শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে পেট্রকেমের ন্যাপথা ক্র্যাকার ইউনিটে আগুন লাগে। এই ঘটনায় ৬ জন ঠিকাদারের শ্রমিক ও ৭ জন স্থায়ী কর্মী ও আধিকারিক জখম হন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর উদ্যোগে প্রশাসনের সহযোগিতায় ‘গ্রিন করিডর’ তৈরি করে জখমদের কলকাতায় পাঠানো হয়। এদিন সন্ধ্যায় শুভেন্দুবাবু কলকাতার নার্সিংহোমে ভর্তি দুর্ঘটনায় জখম শ্রমিক ও কর্মীদের দেখতে যান। তাঁদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে চিকিৎসকদের কাছ থেকে খোঁজখবরও নেন।
পেট্রকেম সূত্রে জানা গিয়েছে, যে এলাকায় কাজ হচ্ছিল তা খুবই ‘হাইরিস্ক পেট্রকার্বন জোন’। পেট্রকেমের সমস্ত ইউনিটের অপ্রয়োজনীয় যে বর্জ্য পদার্থ ও গ্যাস থাকে, তা ফ্লেয়ারের মাধ্যমে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এই মূল ফ্লেয়ারের পাইপের সঙ্গে শতাধিক পাইপলাইনের যোগ থাকে।
বিভিন্ন ইউনিটের বর্জ্যগুলি প্রেসারের মাধ্যমে এখানে পাঠানো হয়। এই ফ্লেয়ার লাইনের পাশেই একটি সাব লাইনের কন্ট্রোল ভাল্ব মেরামতির জন্য মেকানিক্যাল বিভাগের শ্রমিক ও ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করছিলেন। এই কাজ প্রায় শেষের পথে হঠাৎ ভাল্বটি ফেটে যায় বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, মেরামতির সময় কোনওভাবে হাতুড়ির ঘা থেকে ছিটকে বেরনো ফুলকি ছুটে অতি দাহ্য ন্যাপথায় আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে থাকা ইঞ্জিনিয়ার, আধিকারিক ও শ্রমিকদের তা ঝলসে দেয়।
সন্দেহ করা হচ্ছে, ফ্লেয়ার লাইনে থাকা অতি দাহ্য পেট্রকার্বন জাতীয় পদার্থ যে দিকে গতিশীল ছিল, তা উল্টোদিকে এসে গিয়েই বিপত্তি ঘটিয়েছে। একজন সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার থাকার পরও কেন আগাম বিষয়টি বোঝা গেল না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। জানা গিয়েছে, এই ধরনের কাজের সময় সংস্থার বিভিন্ন বিভাগীয় অনুমোদন নিতে হয়। সেফটি অনুমোদনের পাশাপাশি ফায়ারের অনুমোদন জরুরি। ফায়ারের ইঞ্জিন দাঁড় করিয়ে রেখে কাজ করাই নিয়ম। এক্ষেত্রে তা করা হয়েছিল কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পেট্রকেম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কারখানায় অতি দাহ্য ন্যাপথা প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করা হয় বলে, এখানে ৮টি ফায়ারের ইঞ্জিন রয়েছে। এর মধ্যে দশতলা সমান উঁচুতে আগুন নেভানোর জন্য রয়েছে ল্যাডার ফায়ার ইঞ্জিন। এত সুরক্ষার পরও কীভাবে আগুন লাগে তা নিয়েই শ্রমিক কর্মচারীদের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কারণ, একবার নয়, গত কয়েক বছরে ন্যাপথা ক্র্যাকার ইউনিটে বেশ কয়েকবার ছোট বড় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে আগুন লেগে হিটার পুড়ে গিয়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল। এদিন ঘটনার পর পেট্রকেমের প্ল্যান্ট হেড অশোককুমার ঘোষকে ঘটনার কারণ জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততার কথা বলে কিছু বলতে চাননি।