উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম সূত্রের খবর, বর্তমানে সরকারি এসি বাস যাত্রী মহলে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। নন-এসি বাস ছেড়ে বহু যাত্রীই এসি বাসের জন্য স্টপে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন। এসি বাস জনপ্রিয় হলে, এসি ট্রামও যাত্রী মহলে কদর পাবে, এই ধারণা থেকেই রুটে দু’টি এক বগির এসি ট্রাম চালানো শুরু করা হয়। অবশ্য একটি ট্রাম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রুটে চালানো হচ্ছে না। বর্তমানে ধর্মতলা-শ্যামবাজার রুটে এসি ট্রাম চলাচল করছে। এসি ট্রামের জন্য আপাতত ভাড়ার দু’টি স্টেজ করা হয়েছে। প্রথম পাঁচ কিলোমিটারের জন্য ভাড়া ধার্য হয়েছে ২০ টাকা। পাঁচ কিলোমিটারের বেশি হলে ভাড়া দিতে হবে ২৫ টাকা।
নিগমের এক কর্তা বলেন, একটি রুটেই এসি ট্রাম চালিয়ে দৈনিক গড়ে চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা আয় হচ্ছে। আসলে, বহু যাত্রীর কাছেই ট্রাম সফর নিজেদের আবেগের সঙ্গে যুক্ত। এসি ট্রাম তাঁদের কাছে তো বটেই, অন্যদের কাছেও আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সার্বিকভাবে যাত্রী মহলে এসি ট্রামের চাহিদা তৈরি হয়েছে। সেই চাহিদা পূরণ করতেই নোনাপুকুর ওয়ার্কশপে ‘ইন-হাউস’ দু’টি এক বগির এসি ট্রাম তৈরি করা হবে। সেগুলিকে পুজোর আগেই রুটে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।
কোন রুটে চালানো হবে ট্রাম দু’টি? নিগমের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ধর্মতলায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জন্য উত্তর এবং দক্ষিণের ট্রামলাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই মেট্রোর নির্মাণকারী সংস্থা, কেএমআরসিএল আশ্বাস দিয়েছে, আগামী মাসেই ধর্মতলায় একটি লুপ লাইন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা তারা ছেড়ে দেবে। আমরা আশা করছি, পুজোর আগেই সেই লাইনের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এই লুপ লাইন তৈরি হয়ে গেলে নোনাপুকুর ওয়ার্কশপ থেকে যে কোনও জায়গায় ট্রাম পাঠানো সম্ভব হবে। কাজেই এসি ট্রাম ময়দানের মধ্য দিয়ে খিদিরপুর পর্যন্ত চালানো যেতেই পারে। আবার, গড়িয়াহাট চত্বরেও নিত্যদিন বহু যাত্রীর যাতায়াত থাকে। ওই এলাকাতেও একটি এসি ট্রাম চালানো যেতে পারে।
নিগম সূত্রের খবর, বর্তমানে রাস্তায় মেট্রো রেল সহ নানা সংস্থার কাজকর্মের জেরে রুটে ট্রামের সংখ্যা কমে গিয়েছে। বর্তমানে দৈনিক কমবেশি ৩৫ থেকে ৪০টি ট্রাম চালানো হচ্ছে। কিন্তু, নিগমের মোট ট্রাম রয়েছে ২৫০টিরও বেশি। তার মধ্যে ১২০টি ট্রাম রুটে চলার উপযোগী।