শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
তবে এই প্রথম নয়, ক্যাম্পাসে এর আগেও একাধিকবার গোলমাল-ঘেরাও-বিক্ষোভ হয়েছে। কিন্তু কখনওই পুলিস ডাকেননি উপাচার্য। কারণ কয়েক বছর আগে ‘হোক কলরব’ আন্দোলনের সূত্রপাত কিন্তু সেই ক্যাম্পাসে পুলিস ডাকা নিয়েই। সেবার আলো নিভিয়ে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের লাঠি দিয়ে মেরে তুলে দেওয়া হয়। তারপর যে তীব্র আন্দোলন হয়, তাতে শেষমেশ পদত্যাগ করতে হয়েছিল তৎকালীন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীকে। বরাবরই পড়ুয়াদের আবেগের পক্ষেই থাকেন সুরঞ্জনবাবু। তাই তাঁদের দাবি মেনে সিসিটিভি না বসানো, পুলিস পিকেটিং তুলে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার যে ঘটনা ঘটে, তারপরও কিন্তু পুলিস ডাকেননি সুরঞ্জনবাবু। তিনি কেন সময়মতো পদক্ষেপ করেননি, তা নিয়ে যেমন আচার্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, তেমনই বিজেপির নেতা-নেত্রীরাও সুরঞ্জনবাবুর কড়া সমালোচনা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সুরঞ্জনবাবুর পাশে যেমন দাঁড়িয়েছে, তেমনই অধ্যাপক সংগঠন জুটা এবং আবুটাও তাঁকে সমর্থন করেছে। আবুটার রাজ্য সম্পাদক গৌতম মাইতি আচার্যের ক্যাম্পাসে আসা নিয়ে বলেন, উপাচার্যকে হয় পুলিস ডাকুন, নয় পদত্যাগ করুন বলে যে ফরমান দেওয়া হয়, তা রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নজিরবিহীন। আমরা মনে করি, উপাচার্য ক্যাম্পাসে পুলিস না ডেকে অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রাজ্যপালের গাড়ি ঘিরে যে বেনজির বিক্ষোভ হয়েছে, তা দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করে বিশ্ববিদ্যালয়। এমন ঘটনা কখনওই সমর্থন করছে না তারা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ঘিরে যে ঘটনা ঘটেছে, তাও দুর্ভাগ্যজনক। এমনটা ঘটবে, তা তারা আঁচ করতে পারেনি। যে কোনও পরিস্থিতিতে প্ররোচনা দেওয়াকে নিন্দা করছে বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় যেভাবে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে কথা বলেছেন, তার প্রতিবাদ জানিয়েছে অধ্যাপক সংগঠন জুটা এবং আবুটা। এক প্রেস বিবৃতিতে জুটা জানিয়েছে, উপাচার্যের সঙ্গে যে ভঙ্গিতে এবং ভাষায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কথা বলেছেন, তার নিন্দা করা হচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় অপমান বোধ করছে। অন্যদিকে, আবুটার বক্তব্য, যেভাবে উপাচার্যকে আক্রমণ করা হয়েছে, তা যথেষ্ট কুরুচিকর ছিল। এর নিন্দার ভাষা নেই। পাশাপাশি রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও সরব হয়েছেন শিক্ষকরা। জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের ভূমিকায় আমরা মর্মাহত।
এদিকে, ক্যাম্পাসে যেভাবে বহিরাগতরা ঢুকে নির্বিচারে ভাঙচুর করেছে, তা নিয়ে কেন কোনও প্রতিবাদ রাজভবন থেকে আসেনি, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-পড়ুয়ারা। উল্লেখ্য, ওই দিন কলা শাখার ইউনিয়ন রুম এবং ভবনে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে।