Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জাতির গঠনে জাতীয় শিক্ষানীতি
গৌরী বন্দ্যোপাধ্যায়

অভিধান অনুসরণ করে বলা যায়, পঠন-পাঠন ক্রিয়াসহ বিভিন্ন অভিজ্ঞতালব্ধ মূল্যবোধের বিকাশ ঘটানোর প্রক্রিয়াই শিক্ষা। জ্ঞানকে বলা হচ্ছে অভিজ্ঞতালব্ধ প্রতীতি। শিক্ষা দ্বারা অর্জিত বিশেষ জ্ঞানকে আমরা বিদ্যা বলি। কালের কষ্টিপাথরে যাচাই করে মানুষ আবহমান কাল ধরে নিজ অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানরাশিকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পুস্তকের মধ্যে লিখে সঞ্চিত করে গেছে। বিদ্যাশিক্ষা আমাদের সেই জ্ঞানের সঙ্গে পরিচিত করায়। আমাদের বুদ্ধি মন ইত্যাদিকে গড়ে তোলার সঙ্গে নানা ব্যবহারিক বিদ্যার জ্ঞান মানুষকে জীবিকা নির্বাহ করার উপযোগীও করে তোলে। প্রত্যেক দেশ তার প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অধিবাসীদের সামগ্রিক বিকাশের লক্ষ্যে নিজেদের শিক্ষানীতি স্থির করে।
শিক্ষাকে জাতির মেরুদণ্ড বলা হয়। তাই দেশের শিক্ষানীতি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে স্থির করতে হয়, যাতে জাতির সেই মেরুদণ্ড সবল ও ঋজু হয়। ভারতের মতো বহু ভাষাভাষীর দেশে, এক দেহে লীন হয়ে যাওয়া বহুজাতির দেশে সবার উপযোগী ও জনপ্রিয় এক শিক্ষানীতি স্থির করা অতি কঠিন ব্যাপার। শিক্ষার বিষয় নির্বাচনে তেমন জটিলতা না থাকলেও শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে ভাষা নির্বাচনে সর্বভারতীয় শিক্ষানীতি বারবার নানা বাধার সম্মুখীন হয়ে আসছে। এই বিশ্বায়নের যুগে কীভাবে শিক্ষা পেয়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা নিজেদের অস্মিতা রক্ষা করে, নিজেদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটিয়ে বিশ্বের সঙ্গে একাত্ম হয়ে উঠতে পারবে তা স্থির করা এক দুরূহ ব্যাপার।
ভাষা মানুষকে যুক্ত করে, ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর পথে প্রেরিত করে। পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটের পরিবর্তনের সঙ্গে মাতৃভাষা ছাড়া অন্য সব ভাষারই গুরুত্বের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। যেমন শিক্ষিত ভারতীয়রা আর ফারসি পড়ে না। ভারতে ইংরেজির দাপট থাকলেও ইউরোপের মূল ভূখণ্ডের দেশগুলিতে বা রাশিয়া, চীনসহ মধ্য এশিয়ায় ইংরেজির তেমন দাপট নেই। কথোপকথনের জন্য ভাষার ব্যবধান দূর করতে বর্তমানে নানা প্রযুক্তির উদ্ভব হয়েছে। ভারতে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এখনও আমরা ইংরেজির দ্বারস্থ হই, তাই মাধ্যমিক পর্যায়ে এখনও ছাত্রছাত্রীদের এমনভাবে ইংরেজি শেখানো দরকার যাতে তারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজিতে শেখার অসুবিধায় মাঝপথে পড়া ছেড়ে না দেয় বা হীনম্মন্যতায় ভুগে আত্মহত্যা না করে। ইংরেজি শিক্ষা কোন পর্যায়ে রাখা হবে তা অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে স্থির করা দরকার। রবীন্দ্রনাথ লিখে গেছেন ইংরেজি কাজের ভাষা, ‘ভাবের ভাষা নয়’। তাঁর মতে সেই কাজের ভাষা বাল্যাবস্থায় শিখতে গিয়ে ‘শিশুরা সব কূল হারায়’। না হয় তাদের ‘প্রকৃতির সত্যরাজ্যে প্রবেশ করিবার অবকাশ’, না হয় তাদের ‘সাহিত্যের কল্পনা রাজ্যে প্রবেশ করার ক্ষমতা’। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন ‘বাঙালির ভাব ইংরেজের ভাষায় তেমন জীবন্তরূপে প্রকাশিত হয় না’। তার ধারণায় ভাষা শিক্ষার সঙ্গে ভাব যুক্ত হলে সমস্ত জীবনযাত্রাই নিয়মিত হতে পারে। সেই সঙ্গে বাংলা পাঠ্যগ্রন্থের মান সম্পর্কে বলেছেন ‘অনভিজ্ঞ ম্যাকমিলান কোম্পানির রচিত, অতি সংকীর্ণ, অতি দরিদ্র এবং বিকৃত বাংলা পাঠ্যগ্রন্থ পড়িয়া বাঙালি ছেলেকে মানুষ হইতে হইবে... যাহাতে নিরপেক্ষ উদার জ্ঞানচর্চা পলিটিক্যাল প্রয়োজন সিদ্ধির কাছে খণ্ডিত হইয়া যায়।’ উদ্ধৃত রবীন্দ্রনাথের সবকটি উপলব্ধিই এখনও সমভাবে সত্য।
বিদ্যালয়ে প্রাথমিক পর্যায়কে রাখা উচিত প্রধানত মাতৃভাষার ভিত তৈরি করার জন্য। এই পর্যায়ে ইংরেজি অক্ষর পরিচয়, বহু ব্যবহৃত কিছু শব্দের অর্থ জানা ও ছড়ার মাধ্যমে বাক্য গঠনের জ্ঞান হলেই যথেষ্ট। প্রাথমিক পর্যায়ে মাতৃভাষার পাঠ্য এমন হওয়া উচিত যা ছাত্রছাত্রীরা আগ্রহ নিয়ে আনন্দের সঙ্গে পড়বে। ‘পলিটিক্যাল প্রয়োজন সিদ্ধির’ ব্যাপারটি যেন সেখানে কখনওই না আসে। মাতৃভাষার সঙ্গে মানুষের নাড়ির যোগ থাকে। সেই যোগকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা না করে তাকে বলিষ্ঠ করার শিক্ষার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। এ প্রসঙ্গে আবার রবীন্দ্রনাথের শরণ নিলাম। তিনি লিখছেন বিদ্যার্থীরা যদি আনন্দের সঙ্গে কোনও কিছু পাঠ করে তবে তাঁদের ‘পড়িবার শক্তি অলক্ষিতভাবে বৃদ্ধি পাইতে থাকে; গ্রহণশক্তি, ধারণশক্তি, চিন্তাশক্তি বেশ সহজে এবং স্বাভাবিক নিয়মে বললাভ করে।’ রবীন্দ্রনাথের এই পর্যবেক্ষণ এক চিরকালীন সত্য।
প্রাচীন গুরুকুল, চতুষ্পাঠী ও টোলের শিক্ষাব্যবস্থাকে সরিয়ে রেখে বাংলায় আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার পথিকৃৎ ছিলেন পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়। এক অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী সেই মানুষটি মাত্র উনিশ বছর বয়সেই বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেছিলেন। একুশ বছর বয়সে তিনি ফোর্ট উইলিয়ামে হেড পণ্ডিতের পদে নিযুক্ত হন। তিনি বুঝতেন এবং সর্বত্র বলতেন সংস্কৃতের মাধ্যমেই ভারতীয়রা দেশের ঐতিহ্য, জাতিতত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব ও প্রাচীন ইতিহাস নির্ভুলভাবে জানতে পারবে। আমার দেশ সম্বন্ধে অন্যের লেখা পড়ে সঠিক জ্ঞান হয় না। সংস্কৃত কলেজে অধ্যক্ষ থাকাকালীন তিনি সেই কলেজে প্রবেশাধিকার কেবলমাত্র উচ্চবর্ণের জন্য সংরক্ষিত না রেখে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। সংস্কৃত ভাষার গুরুত্ব আধুনিক বিশ্বের অন্যত্রও পণ্ডিতেরা স্বীকার করেন। পৃথিবীর সকল ভাষার মধ্যে সংস্কৃত সর্বাধিক কম্প্যুটার ফ্রেন্ডলি বা সংগণক বান্ধব ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তাঁদের মতে একমাত্র এই ভাষার সাহায্যে মূল শব্দের সঙ্গে সম্বন্ধ রেখে অসংখ্য নতুন শব্দের সৃষ্টি করা সম্ভব।
ভারতে প্রায় সমস্ত ভাষারই মূল প্রোথিত রয়েছে সংস্কৃতে। শুধু তাই নয়, সংস্কৃতের সঙ্গে সম্বন্ধিত ভাষা হল গ্রিক, ল্যাটিন, আবেস্তীয় ও প্রাচীন পারসিক ভাষাও। বিন্ধ্য পর্বতের উত্তরে ও দক্ষিণে সমগ্র ভারতকে একাত্ম করতে সক্ষম অন্য কোনও ভাষা নয়—শুধুমাত্র সংস্কৃত। বলা হয় দাক্ষিণাত্যের সঙ্গে উত্তর ভারতের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের জনক ছিলেন মহামুনি অগস্ত্য। তাঁর দ্বারাই তাম্রপর্ণী নদীর তীরে তামিল ভাষার বিকাশ হয়। আধুনিক তামিল ভাষা দু’হাজার বছরেরও বেশি প্রাচীন। শুধু দ্রাবিড় গোষ্ঠীরই নয়, অধুনা বিকশিত সব ভারতীয় ভাষার মধ্যে তামিলই সর্বপ্রাচীন এক সমৃদ্ধ ভাষা। অধুনা ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্যের জন্য দ্রাবিড় গোষ্ঠীর ভাষাগুলিতে সংস্কৃত ও অন্যান্য প্রাকৃত ভাষাগুলির উপস্থিতি পরিচিতি লাগে না। তারা নিজেরাও অনেক সময়ে সংস্কৃত মূলের সঙ্গে নিজেদের যোগ বুঝতে পারে না। সংস্কৃত ভাষা সমগ্র ভারতকে একাত্ম করতে সক্ষম এ কথা বুঝেছিলেন আমাদের সংবিধানের রচয়িতা বাবাসাহেব আম্বেদকরও। তিনি বলেছিলেন ভারতের রাষ্ট্রভাষা হওয়া উচিত সংস্কৃত। সংস্কৃত শিক্ষার ব্যাপারে আমাদের শিক্ষানীতির নির্ধারকদের সজাগ থাকা প্রয়োজন। মাধ্যমিক পর্যায়ে সংস্কৃত সারা দেশে অবশ্যপাঠ্য হওয়া উচিত। এতৎ সঙ্গে দ্রাবিড় অস্মিতাকে উত্তর ভারতে মান্যতা দিয়ে দক্ষিণ ভারতে হিন্দির স্বীকৃতির পথও প্রশস্ত করা প্রয়োজন।
বর্তমানের প্রেক্ষিতে সর্বভারতীয় যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে হিন্দির প্রতিষ্ঠাকে অস্বীকার করা যায় না। সংস্কৃত শেখার সময়েই দেবনাগরী লিপির সঙ্গে পরিচয় হয়ে যায়। হিন্দিতে বার্তালাপের জন্য বিশেষ প্রয়াসের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। নানা মাধ্যমের সাহায্যে ভারতের সর্বত্র, এমনকী ঘোর হিন্দি বিরোধী রাজ্য যেমন তামিলনাড়ু বা মণিপুরেও লোকে হিন্দিতে কথা বলতে শিখে যায়। হিন্দি জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। হিন্দি বুঝতে, পড়তে (সংস্কৃতের দৌলতে) বা বলতে অসুবিধা না থাকলেই রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা হয়ে যায়। তার সঙ্গে হিন্দি সাহিত্যের পরিচয় থাকলে আরও ভালো। হিন্দি সাহিত্যের সর্বাধিক ঋদ্ধ ও কালজয়ী অংশ রয়েছে মধ্যযুগের কবিদের রচনায়। পাঠক্রমের কোনও একটা পর্যায়ে ছাত্রছাত্রীদের সেই রচনাগুলির সঙ্গে পরিচয় হওয়া উচিত। বিদ্যাসাগর সম্পর্কিত একটি রচনায় জানতে পারি ফোর্ট উইলিয়ামে অধ্যাপনা করার সময়ে তিনি যত্নসহকারে হিন্দি ও ইংরেজি শিখেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথের উদাহরণ দিয়েই আরও একটি সর্বকালীন সত্যের কথা বলি। তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কারজয়ী, কলিকাতা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট উপাধিপ্রাপ্ত। কিন্তু তিনি স্কুলের প্রথাগত পাঠ সম্পূর্ণ করতে পারেননি। তিনি পাঠে অমনোযোগী ছিলেন না বা তাঁর ধীশক্তিরও অভাব ছিল না। স্কুলের প্রতি তাঁর বিরাগের কারণ হিসাবে নিজের নানা রচনায় কখনও শিক্ষক, কখনও পাঠ্যপুস্তক আবার কখনও বা প্রতিষ্ঠানকে নিজের বিদ্যালয় বিমুখতার কারণ হিসাবে লিখেছেন। ছাত্রের মনোযোগকে ধরে রাখার জন্য শিক্ষকের ভূমিকা অসীম। বিদ্যালয়গুলি যেন ছাত্রদের মনে বিরাগ ও বিরক্তি উৎপাদন না করে সে ব্যাপারটিও গুরুত্বপূর্ণ। সর্বোপরি পাঠ্যবিষয় নির্বাচনের গুরুত্ব অসীম। নির্বাচকেরা ছাত্রছাত্রীদের জন্য মাতৃভাষা, সংস্কৃত, ইংরেজি ও হিন্দির মধ্যে কোন ভাষা কোন পর্যায়ে পড়ানো হবে তা স্থির করবেন ঠিকই কিন্তু কোনও স্তরেই যেন পাঠ্যবিষয়গুলি পলিটিক্যাল ডামাডোলে নষ্ট না হয়ে যায়। বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষেই যেন শিক্ষকেরা নিঃশেষে বিদ্যা দান করেন, অসম্পূর্ণভাবে দেওয়া বিদ্যা প্রাইভেট টিউশনের ক্লাসের জন্য তুলে না রাখেন। কোথাও যেন অসম্পূর্ণভাবে বিদ্যাদানের কারণে শিক্ষা অসম্পূর্ণ না থাকে।
 লেখিকা যোগমায়া দেবী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা
09th  September, 2019
এনআরসি, সংখ্যালঘু ভোট ও বিজেপি
তন্ময় মল্লিক

‘এবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের আরও বেশি করে বিজেপির ছাতার তলায় নিয়ে আসতে হবে। সেই মতো গ্রহণ করতে হবে যাবতীয় কর্মসূচি।’ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বকে এই কথাগুলি যিনি বলেছিলেন তিনি আর কেউ নন, ‘গেরুয়া শিবিরের চাণক্য’ অমিত শাহ।
বিশদ

সরকারি চাকরির মোহে আবিষ্ট সমাজ
অতনু বিশ্বাস

সমাজ বদলাবে আরও। আমি বা আপনি চাইলেও, কিংবা গভীরভাবে বিরোধিতা করলেও। সরকারি বা আধা-সরকারি চাকরির নিরাপত্তার চক্রব্যূহ ক্রমশ ভঙ্গুর হয়ে পড়বে আরও অনেকটা। এবং দ্রুতগতিতে। গোটা পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ এক প্রকারের ভবিতব্যই। একসময় আমরা দেখব, চাকরি বাঁচাতে গড়পড়তা সরকারি চাকুরেদেরও খাটতে হচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরেদের মতো। সরকারি চাকরির নিশ্চিন্ত আশ্রয়ের নিরাপত্তার ‘মিথ’ ভেঙে চুরচুর হয়ে পড়বে। এবং সে-পথ ধরেই ক্রমে বিদায় নেবে পাত্রপাত্রী চাই-য়ের বিজ্ঞাপন থেকে ‘সঃ চাঃ’ নামক অ্যাক্রোনিম।
বিশদ

আলোচনার অভিমুখ
সমৃদ্ধ দত্ত

 প্রাচীন বিশ্বের বিভিন্ন সভ্যতায় দেখা যায় সম্রাটরা অসীম ক্ষমতার অধিকারী প্রমাণ করার জন্য অতি প্রাকৃতিক শক্তি সম্পন্ন হিসেবে নিজেদের প্রতিভাত করতেন। এর ফলে প্রজা শুধু সম্রাটকে যে মান্য করত তাই নয়, ভয়ও পেত, সমীহ করত। প্রাচীন মিশরে শতাব্দীর পর শতাব্দীর ধরে ফারাওরা নিজেদেরই ঈশ্বর হিসেবে ঘোষণা করতেন।
বিশদ

20th  September, 2019
হিন্দু বাঙালির বাড়ি ভাঙছে, হারাচ্ছে দেশ 
শুভময় মৈত্র

জয় গৃহশিক্ষকতা করেন, বাড়ি সিঁথি মোড়ের কাছে, বরানগরে। নিজেদের তিরিশ বছরের পুরনো বাড়ি, সারানোর প্রয়োজন। একান্নবর্তী পরিবার, দাদা বড় ইঞ্জিনিয়ার। তিনি আর একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন কাছেই। 
বিশদ

20th  September, 2019
বাংলায় এনআরসি বিজেপির স্বপ্নের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে না তো 
মেরুনীল দাশগুপ্ত

লোকসভা ভোটে অপ্রত্যাশিত ফলের পর বাংলার বিজেপি রাজনীতিতে যে জমকালো ভাবটা জেগেছিল সেটা কি খানিকটা ফিকে হয়ে পড়েছে? পুজোর মুখে এমন একটা প্রশ্ন কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের আমজনতার মধ্যে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। 
বিশদ

19th  September, 2019
জন্মদিনে এক অসাধারণ নেতাকে কুর্নিশ
অমিত শাহ

 আজ, মঙ্গলবার আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৬৯তম জন্মদিন। অল্প বয়স থেকেই মোদিজি নিজেকে দেশের সেবায় উৎসর্গ করেছেন। যৌবন থেকেই তাঁর মধ্যে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর উন্নয়নে কাজের একটি প্রবণতা লক্ষ করা যায়। দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণের কারণে মোদিজির শৈশবটা খুব সুখের ছিল না। বিশদ

17th  September, 2019
ব্যাঙ্ক-সংযুক্তিকরণ কতটা সাধারণ মানুষ এবং সামগ্রিক ব্যাঙ্কব্যবস্থার উন্নতির স্বার্থে?
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

অনেকগুলি ব্যাঙ্ক সংযুক্ত করে দেশে সরকারি ব্যাঙ্কের সংখ্যা কমিয়ে আনা হল আর সংযুক্তির পর চারটি এমন বেশ বড় ব্যাঙ্ক তৈরি হল, আকার আয়তনে সেগুলিকে খুব বড় মাপের ব্যাঙ্কের তকমা দেওয়া যাবে। এসব ঘোষণার পর অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, এতে দেশের অর্থনীতির খুব উপকার হবে।  
বিশদ

16th  September, 2019
রাজনীতির উত্তাপ কি পুজোর আমেজ
জমে ওঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে?
শুভা দত্ত

 পরিস্থিতি যা তাতে এমন কথা উঠলে আশ্চর্যের কিছু নেই। উঠতেই পারে, উঠছেও। বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবের মুখে প্রায় প্রতিদিনই যদি কিছু না কিছু নিয়ে নগরী মহানগরীর রাজপথে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে, পুলিস জলকামান, লাঠিসোঁটা, কাঁদানে গ্যাস, ইটবৃষ্টি, মারদাঙ্গা, রক্তারক্তিতে যদি প্রায় যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং তাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনজীবন ব্যবসাপত্তর উৎসবের মরশুমি বাজার কিছু সময়ের জন্য বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তবে এমন কথা এমন প্রশ্ন ওঠাই তো স্বাভাবিক।
বিশদ

15th  September, 2019
আমেরিকায় মধ্যবয়সের
সঙ্গী সোশ্যাল মিডিয়া
আলোলিকা মুখোপাধ্যায়

যে বয়সে পৌঁছে দূরের আত্মীয়স্বজন ও পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ক্রমশ আগের মতো সম্ভব হয় না, সেই প্রৌঢ় ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধার জীবনে ইন্টারনেট এক প্রয়োজনীয় ভূমিকা নিয়েছে। প্রয়োজনীয় এই কারণে যে, নিঃসঙ্গতা এমন এক উপসর্গ যা বয়স্ক মানুষদের শরীর ও মনের উপর প্রভাব ফেলে। বিশদ

14th  September, 2019
মোদি সরকারের অভূতপূর্ব কাশ্মীর পদক্ষেপ পরবর্তী ভারতীয় কূটনীতির সাফল্য-ব্যর্থতা
গৌরীশঙ্কর নাগ

 এই অবস্থায় এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ৩৭০ ধারা বিলোপ পর্বের প্রাথমিক অবস্থাটা আমরা অত্যন্ত উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছি।
বিশদ

14th  September, 2019
ব্যর্থতা নয়, অভিনন্দনই
প্রাপ্য ইসরোর বিজ্ঞানীদের
মৃণালকান্তি দাস

 কালামের জেদেই ভেঙে পড়েছিল ইসরোর রোহিনী। না, তারপরেও এ পি জে আব্দুল কালামকে সে দিন ‘ফায়ার’ করেননি ইসরোর তদানীন্তন চেয়ারম্যান সতীশ ধাওয়ান! বলেননি, ‘দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কালামকে’! তার এক বছরের মধ্যেই ধরা দিয়েছিল সাফল্য। ধাওয়ানের নির্দেশে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সেই কালাম-ই। তাঁর কথায়, ‘ওই দিন আমি খুব গুরুত্বপূর্ণ পাঠ পেয়েছিলাম। ব্যর্থতা এলে তার দায় সংস্থার প্রধানের। কিন্তু,সাফল্য পেলে তা দলের সকলের। এটা কোনও পুঁথি পড়ে আমাকে শিখতে হয়নি। এটা অভিজ্ঞতা থেকে অর্জিত।’ বিশদ

13th  September, 2019
রাষ্ট্রহীনতার যন্ত্রণা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভিক্টর নাভরস্কি নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে আবিষ্কার করলেন, তিনি আচমকাই ‘রাষ্ট্রহীন’ হয়ে পড়েছেন। কারণ, তাঁর দেশ ক্রাকোজিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলির কাছে মানবিকতার নিরিখে ক্রাকোজিয়ার আর কোনও ‘অস্তিত্ব’ নেই।
বিশদ

10th  September, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ২০ সেপ্টেম্বর: চলতি ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে দেশের মাইক্রো-ফিনান্স ইন্ডাস্ট্রি ২ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকার গণ্ডি অতিক্রম করবে। স্ব-ধন ‘ভারত মাইক্রো-ফিনান্স রিপোর্ট, ২০১৯’-এ প্রকাশ পেয়েছে এই তথ্য। ...

 ইন্দোনেশিয়া, ২০ সেপ্টেম্বর: দ্বিতীয় ভারতীয় ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার হিসেবে এশিয়ান টেবল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন জি সাথিয়ান। বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারতের টপ র‌্যাঙ্কিং সাথিয়ান ১১-৭, ১১-৮, ১১-৬ পয়েন্টে হারালেন উত্তর কোরিয়ার আন-জি সংকে। ...

বিএনএ, রায়গঞ্জ: দুই শিক্ষাকর্মীর বদলির প্রতিবাদে ছাত্র আন্দোলনে শুক্রবার উত্তাল হল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অঙ্ক ও কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফর্মেশন সায়েন্স বিভাগের সামনে কয়েকশ’ ছাত্রছাত্রী ...

 দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি, ২০ সেপ্টেম্বর: যাদবপুর-কাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে রিপোর্ট দেবে বঙ্গ বিজেপি। আজ এ কথা জানিয়েছেন বিজেপির অন্যতম কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সহনেতা সুরেশ পূজারি। তিনি বলেছেন, ‘যে রাজ্যে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরই কোনও নিরাপত্তা নেই, সেই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪৮: চিত্রপরিচালক মহেশ ভাটের জন্ম
২০০৪: চিত্রপরিচালক সলিল দত্তের মৃত্যু

20th  September, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.১৯ টাকা ৭২.৭০ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৪৪ টাকা ৯১.১২ টাকা
ইউরো ৭৬.২৬ টাকা ৮০.৩৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৭,৯৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,০৪৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৫৮৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ আশ্বিন ১৪২৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ৩৭/১২ রাত্রি ৮/২১। রোহিণী ১৪/৪৩ দিবা ১১/২২। সূ উ ৫/২৮/২৩, অ ৫/৩১/৪০, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪১ গতে ২/১৭ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১/০ গতে ২/৩০ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৯ গতে উদয়াবধি।
৩ আশ্বিন ১৪২৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ২৫/২২/২১ দিবা ৩/৩৭/৫। রোহিণী ৭/১/২৪ দিবা ৮/১৬/৪৩, সূ উ ৫/২৮/৯, অ ৫/৩৩/২৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/২০ মধ্যে ও ৭/৭ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৫/৩৩ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৮ গতে ২/১৭ মধ্যে, বারবেলা ১/১/২৯ গতে ২/৩২/৯ মধ্যে, কালবেলা ৬/৫৮/৪৯ মধ্যে ও ৪/২/৪৯ গতে ৫/৩৩/২৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২/৪৯ মধ্যে ও ৩/৫৮/৪৯ গতে ৫/২৮/২৮ মধ্যে।
২১ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: সন্তানের সাফল্যে মানসিক সন্তুষ্টি। বৃষ: ব্যবসায়িক সাফল্য। মিথুন: সৃষ্টিশীল কাজে প্রভূত উন্নতি। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস১৮৬৬: ব্রিটিশ সাংবাদিক, ঐতিহাসিক ও লেখক এইচ জি ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ
আজ রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আলিপুর ...বিশদ

08:21:33 PM

ফের সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ
আরও একবার সিএবি-র প্রেসিডেন্ট হলেন সৌরভ গঙ্গোপাধধ্যায়। আজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ...বিশদ

07:39:27 PM

অস্কারে মনোনীত ছবি-গালি বয়

06:03:00 PM

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যুবককে মারধর
স্কুলের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় এক যুবককে লাঠি-রড দিয়ে ...বিশদ

05:22:00 PM