকটা বেশি হলেও তাঁর বাঁধনছাড়া বেশি মাইনে পাবার কোনও সুযোগ নেই। তবে এমনিতে সরকারি চাকরির মাইনে আকাশ-ছোঁয়া সাঙ্ঘাতিক কিছু না-হলেও মধ্যবিত্তের জীবনযাত্রার নিরিখে বেশ ভালোই ছিল। কিন্তু আসল কথা ছিল তার নিরাপত্তা, নিশ্চিন্ততা, চিকিৎসা এবং অবসরকালীন বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। আর সেই সঙ্গে অগণিত মানুষ মনে করত, সরকারি চাকরি যেন পাওয়াটাই কঠিন, পেয়ে গেলে কাজ বিশেষ না করলেও চলে।
তারপর নয়ের দশকের গোড়ায় এক মনমোহিনী জাদুতে ভেসে গেল ভারতবর্ষ। মুক্ত অর্থনীতি কিন্তু সঙ্গে করে আনে মুক্ত চিন্তার স্রোতও। গোটা বিশ্বের জীবনস্রোত আর তার প্রকাশভঙ্গির সঙ্গে একাত্ম হয় ভারতবাসী। সেই সঙ্গে এক টেকনোলজিক্যাল বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে তার ড্রয়িংরুমে এসে হাজির হয় গোটা দুনিয়া, স্যাটেলাইট টেলিভিশনের মধ্য দিয়ে। তারপর সময়ের স্রোতে ক্রমে স্মার্ট মুঠোফোনের মাধ্যমে পৃথিবীটা হয়ে যায় আরও ছোট, আর দুনিয়ার সমস্ত খবর আর জীবনশৈলীর চালচিত্র ঢুকে গেছে তার পকেটে। ভারতবাসী অবাক হয়ে দেখে, পশ্চিমি দেশগুলিতে চাকরির নিরাপত্তা কিন্তু বেশ কম। অধিকাংশ চাকরিই সেখানে অস্থায়ী। কিন্তু সে সমস্ত দেশ চলছে বেশ। তাদের সাধারণ জনগণের হাতে অর্থের অভাব নেই, খাবারের অভাব নেই। আর, মজার কথা হল, বড় একটা নেই চাকরি হারাবার ভয়ও। (সাম্প্রতিক অতীতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দাপটে অবশ্য চাকরি হারানোর ভয় ঢুকেছে পশ্চিমের। সে অবশ্য ভিন্ন প্রসঙ্গ।) আসলে চাকরি সেখানে প্রচুর। নানা ধরনের। হোক না বেসরকারি। তাই নিয়োগকর্তা যেমন কর্মীকে ছাঁটাই করে দিতে পারে সহজে, কর্মীর মাথাতেও আকাশ ভেঙে পড়ে না চাকরি চলে গেলে। এমনকী চাকরির সুযোগের এই আধিক্য কর্মীকেও সুযোগ দিয়েছে সহজে চাকরি বদল করার। তাই কর্মী এবং নিয়োগকর্তা উভয়ের হাতে পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে পারিশ্রমিক এবং চাকরির শর্তাবলি নিয়ে দরাদরির। অর্থনীতির নবজাগরণের সুতো ধরে ভারতের বাজারেও অচিরে এসে গেল বিভিন্ন ধরনের চাকরি। তার সবই যে খুব বেশি মাইনের চাকরি, তা অবশ্য নয়। তবু, অবাক হয়ে দেখি, আজকের ছাত্রসমাজ তাদের ছাত্রজীবনের শেষলগ্নে এসে সরকারি চাকরির মোহের আবর্তে আর ঘুরপাক খায় না তিন দশক আগেকার তাদের অনন্যোপায় আগের প্রজন্মের মতো। তারা এখন বিনা দ্বিধায় বেসরকারি চাকরিতে যোগ দেয়। আবার খুব সহজেই এক চাকরি ছেড়ে বেছে নেয় অন্য চাকরি। কখনও আবার চাকরি থেকে ‘ব্রেক’ নেয় এক-দু’বছরের জন্য। হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও কোর্স করতে, কিংবা ব্যাকপ্যাক নিয়ে দুনিয়ার একটা অংশ ঘুরে দেখতে। যে মানসিকতা পশ্চিমি দেশের ছেলেমেয়েদেরই ছিল বলে আমরা জানতাম আমাদের ছাত্রজীবনে। এই পরিবর্তনটা কিন্তু ঘটে গিয়েছে আমাদের সমাজেও। ইতিমধ্যেই। তবু, তার মধ্যেও, সরকারি চাকরির প্রতি এক মহিমান্বিত আকর্ষণ, এক মোহের অন্তঃস্রোত, অবশ্যই বয়ে চলেছে কোথাও। এখনও। শ্রাবণ কুমাররা চোখে আঙুল দিয়ে তা দেখিয়ে দেন।
শ্রাবণ কুমার আইআইটি-তে পড়তে ঢোকেন ২০১০ সালে, আর পাশ করে বেরন ২০১৫-তে। তারপর এতদিন তিনি কী করেছেন, সে খবর অবশ্য পাওয়া যায়নি মিডিয়া থেকে। আবার আইআইটির আর পাঁচজন ছাত্রের মতো কোনও বেসরকারি বা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে মোটা মাইনের চাকরিতে যোগ দিলে, দু-এক বছরের মধ্যেই তিনি হয়তো আয় করে ফেলতে পারতেন তাঁর রেলের দশ-বিশ বছরের মাইনে। তাই তথাকথিত যে ‘সুরক্ষা’ এবং ‘নিরাপত্তা’র কথা তিনি বলেছেন, সেটা এক্ষেত্রে কষ্টকল্পনা বলেই মনে হয়।
তবে, সমাজ বদলাবে আরও। আমি বা আপনি চাইলেও, কিংবা গভীরভাবে বিরোধিতা করলেও। সরকারি বা আধা-সরকারি চাকরির নিরাপত্তার চক্রব্যূহ ক্রমশ ভঙ্গুর হয়ে পড়বে আরও অনেকটা। এবং দ্রুতগতিতে। গোটা পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ এক প্রকারের ভবিতব্যই। একসময় আমরা দেখব, চাকরি বাঁচাতে গড়পড়তা সরকারি চাকুরেদেরও খাটতে হচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরেদের মতো। সরকারি চাকরির নিশ্চিন্ত আশ্রয়ের নিরাপত্তার ‘মিথ’ ভেঙে চুরচুর হয়ে পড়বে। এবং সে-পথ ধরেই ক্রমে বিদায় নেবে পাত্রপাত্রী চাই-য়ের বিজ্ঞাপন থেকে ‘সঃ চাঃ’ নামক অ্যাক্রোনিম।
এই সামাজিক পরিবর্তনগুলি ভালো না মন্দ, সে প্রসঙ্গ অবশ্য ভিন্ন।
 ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট, কলকাতার রাশিবিজ্ঞানের অধ্যাপক। মতামত ব্যক্তিগত
এনআরসি, সংখ্যালঘু ভোট ও বিজেপি
তন্ময় মল্লিক

‘এবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের আরও বেশি করে বিজেপির ছাতার তলায় নিয়ে আসতে হবে। সেই মতো গ্রহণ করতে হবে যাবতীয় কর্মসূচি।’ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বকে এই কথাগুলি যিনি বলেছিলেন তিনি আর কেউ নন, ‘গেরুয়া শিবিরের চাণক্য’ অমিত শাহ।
বিশদ

আলোচনার অভিমুখ
সমৃদ্ধ দত্ত

 প্রাচীন বিশ্বের বিভিন্ন সভ্যতায় দেখা যায় সম্রাটরা অসীম ক্ষমতার অধিকারী প্রমাণ করার জন্য অতি প্রাকৃতিক শক্তি সম্পন্ন হিসেবে নিজেদের প্রতিভাত করতেন। এর ফলে প্রজা শুধু সম্রাটকে যে মান্য করত তাই নয়, ভয়ও পেত, সমীহ করত। প্রাচীন মিশরে শতাব্দীর পর শতাব্দীর ধরে ফারাওরা নিজেদেরই ঈশ্বর হিসেবে ঘোষণা করতেন।
বিশদ

20th  September, 2019
হিন্দু বাঙালির বাড়ি ভাঙছে, হারাচ্ছে দেশ 
শুভময় মৈত্র

জয় গৃহশিক্ষকতা করেন, বাড়ি সিঁথি মোড়ের কাছে, বরানগরে। নিজেদের তিরিশ বছরের পুরনো বাড়ি, সারানোর প্রয়োজন। একান্নবর্তী পরিবার, দাদা বড় ইঞ্জিনিয়ার। তিনি আর একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন কাছেই। 
বিশদ

20th  September, 2019
বাংলায় এনআরসি বিজেপির স্বপ্নের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে না তো 
মেরুনীল দাশগুপ্ত

লোকসভা ভোটে অপ্রত্যাশিত ফলের পর বাংলার বিজেপি রাজনীতিতে যে জমকালো ভাবটা জেগেছিল সেটা কি খানিকটা ফিকে হয়ে পড়েছে? পুজোর মুখে এমন একটা প্রশ্ন কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের আমজনতার মধ্যে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। 
বিশদ

19th  September, 2019
জন্মদিনে এক অসাধারণ নেতাকে কুর্নিশ
অমিত শাহ

 আজ, মঙ্গলবার আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৬৯তম জন্মদিন। অল্প বয়স থেকেই মোদিজি নিজেকে দেশের সেবায় উৎসর্গ করেছেন। যৌবন থেকেই তাঁর মধ্যে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর উন্নয়নে কাজের একটি প্রবণতা লক্ষ করা যায়। দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণের কারণে মোদিজির শৈশবটা খুব সুখের ছিল না। বিশদ

17th  September, 2019
ব্যাঙ্ক-সংযুক্তিকরণ কতটা সাধারণ মানুষ এবং সামগ্রিক ব্যাঙ্কব্যবস্থার উন্নতির স্বার্থে?
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

অনেকগুলি ব্যাঙ্ক সংযুক্ত করে দেশে সরকারি ব্যাঙ্কের সংখ্যা কমিয়ে আনা হল আর সংযুক্তির পর চারটি এমন বেশ বড় ব্যাঙ্ক তৈরি হল, আকার আয়তনে সেগুলিকে খুব বড় মাপের ব্যাঙ্কের তকমা দেওয়া যাবে। এসব ঘোষণার পর অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, এতে দেশের অর্থনীতির খুব উপকার হবে।  
বিশদ

16th  September, 2019
রাজনীতির উত্তাপ কি পুজোর আমেজ
জমে ওঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে?
শুভা দত্ত

 পরিস্থিতি যা তাতে এমন কথা উঠলে আশ্চর্যের কিছু নেই। উঠতেই পারে, উঠছেও। বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবের মুখে প্রায় প্রতিদিনই যদি কিছু না কিছু নিয়ে নগরী মহানগরীর রাজপথে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে, পুলিস জলকামান, লাঠিসোঁটা, কাঁদানে গ্যাস, ইটবৃষ্টি, মারদাঙ্গা, রক্তারক্তিতে যদি প্রায় যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং তাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনজীবন ব্যবসাপত্তর উৎসবের মরশুমি বাজার কিছু সময়ের জন্য বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তবে এমন কথা এমন প্রশ্ন ওঠাই তো স্বাভাবিক।
বিশদ

15th  September, 2019
আমেরিকায় মধ্যবয়সের
সঙ্গী সোশ্যাল মিডিয়া
আলোলিকা মুখোপাধ্যায়

যে বয়সে পৌঁছে দূরের আত্মীয়স্বজন ও পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ক্রমশ আগের মতো সম্ভব হয় না, সেই প্রৌঢ় ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধার জীবনে ইন্টারনেট এক প্রয়োজনীয় ভূমিকা নিয়েছে। প্রয়োজনীয় এই কারণে যে, নিঃসঙ্গতা এমন এক উপসর্গ যা বয়স্ক মানুষদের শরীর ও মনের উপর প্রভাব ফেলে। বিশদ

14th  September, 2019
মোদি সরকারের অভূতপূর্ব কাশ্মীর পদক্ষেপ পরবর্তী ভারতীয় কূটনীতির সাফল্য-ব্যর্থতা
গৌরীশঙ্কর নাগ

 এই অবস্থায় এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ৩৭০ ধারা বিলোপ পর্বের প্রাথমিক অবস্থাটা আমরা অত্যন্ত উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছি।
বিশদ

14th  September, 2019
ব্যর্থতা নয়, অভিনন্দনই
প্রাপ্য ইসরোর বিজ্ঞানীদের
মৃণালকান্তি দাস

 কালামের জেদেই ভেঙে পড়েছিল ইসরোর রোহিনী। না, তারপরেও এ পি জে আব্দুল কালামকে সে দিন ‘ফায়ার’ করেননি ইসরোর তদানীন্তন চেয়ারম্যান সতীশ ধাওয়ান! বলেননি, ‘দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কালামকে’! তার এক বছরের মধ্যেই ধরা দিয়েছিল সাফল্য। ধাওয়ানের নির্দেশে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সেই কালাম-ই। তাঁর কথায়, ‘ওই দিন আমি খুব গুরুত্বপূর্ণ পাঠ পেয়েছিলাম। ব্যর্থতা এলে তার দায় সংস্থার প্রধানের। কিন্তু,সাফল্য পেলে তা দলের সকলের। এটা কোনও পুঁথি পড়ে আমাকে শিখতে হয়নি। এটা অভিজ্ঞতা থেকে অর্জিত।’ বিশদ

13th  September, 2019
রাষ্ট্রহীনতার যন্ত্রণা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভিক্টর নাভরস্কি নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে আবিষ্কার করলেন, তিনি আচমকাই ‘রাষ্ট্রহীন’ হয়ে পড়েছেন। কারণ, তাঁর দেশ ক্রাকোজিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলির কাছে মানবিকতার নিরিখে ক্রাকোজিয়ার আর কোনও ‘অস্তিত্ব’ নেই।
বিশদ

10th  September, 2019
জাতির গঠনে জাতীয় শিক্ষানীতি
গৌরী বন্দ্যোপাধ্যায়

 অভিধান অনুসরণ করে বলা যায়, পঠন-পাঠন ক্রিয়াসহ বিভিন্ন অভিজ্ঞতালব্ধ মূল্যবোধের বিকাশ ঘটানোর প্রক্রিয়াই শিক্ষা। জ্ঞানকে বলা হচ্ছে অভিজ্ঞতালব্ধ প্রতীতি। শিক্ষা দ্বারা অর্জিত বিশেষ জ্ঞানকে আমরা বিদ্যা বলি। কালের কষ্টিপাথরে যাচাই করে মানুষ আবহমান কাল ধরে নিজ অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানরাশিকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পুস্তকের মধ্যে লিখে সঞ্চিত করে গেছে।
বিশদ

09th  September, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ২০ সেপ্টেম্বর: চলতি ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে দেশের মাইক্রো-ফিনান্স ইন্ডাস্ট্রি ২ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকার গণ্ডি অতিক্রম করবে। স্ব-ধন ‘ভারত মাইক্রো-ফিনান্স রিপোর্ট, ২০১৯’-এ প্রকাশ পেয়েছে এই তথ্য। ...

বিএনএ, রায়গঞ্জ: দুই শিক্ষাকর্মীর বদলির প্রতিবাদে ছাত্র আন্দোলনে শুক্রবার উত্তাল হল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অঙ্ক ও কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফর্মেশন সায়েন্স বিভাগের সামনে কয়েকশ’ ছাত্রছাত্রী ...

সংবাদদাতা, ঘাটাল: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সংসদ সদস্য বাবুল সুপ্রিয়কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হেনস্তার প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে দাসপুর থানার গৌরা বাসস্টপে বিজেপি পথ অবরোধ করে।  ...

 ওয়াশিংটন, ২০ সেপ্টেম্বর (পিটিআই): আমেরিকার রাস্তায় ফের প্রকাশ্যে বন্দুকবাজের তাণ্ডব। গুলিতে একজন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আরও পাঁচজন জখম হয়েছেন। পুলিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ কলম্বিয়া হাইটস এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে। জায়গাটি হোয়াইট হাউস থেকে খুব বেশি দূরে নয় বলেও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪৮: চিত্রপরিচালক মহেশ ভাটের জন্ম
২০০৪: চিত্রপরিচালক সলিল দত্তের মৃত্যু

20th  September, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.১৯ টাকা ৭২.৭০ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৪৪ টাকা ৯১.১২ টাকা
ইউরো ৭৬.২৬ টাকা ৮০.৩৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৭,৯৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,০৪৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৫৮৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ আশ্বিন ১৪২৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ৩৭/১২ রাত্রি ৮/২১। রোহিণী ১৪/৪৩ দিবা ১১/২২। সূ উ ৫/২৮/২৩, অ ৫/৩১/৪০, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪১ গতে ২/১৭ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১/০ গতে ২/৩০ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৯ গতে উদয়াবধি।
৩ আশ্বিন ১৪২৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ২৫/২২/২১ দিবা ৩/৩৭/৫। রোহিণী ৭/১/২৪ দিবা ৮/১৬/৪৩, সূ উ ৫/২৮/৯, অ ৫/৩৩/২৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/২০ মধ্যে ও ৭/৭ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৫/৩৩ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৮ গতে ২/১৭ মধ্যে, বারবেলা ১/১/২৯ গতে ২/৩২/৯ মধ্যে, কালবেলা ৬/৫৮/৪৯ মধ্যে ও ৪/২/৪৯ গতে ৫/৩৩/২৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২/৪৯ মধ্যে ও ৩/৫৮/৪৯ গতে ৫/২৮/২৮ মধ্যে।
২১ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: সন্তানের সাফল্যে মানসিক সন্তুষ্টি। বৃষ: ব্যবসায়িক সাফল্য। মিথুন: সৃষ্টিশীল কাজে প্রভূত উন্নতি। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস১৮৬৬: ব্রিটিশ সাংবাদিক, ঐতিহাসিক ও লেখক এইচ জি ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ
আজ রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আলিপুর ...বিশদ

08:21:33 PM

ফের সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ
আরও একবার সিএবি-র প্রেসিডেন্ট হলেন সৌরভ গঙ্গোপাধধ্যায়। আজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ...বিশদ

07:39:27 PM

অস্কারে মনোনীত ছবি-গালি বয়

06:03:00 PM

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যুবককে মারধর
স্কুলের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় এক যুবককে লাঠি-রড দিয়ে ...বিশদ

05:22:00 PM