শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, গোটা জেলায় প্রচুর মানুষ রেশন কার্ডের ফর্ম তুলে জমা দিচ্ছেন। তবে তাতে বিশেষ সমস্যা হচ্ছে কি না তা খোঁজ নেওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ফর্ম বিলির প্রয়োজন কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রেশন কার্ড না পাওয়া নিয়ে বহু মানুষের ক্ষোভ ছিল। রাজনৈতিক ও সরকারি স্তরে বিভিন্ন পর্যালোচনায় তা বারে বারে উঠে এসেছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে রাজ্য সরকার খাদ্যসাথী প্রকল্পে শিবির করে ফর্ম বিলির সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতো গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ব্লকে ফর্ম বিলি শুরু হয়েছে। তা চলবে ২৭তারিখ পর্যন্ত। কিন্তু, প্রথম দিন থেকেই প্রতিটি ব্লকে ব্যাপক ভিড় জমতে শুরু করে। ফর্ম তোলা ও জমার দীর্ঘ লাইন পড়ছে। অনেক জায়গায় সন্ধ্যা পর্যন্ত লাইন চোখে পড়েছে। এদিকে প্রচণ্ড গরমে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে বয়স্ক ও মহিলারা দাঁড়িয়ে থেকে ভীষণ অস্বস্তি বোধ করছেন। তাই তাঁরা নিজ গ্রামপঞ্চায়েতে ফর্ম বিলির শিবির করার দাবিতে সরব হয়েছেন। পরিস্থিতি দেখে ব্লক স্তরে সরকারি আধিকারিকরাও তার স্বপক্ষে সহমত পোষণ করেছেন। এমনকী গত ১৭ সেপ্টেম্বর বাঁকুড়ায় ভিডিও কনফারেন্স হয়। সেখানেও অধিকাংশ বিডিও এনিয়ে সরব হন। কিন্তু, তারপরেও এবিষয়ে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রেশন কার্ড সংক্রান্ত মোট সাত রকমের ফর্ম বিলি করা হচ্ছে। খাদ্যদপ্তরের কর্মী সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকায় ব্লক প্রশাসনের কর্মীরা সহযোগিতা করছেন। দু’টি অথবা তিনটি কাউন্টার করা হয়েছে। সেখান থেকে ফর্ম তোলা ও জমা নেওয়া হচ্ছে।
দপ্তরের আধিকারিকরা বলেন, ফর্ম জমা নেওয়ার সময় আবেদনপত্রের সঙ্গে থাকা আনুষঙ্গিক কাগজপত্র খতিয়ে দেখার নির্দেশ রয়েছে। তাতে অনেক সময় লাগছে। শুধু তাই নয়, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে। বহু মানুষের খাদ্যসাথী কার্ড রয়েছে। অথচ তাঁরা তার জন্য নির্দিষ্ট ৩ নম্বর ফর্ম ফিলআপ করে জমা দিয়েছেন। কিন্তু, তা কম্পিউটারে এন্ট্রি করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে তাঁর নামে কার্ড ইস্যু রয়েছে। সব মিলিয়ে ভিড় সামলাতে তাঁরা নাজেহাল হচ্ছেন। তাই ব্লকের পরিবর্তে গ্রামপঞ্চায়েত থেকে ফর্ম দেওয়া হলে ভিড় কম হবে। তাতে সুষ্ঠুভাবে ফর্ম তোলা ও জমার কাজ করা সম্ভব হবে।