শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ক্যাম্পাস থেকে থানা পর্যন্ত মিছিল করে এসএফআই। এসএফআই পরিচালিত যাদবপুরের আর্টস ফ্যাকাল্টির সাধারণ সম্পাদক দেবরাজ দেবনাথ থানায় একটি এফআইআরও করেছেন। তাতে ক্যাম্পাসে আসা বহিরাগতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। আবার তাঁর বিরুদ্ধেও এফআইআর করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা নিত্যানন্দ মিশ্র। তাতে দেবরাজ ছাড়াও ১৯ জনের নাম রয়েছে। অগ্নিমিত্রা পলও তাঁকে হেনস্তার অভিযোগ করে এফআইআর করেছেন। পুলিসও একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে। পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ক্যাম্পাসে ঢুকে ইউনিয়ন রুম ভাঙচুরের ঘটনা চলার সময় তারা নিষ্ক্রিয় ছিল। সে প্রসঙ্গে লালবাজারের বক্তব্য, ওই সময় রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ক্যাম্পাসের ভিতরেই ছিলেন। তখন বলপ্রয়োগ করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারত। সে কারণেই তখন সক্রিয়তা না দেখিয়ে এদিন ভাঙচুর, জোর করে প্রবেশ, অগ্নিসংযোগ প্রভৃতির ধারা দিয়ে মামলা করেছে পুলিস।
এসএফআই নেতৃত্ব বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্তার ঘটনায় অতি বাম ছাত্রসংগঠনগুলির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে। এসএফআই পরিচালিত আফসুর নেতারা বলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কেউ আসতে পারেন। তাঁকে ঘিরে ছাত্রছাত্রীরাও বিক্ষোভ দেখাতে পারেন। আমাদের পরিকল্পনাও ছিল তাঁকে ঘিরে স্লোগান দিয়ে, কালো পতাকা দেখিয়ে সরে আসা। কিন্তু অন্যান্য সংগঠনগুলি তা মানতে চায়নি। তবে, বাবুল সুপ্রিয় যে আচরণ করেছেন, তাতে সব ছাত্রছাত্রী খেপে গিয়েছিল। তাঁকে বেরতে না দেওয়া সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ।
বাবুল সুপ্রিয়র দিকে প্ররোচনার অভিযোগ তুললেও ছাত্রছাত্রীদের আগ্রাসী আন্দোলনকে সমর্থন করেনি শিক্ষক সমিতি জুটা। লিখিত বিবৃতিতে তাদের বক্তব্য, প্ররোচনায় পা না দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের আরও সংযত হওয়া উচিত ছিল। রাজ্যপালের ভূমিকাতেও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে সেই বিবৃতিতে।
এদিকে, বাবুলের চুল ধরে যে ছাত্রকে টানতে দেখা গিয়েছে, সেও লিখিত বিবৃতি দিয়ে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে। তার দাবি, বাবুলই তাকে আক্রমণ করেন। তিনি আত্মরক্ষার্থে হাত এগিয়ে নিয়ে গেলে সেই ভিডিওকে বিকৃত করে তার বিরুদ্ধে প্রচার করা হচ্ছে। তবে এর জন্য বাবুল নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তাকে চিহ্নিত করে, তার অ্যাকাউন্টের লিঙ্ক, বাবার নাম, পেশা ইত্যাদি তুলে দিয়ে গণপিটুনিতে প্ররোচনা দিচ্ছেন বলে ছাত্রটির অভিযোগ। এদিন, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও ছাত্রদের সমর্থন জানিয়ে একটি মিছিল হয়। বিজেপি কার্যালয় থেকে মিছিল বের করে এবিভিপিও। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে এবিভিপির রাজ্য সম্পাদক সপ্তর্ষি সরকার জানিয়েছেন, আগামী ২৩ তারিখ গোলপার্ক থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত মিছিল করা হবে। তিনি উপাচার্যের পদত্যাগ সহ দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দাবি করেছেন।