উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
যেভাবে দেশের খুচরো বাজারদর এবং পাইকারি বাজারদরের ওঠানামা নিয়মিত প্রকাশ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, তেমনই আবাসন বা বাড়ির বাজার কোন দিকে যাচ্ছে, তারও হদিশ দেওয়ার চেষ্টা করে তারা। কলকাতা সহ চারটি মেট্রো শহরের পাশাপাশি মোট ১০টি শহরের ফ্ল্যাটবাড়ির হিসেব নিয়ে বাজারদরের একটা ধারণা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। সেই তালিকায় মেট্রো ছাড়া বাকি শহরগুলি হল বেঙ্গালুরু, লখনউ, আমেদাবাদ, জয়পুর, কানপুর এবং কোচি। দাম কতটা বাড়ল বা কমল, তার তুল্যমূল্য আলোচনায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি সূচক ব্যবহার করে। ২০১০-১১ অর্থবর্ষের আবাসন বা বাড়ির দামকে তারা ১০০ সূচক ধরে। তারই নিরিখে হিসেব কষা হয়েছে গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের আবাসনের দামে।
সেই সূচকের নিরিখে দেখা গিয়েছে, কলকাতার বাজারদর গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বরের অঙ্ক ২৬২। এর অর্থ, গত ২০১০-১১ অর্থবর্ষে কলকাতায় বাড়ির যা দাম ছিল, তার তুলনায় এখন বাড়ির দাম গড়ে প্রায় ২৬২ শতাংশ বেশি। এর ঠিক আগের তিন মাসে কলকাতায় ফ্ল্যাট-বাড়ির দামের সূচক ছিল ২৫৫.৯। একইভাবে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত যেখানে মুম্বইয়ের সূচক ছিল ২৬৬.৩, সেখানে তার আগের তিন মাসে সেই সংখ্যা ছিল ২৬৩.৯। দিল্লিতে সেই পরিসংখ্যান ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে ৩৪৬.৭ এবং তার আগের তিন মাসে ৩৪২.১। চেন্নাইতে তা যথাক্রমে ২৪৬.৯ এবং ২৩৮.৫।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, তুলনামূলক ছোট শহরগুলিতে ফ্ল্যাটের দাম ঊর্ধ্বমুখী। জয়পুর ও কানপুর ছাড়া সব জায়গাতেই দাম বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে কোচি। যেখানে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে তাদের সূচক ছিল ২৭৪.৭, তা ডিসেম্বরে হয় ২৯৮। ওই তিন মাসের নিরিখে জয়পুরের সূচক কমে প্রায় পাঁচ পয়েন্ট এবং কানপুরে কমে এক পয়েন্ট।
আবাসন নির্মাতা সংস্থাগুলি বারবার জানিয়ে এসেছে, গোটা দেশেই রিয়েল এস্টেট ব্যবসার হাল খারাপ। শহরতলিতে যদিওবা কিছু ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে, মূল শহরে সেই ছবি আদৌ উজ্জ্বল নয়। বিগত বছর কয়েক ধরেই পরিস্থিতি এমনটাই চলছে বলে জানিয়েছে তারা। সেই খারাপ অবস্থা কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে আরবিআইয়ের হিসেব আশার আলো জাগাবে বলেই মনে করছে আবাসন শিল্পমহল। কারণ, গোটা দেশেই পরিস্থিতি যে ‘পজিটিভ’, তা বলছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য। গত আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের তুলনায় তৃতীয় ত্রৈমাসিকে সূচক বেড়েছে প্রায় তিন পয়েন্ট। দামের নিরিখে ওই বৃদ্ধিকে হেলাফেলা করতে চান না আবাসন কর্তারা।