শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
বর্তমানে দেশে যে আর্থিক সঙ্কট চলছে, তা আগামী কয়েক বছরেও কাটবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন খোদ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। প্রবীণ এই অর্থনীতিবিদের পরামর্শ, বাস্তব অবস্থা না এড়িয়ে কীভাবে পরিস্থিতি কাটিয়ে বেরনো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করুক সরকার। এই অবস্থা চলতে থাকলে ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতকে ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দেশে পরিণত করার স্বপ্ন কোনওদিনও পূরণ হবে না বলেও উল্লেখ করেছেন মনমোহন।
সংবাদে প্রকাশ, মনমোহন বলেছেন—তাঁদের সময়ে ২০০৮ সালে বিশ্বমন্দার মুখে পড়েও ভারতে তার কোনও কুপ্রভাব পড়তে দেওয়া হয়নি। কিন্তু, এই সরকার মন্দার কথা স্বীকারই করতে চাইছে না। এভাবে চলতে থাকলে গাড়ি, আবাসন শিল্প, ব্যবসা, কৃষি, কর্মসংস্থান সর্বত্র কুপ্রভাব পড়ছে। কৃষির আর্থিক বৃদ্ধির হার কমেছে। সর্বোপরি আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে মনমোহন সিংয়ের মতো প্রাজ্ঞ অর্থনীতিবিদ যা আশঙ্কা করেছেন, তাতে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি এক ভয়াবহ সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর সরকার সেই সমস্যার মুখ ঢেকে রেখে রাজনীতির আবর্তে তাকে ঘুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। এই অবস্থায় এটাও সত্যি যে বাজারে বেরলেও দেখা যাচ্ছে—ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ছোট শিল্পের কারিগর থেকে দোকানদারদেরও এক ধাক্কায় রোজগার অনেক কমে এসেছে। পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধির জোর ধাক্কায় বাজারদরও আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছে।
এই কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ফের আগমনী গান বেজে উঠেছে। একদিকে বৃষ্টির ঘাটতিতে খরিফ মরশুমে চাষিরা এখনও বুঝতে পারছেন না উৎপাদন কেমন হবে। অন্যদিকে, শিল্পের অবস্থাও তথৈবচ! অতএব, শ্রমিক-কৃষক থেকে শুরু করে গরিব মানুষের হাত একেবারে শূন্য হয়ে আছে। সেই কারণে শারদোৎসবের মুখেও হাসি নেই বহু বাঙালির মুখে। ডেকরেটর থেকে প্রতিমা শিল্পী, আলো থেকে জরি, মুকুট, শাড়ি প্রভৃতি প্রায় সব ক্ষেত্রেই কারিগর থেকে ব্যবসায়ীরা চড়া সুদে মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তার প্রহর গুনছেন। আর এই অবস্থায় সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত রাজনীতির শিকার হচ্ছেন। এক দল, অন্য দলের উপর দোষারোপের গিলোটিন নামিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কখনও উগ্র দেশাত্মবোধের ঢেউ, কখনও খয়রাতি করে টাকা খোলামকুচির মতো অপব্যয় করা হচ্ছে। এই অবস্থার মধ্যে দুর্গতিনাশিনীর আবাহনে বঙ্গসন্তানদের মুখের হাসি মলিন হয়ে রয়েছে—এ আর আশ্চর্য কী!